বিজ্ঞান ক্লাসে স্যার বলছিলেন দেখ পরমাণুর মধ্যেও ফাঁকা স্থান রয়েছে। নিউক্লিয়াসকে কেন্দ্র করে ইলেকট্রনগুলো ঘুরছে, ঠিক যেমন সূর্যের চারদিকে গ্রহগুলো ঘুরছে। পরমাণু তো অতি ক্ষুদ্র, তাকে নিয়ে চিন্তা করা সহজ না। আমি তোমাদেরকে সৌর জগতের কথা বললাম যেন সহজে চিন্তা করতে পার। ততক্ষণে একজন মনে মনে ক্লাস ছেড়ে প্লুটো অভিমুখে যাত্রা শুরু করেছে। প্রচণ্ড বেগে ছাড়িয়ে যাচ্ছে চেনা পরিচিত সৌর জগত। চোখের সামনে সৌর জগত ছোট হতে হতে বিন্দু, তারপর মিলিয়ে গল। গ্যালাক্সিটা ধীরে ধীরে ছোট হয়ে আসতে লাগল। সিফিয়াস, সিগনাস, ওরিঅন, গ্রেট বিয়ার সব মিলে মিশে আবারো বিন্দুর মত হতে লাগল। এতক্ষণে মিল্কিওয়ে ছাড়িয়ে আরো দূরে। মিল্কি ওয়ে’কে কেমন যে দেখাচ্ছে। এই আকৃতিটা কোথায় যেন দেখেছি এর আগেও। কোথায়? ... হ্যাঁ, মাইক্রোস্কোপের নিচে। তাই তো এটা একটা প্রাণীকোষের মত লাগছে না? বিষয়টা এখনো স্পষ্ট নয়। আরো এগিয়ে দেখা যাক। আরো গতি নিয়ে আরো এগোতে ছায়াপথগুলো মিলিয়ে আসতে আসতে অবিকল একটা চোখের মত দেখাচ্ছে। নাহ, আরো এগোতে হবে। যতই এগোনো, ততই ফেলে আসা মহাবিশ্বের অংশটা একটা পরিচিত রূপ ধারণ করছে। কয়েক বছর চলার পর সে মহাবিশ্বের শেষ প্রান্ত ছাড়িয়ে আরো আরো দূরে এসে পড়ে। তারপর বিস্ময়ের সাথে ব্রহ্মাণ্ডের দিকে তাকিয়ে দেখে এক অতি পরিচিত অবয়ব ! সেই অগুণতি জ্যোতিষ্কে গড়া শরীর থেকে কি অপূর্ব জ্যোতি ছড়িয়ে পড়ছে !
আরো এগোনো যেত। কিন্তু ঘড়ির অ্যালার্ম বাদ সাধল। স্কুলের জন্য চট জলদি রেডি হয়ে নিতে নিতে আজগুবি কিছু চিন্তা হঠাৎ হঠাৎ কুইক ফ্ল্যাশ দিয়ে যাচ্ছে। মাইক্রোস্কোপ, কালপুরুষ, হাইপার ডাইভ...
প্রথম ক্লাস বিজ্ঞানের। স্যার বলতে লাগলেন দেখ পরমাণুর মধ্যেও ফাঁকা স্থান রয়েছে। নিউক্লিয়াসকে কেন্দ্র করে ইলেকট্রনগুলো ঘুরছে, ঠিক যেমন সূর্যের চারদিকে গ্রহগুলো ঘুরছে।... কোথায় যেন আগেও শোনা না কথাগুলো?
[২০০২ এর ৯ সেপ্টেম্বর লিখেছিলাম। আজ ডায়েরি থেকে ডিজিটাল পাতায় লেখার সময় আংশিক এডিট করে লেখা।]
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ দুপুর ১২:১১

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




