somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

জোছনা রাতের গল্প

১৫ ই অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১:০২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

জোছনা রাতের গল্প

হেমন্তের এক তারাভরা রাতে সুজয় চোখ মেলে চাইল। কোন দিক ধরে এসেছিলাম ? নাহ, কোন দিকচিহ্ন নেই। থাকতে নেই। মরু কি কখনো পদচিহ্ন এঁকে রাখে ? নক্ষত্রের আলোয় দূর দিগন্তে অস্পষ্ট একটা আভা। এখানে সুজয়ের একটা বাড়ি ছিল। দেখতে ঠিক যেন একটা মিনার। বাড়িটাকে পেঁচিয়ে সাপের মত সিঁড়ি উঠে গেছে। বাড়ির পাশে একটা খেজুর গাছ। জানালা দিয়ে তাকালে একটা কুয়াশার রাত। উপরে নীল জোছনা। নিচে কাছাকাছি দূরত্বের প্রগাঢ়তা। অবশ্য এমন উতলা জোছনায় কাছে-দূরে, সরল-গরল কোনটাই স্পষ্ট বোঝা যায় না। সেই রাতটা আচমকাই একটা পাহাড়ের গায়ে ভীড়েছিল। রাত বেড়েছে। রাতের কাছে বেড়েছে ঘুমের দেনা। এমন ধূসর রাত যে আমার অনেক দিনের চেনা। সুজয় হাঁটছিল বন-পাহাড়ের আড়ালে আড়ালে। পাতার ফাঁকে বড় এক রূপার থালা। কালি পড়া। পাতাগুলো ঝির ঝির বাতাসে নড়ে উঠে রূপার থালার কলঙ্ক মুছতে চায়। সেই স্পর্শে চাঁদের ধুলি কুয়াশা হয়ে ঝরতে থাকে ধূসর পাহাড়ের বুক জুড়ে। সেই কুয়াশা চোখ ভিজিয়ে দেয়। ভেজা চোখে সব ভেজা দেখায়। ভেজা রাত, ভেজা ঘাস, ভেজা নক্ষত্রের কাছাকাছি সুজয়। দূর পৃথিবীর গন্ধে ভাসে উদাস তেপান্তর। উদাস চোখে বাড়িটাকে খুঁজছে সুজয়। দিগন্তের কাছে একটা অস্পষ্ট আভা।

বাড়িটার পাশে একটা গাছ ছিল। গাছটা নির্বাক চোখে তাকিয়ে থাকত। গাছটা জোছনায় ভিজত। গাছটা অবাক চোখে তাকিয়ে থাকত। ধোঁয়ায় ধোঁয়ায় আকাশ গেল ছেয়ে। আঁধার এল আঁধার এল আলোর রেখা বেয়ে। জোছনার নীল আলোয় মন কেমন করত গাছটার। বাড়িটার গল্প পাহাড়টা শুনেছিল। অনেক মানুষ। অনেক মুখ। অনেক চোখ। এক জোড়া চোখ। একটা চশমা। রিমলেস ফ্রেম। নাহ, বাড়িটার দেখা নেই। বাড়িটার পাশে গাছটার পাশে সুজয় একবার এক জনকে খুব মেরেছিল। আশ্চর্য ! মারতে মারতে তার বয়স কমে যাচ্ছিল। সুজয় দেখল সে একটা লোককে না, মারছে একটা... নাহ, ... উঁহুঁ একটা শিশুকে ! একটা শিশুকে মেরে ফেলেছিল সুজয়। গাছটার মন খারাপ হয়ে যায়।

দিগন্তের কাছে অস্পষ্ট রেখা। বাড়িটার দেখা নেই। একি ! চাঁদ ! তুই কখন উঠলি বল তো ? এই মরুর বুকে একার সুখে কেমন আছিস বল তো ? যায় না মোছা খুব সহজে কলঙ্ক তার নাম। কিনে নিলাম তারেই দিয়ে হাজার রাতের দাম। সোনালী সোনালী গন্ধ। রূপালী আলোর রাত। সুজয়ের একটা বাড়ি ছিল। “এখানে এই ঘাসে হৃদয় ঢেকে নিয়ে ঘুচাব দ্বন্দের জয়ের ক্লান্তি। বলোনা কথা পাখি আস্তে ঝরো ফুল। ঘুমের রাত আসে শান্তি শান্তি।”
৭টি মন্তব্য ৮টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছি , অবৈধ দখলদার॥ আজকের প্রতিটি অন‍্যায়ের বিচার হবে একদিন।

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১০



ধিক ‼️বর্তমান অবৈধভাবে দখলদার বর্তমান নরাধমদের। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশে । বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষমা চাইতে হলো ! রাজাকার তাজুলের অবৈধ আদালতে। এর চাইতে অবমাননা আর কিছুই হোতে পারেনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন

আম্লিগকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধে আর কোন বাধা নেই

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:২২


মঈন উদ্দিন ফখর উদ্দিনের ওয়ান-ইলেভেনে সরকারের ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ভারতের সহায়তায় পাতানো নির্বাচনে হাসিনা ক্ষমতায় বসে। এরপরই পরিকল্পিত উপায়ে মাত্র দুই মাসের মধ্যে দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের পর্যায়ক্রমে বিডিআরে পদায়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

মিশন: কাঁসার থালা–বাটি

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:২৭

বড় ভাই–ভাবীর ম্যারেজ ডে। কিছু একটা উপহার দেওয়া দরকার। কিন্তু সমস্যা হলো—ভাই আমার পোশাক–আশাক বা লাইফস্টাইল নিয়ে খুবই উদাসীন। এসব কিনে দেওয়া মানে পুরো টাকা জ্বলে ঠালা! আগের দেওয়া অনেক... ...বাকিটুকু পড়ুন

আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৪৫


বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন

J K and Our liberation war১৯৭১

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯



জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×