বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড সংঘটনের জন্য বরাবরই অভিযুক্ত হয়ে আসছে এলিট ফোর্স হিসেবে পরিচিত র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন । স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাম্প্রতিক তদন্তে তথাকথিত ক্রসফায়ারের নামে র্যাব কমপক্ষে ৩টি হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে। তদন্ত দল সুনির্দিষ্ট ৩টি অভিযোগ তদন্ত করে ৩টি ক্ষেত্রেই একই চিত্র পেয়েছে।
এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকু সংবাদ মাধ্যমকে বলেছেন, কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়। মানবাধিকার লংঘন করলে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যরাও রেহাই পাবে না।
তিনি বলেন, "আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী কেন, যে কেউ আইনের উর্দ্ধে নয়। আপনারা জানেন যে র্যাবের সদস্যদের বিরুদ্ধেও আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। অনেককে সাসপেণ্ড করা হয়েছে, অনেকের বিরুদ্ধে ডিপার্টমেন্টাল অ্যাকশন নেয়া হয়েছে।"
এদিকে, র্যাবের মহাপরিচালক মোখলেসুর রহমান দাবি করেছেন, এখনও পর্যন্ত তারা কোনো তদন্ত প্রতিবেদন পাননি। ফলে এ ঘটনায় তারা কোনো ব্যবস্থা নেননি।
তিনি বলেন, "৩টি ঘটনার কথা তারা উল্লেখ করেছেন। সে সকল বিষয়ে স্বরাষ্ট মন্ত্রণালয় তদন্ত করেছেন। হয়ত তদন্ত করে তদন্তে কি পেয়েছেন সেটা অবশ্য আমাদের জানা নেই। আমাদের কাছে কোনো প্রতিবেদন আমরা পাই নাই।"
২০০৯ সালের জুনে র্যাবের গুলিতে তেজগাঁও পলিটেকনিক কলেজের ২ ছাত্র নিহত হয়। পরে র্যাবের পক্ষ থেকে এটিকে ‘এনকাউন্টার' দাবি করা হয়। নিহত দুজনকে সন্ত্রাসী হিসেবেও দাবি করে তারা।
কিন্তু ওই দুই ছাত্রের সহপাঠী ও শিক্ষকরা জানিয়েছিল, তারা সন্ত্রাসী নয়, বরং মেধাবী ছাত্র।
এমনকি পুলিশও নিহত ওই দুজনের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ খুঁজে পায়নি।
একইরকমভাবে রাজধানীর রামপুরায় উদীয়মান মডেল ও অভিনেতা কায়সার মাহমুদ বাপ্পী নিহত হওয়ার ঘটনাটিকেও ‘ক্রসফায়ার' হিসেবে দাবি করে র্যাব।
বাপ্পীকে তালিকাভুক্ত দাগী সন্ত্রাসী হিসেবে চিহ্নিত করে র্যাব-১ এর সদস্যরা সে সময় বিবৃতিও দিয়েছিল।
এরপর নিহত বাপ্পীর পরিবারের সদস্যরা এ ব্যাপারে মানবাধিকার কমিশনে অভিযোগ করেন। পরে কমিশনের পরামর্শে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে।
তদন্ত কমিটি প্রমাণ পেয়েছে, বাপ্পী র্যাবের সোর্সের ভুলের শিকার হয়েছে।
স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকু বলেছেন, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
তবে একরকম কোনো নির্দেশ পাওয়ার কথা স্বীকার করেননি র্যাবের শীর্ষ কর্মকর্তা। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কোনো তদন্ত প্রতিবেদন তারা পাননি বলে জানিয়েছেন।
র্যাবের মহাপরিচালক দাবি করেন, আত্মরক্ষার্থে কখনও র্যাব গুলি চালিয়ে থাকে।
তিনি বলেন, "যখন র্যাবের সদস্যরা আক্রান্ত হয়, অনেকক্ষেত্রেই দেখা যায় আহত-নিহত হয়েছে র্যাবের অনেক লোকই আছে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে হয়তো র্যাব নিজেদেরকে রক্ষার করার জন্য, আত্নরক্ষা করার জন্য চেষ্টা করেছে। এজন্য হয়তো কোনো লোক, এক্ষেত্রে আমি বলবো তাদেরকে মারা হয়েছে আমি মনে করি না, তারা মরেছে।
তিনি আরো জানান, প্রতিবেদন পেলে তারা তাদের করণীয় নির্ধারণ করবেন।
বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড সংঘটনের জন্য বরাবরই অভিযুক্ত হয়ে আসছে এলিট ফোর্স হিসেবে পরিচিত র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন । স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাম্প্রতিক তদন্তে তথাকথিত ক্রসফায়ারের নামে র্যাব কমপক্ষে ৩টি হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে। তদন্ত দল সুনির্দিষ্ট ৩টি অভিযোগ তদন্ত করে ৩টি ক্ষেত্রেই একই চিত্র পেয়েছে।
এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকু সংবাদ মাধ্যমকে বলেছেন, কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়। মানবাধিকার লংঘন করলে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যরাও রেহাই পাবে না।
তিনি বলেন, "আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী কেন, যে কেউ আইনের উর্দ্ধে নয়। আপনারা জানেন যে র্যাবের সদস্যদের বিরুদ্ধেও আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। অনেককে সাসপেণ্ড করা হয়েছে, অনেকের বিরুদ্ধে ডিপার্টমেন্টাল অ্যাকশন নেয়া হয়েছে।"
এদিকে, র্যাবের মহাপরিচালক মোখলেসুর রহমান দাবি করেছেন, এখনও পর্যন্ত তারা কোনো তদন্ত প্রতিবেদন পাননি। ফলে এ ঘটনায় তারা কোনো ব্যবস্থা নেননি।
তিনি বলেন, "৩টি ঘটনার কথা তারা উল্লেখ করেছেন। সে সকল বিষয়ে স্বরাষ্ট মন্ত্রণালয় তদন্ত করেছেন। হয়ত তদন্ত করে তদন্তে কি পেয়েছেন সেটা অবশ্য আমাদের জানা নেই। আমাদের কাছে কোনো প্রতিবেদন আমরা পাই নাই।"
২০০৯ সালের জুনে র্যাবের গুলিতে তেজগাঁও পলিটেকনিক কলেজের ২ ছাত্র নিহত হয়। পরে র্যাবের পক্ষ থেকে এটিকে ‘এনকাউন্টার' দাবি করা হয়। নিহত দুজনকে সন্ত্রাসী হিসেবেও দাবি করে তারা।
কিন্তু ওই দুই ছাত্রের সহপাঠী ও শিক্ষকরা জানিয়েছিল, তারা সন্ত্রাসী নয়, বরং মেধাবী ছাত্র।
এমনকি পুলিশও নিহত ওই দুজনের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ খুঁজে পায়নি।
একইরকমভাবে রাজধানীর রামপুরায় উদীয়মান মডেল ও অভিনেতা কায়সার মাহমুদ বাপ্পী নিহত হওয়ার ঘটনাটিকেও ‘ক্রসফায়ার' হিসেবে দাবি করে র্যাব।
বাপ্পীকে তালিকাভুক্ত দাগী সন্ত্রাসী হিসেবে চিহ্নিত করে র্যাব-১ এর সদস্যরা সে সময় বিবৃতিও দিয়েছিল।
এরপর নিহত বাপ্পীর পরিবারের সদস্যরা এ ব্যাপারে মানবাধিকার কমিশনে অভিযোগ করেন। পরে কমিশনের পরামর্শে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে।
তদন্ত কমিটি প্রমাণ পেয়েছে, বাপ্পী র্যাবের সোর্সের ভুলের শিকার হয়েছে।
স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকু বলেছেন, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
তবে একরকম কোনো নির্দেশ পাওয়ার কথা স্বীকার করেননি র্যাবের শীর্ষ কর্মকর্তা। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কোনো তদন্ত প্রতিবেদন তারা পাননি বলে জানিয়েছেন।
র্যাবের মহাপরিচালক দাবি করেন, আত্মরক্ষার্থে কখনও র্যাব গুলি চালিয়ে থাকে।
তিনি বলেন, "যখন র্যাবের সদস্যরা আক্রান্ত হয়, অনেকক্ষেত্রেই দেখা যায় আহত-নিহত হয়েছে র্যাবের অনেক লোকই আছে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে হয়তো র্যাব নিজেদেরকে রক্ষার করার জন্য, আত্নরক্ষা করার জন্য চেষ্টা করেছে। এজন্য হয়তো কোনো লোক, এক্ষেত্রে আমি বলবো তাদেরকে মারা হয়েছে আমি মনে করি না, তারা মরেছে।
তিনি আরো জানান, প্রতিবেদন পেলে তারা তাদের করণীয় নির্ধারণ করবেন।