গতরাতে (বৃহস্পতিবার) চ্যানেল আই এর ‘সেরা কণ্ঠ’ এর চুড়ান্ত পর্বের অনুষ্ঠানটি দেখছিলাম। প্রথমেই যে বিষয়টির দিকে দৃষ্টি পড়ে তা হল উপস্থাপিকার পোষাক। আমাদের সাংস্কৃতিক মূল্যবোধে একজন নারীর পক্ষে এই পোষাক শালীন নয়। চ্যানেল আই হয়তো ব্যবসার কাছে সমস্ত কিছু বন্ধক দিয়ে রেখেছে, কিন্তু যে ব্যক্তিটি উপস্থাপনায় আছেন তিনি ?? প্রগতি ?!? ময়ূরের পেখম পরে কাকের ময়ূর হওয়ার চেষ্টার নাম প্রগতি ? সামাজিক সাইটে অন্যের বিশ্বাসকে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে রক্তাক্ত করার নাম প্রগতি ? ওহে প্রগতিসং, প্রগতি কথাটার ভেতরে অনেক বিবেচ্য বিষয় রয়েছে। এবং প্রতিটি বিষয়ের পরিমিত মিথষ্ক্রিয়া ছাড়া বিভ্রান্তি অনিবার্য। আর এই ধরণের বিভ্রান্তি প্রতিটি শুভ উদ্যোগকে যে বাধাগ্রস্ত করে চলেছে তা দেখতে পাচ্ছ না ? চোখ নাই ?
চোখের দোষ কী ? দৃশ্য তৈরি হলে চোখ দেখবে। চোখে পড়ে যায় আমরা নর-নারীর প্রেম এবং অশ্লীলতার মাঝে কোন ফারাক রাখতে চাচ্ছি না আর। কেন রে বেটা ? তোর ধর্মীয়-সাংস্কৃতিক-সামাজিক শিক্ষা কি এতই ঠুনকো যে তোর পশ্চিমা বাবারা যা করবে তোকেও তাই করতে হবে ? তুই এবং তোর দল প্রগতির মেকাপ নিয়ে সং সেজে আছিস। জলদি আয়নায় মুখ দেখ। তোদের হচ্ছেনা। আর তোদের মত বদমাশগুলোর কারণে বড় বড় অর্জনের পথ বার বার পিচ্ছিল হয়ে যাচ্ছে। তোদের সাথে সবাইকে এক কাতারে ফেলে প্রগতিকে ধর্মের বিরোধী অবস্থানে দেখার সুযোগ তৈরি হয়েছে।
নীরদ সি চৌধুরী তার কোন একটা বইয়ে নারী-পুরুষের প্রেমের সম্পর্কের প্রাচ্য এবং পাশ্চাত্যের রূপটি নিয়ে একটি তুলনামূলক আলোচনা করেছিলেন। তিনি বেশ কয়েকটি উদাহরণ দিয়ে বলেছিলেন, যার অন্তরাল প্রয়োজন (যেমন শৌচক্রিয়া) তাকে টেনে হিচড়ে রাস্তায় নিয়ে এলে তাকেই অপমান করা হয়। নারী-পুরুষের মধুর সম্পর্কটিও তেমনি একটি বিষয়। এর অন্তরালটুকু ঘুচিয়ে যেখানে সেখানে তাকে নিয়ে এলে সম্পর্কটিকেই হেয় করা হয়। একই বক্তব্য কি পোষাক পরিচ্ছদের বিষয়েও প্রযোজ্য নয় ? একটি সাংস্কৃতিক হাওয়ায় মানবদেহের যতটুকু প্রদর্শন শোভন তার চেয়ে বেশি প্রদর্শনের অর্থ কী ? এই অপদার্থ, তুই যে চিৎকার করে বলিস অমুকরা এদেশকে পাকিস্তান বানাতে চায়, তুই নিজেও কি এদেশকে আমেরিকা বানাতে চাস না ?
ভাল হয়ে যা

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




