বেকার- আমরা প্রায় অনেকেই। কিন্তু চাইলেই আমরা বেকারত্ব দূর করতে পারি। কিন্তু কিভাবে! নানা রকম কর্মসংস্থান এর মাধ্যমে। view this link– আমার মতে সব থেকে ভালো উপায়। আমি নিজেই প্রায় ৬/৭ বছবর Freelancing করেছি । এর জন্য আমাকে অনেক কিছুই দিতে হয়েছে। যেমন- সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং এ পড়তাম – সেটা হয়নি। এরপর কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং এ ট্রাই করালাম- সেটাও হয়নি কারন – শেখার আগ্রহ আমাকে পাগল করে তুলেছিলো। শেষ পর্যন্ত এ ফ্রীল্যান্সিং (Freelancing) এর জন্যই অনেক কিছু জানা ও শেখা। এসব বাদ, ফাইনালি একটা চিন্তা আমাকে নতুন করে ভাবালো আর সেটা হলো বেকারদের জন্য কিছু করা। এই ফ্রীল্যান্সিং করতে হলে অনেক ক্যাটাগরির মধ্যে পছন্দের ক্যাটাগরি খুজে নিতে হয়। কারন, আপনি যে কাজটি করবেন , সেটি যদি ভালোবাসার সাথে না করতে পারেন- তাহলে আপনার মানুষিক তৃপ্তি কখনই আসবে না। তাই প্রথমে আপনাকে ক্যাটাগরির নির্বাচন করতে হবে। যেমন ধরুন- এম এস অফিস প্রোগ্রাম সব থেকে সহজ। কিন্তু সমস্যা হলো- আপনাকে নতুন কাজ পেতে যথেষ্ঠ পরিশ্রম করতে হবে কারন কাজটা সহজ তাই কম্পিটিটরও অনেক বেশি। ওয়েব ডিজাইন – খুব ভালো একটি ক্যাটাগরি। এটি করতে পারেন , অন্যদিকে ওয়েব ডেভলপমেন্ট- মারাত্মক রকমের একটা বেস্ট ক্যাটাগরি। এসবের মধ্যে সি এম এস বা কন্টেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম সবথেকে ভালো। সি এম এস এর মধ্যে যেমন ওয়ার্ডপ্রেস, ড্রুপল, জুমলা সব থেকে পপুলার। তারমধ্যে ওয়ার্ডপ্রেস সব থেকে সেরা (আমার মতে ও অনেকের মতে)। আবার সহজ কাজের মধ্যে আছে অ্যামাজন প্রডাক্ট নিয়ে কাজ করা। ফ্রীল্যান্সিং মানে আসলে কি, আমি এতক্ষন ধরে সেটাই বোঝানোর চেস্টা করলাম। তাই প্রথমে আপনাকে একটা ক্যাটাগরির নির্বাচন করতে হবে এবং সেটি শেখার জন্য উঠে পরে লাগতে হবে। আপনি আপনার আসেপাশে এম এস অফিস, সিপিএ মার্কেটিং বা ডিজিটাল মার্কেটিং ব্যাতিত কোন কোর্স সজজে করতে পারবেন না। কেননা সেই সার্ভিস বা কোর্স খুব কম জায়গায় অফার করা হয়। যাইহোক আমি আপনাদের ওয়েব ডেভলপমেন্ট, ওয়েবডিজাইন, সি এম এস, ওয়ার্ডপ্রেস, জুমলা, ড্রুপল — এসব হাই ক্যাটাগরির কোর্স নিতে পারবো। আমিপ্রায় ৭ বছর নানা দেশে ফ্রীল্যান্সিং করেছি। গত বছর ব্যাক্তিগত কারনে ব্যাস্ত ছিলাম আর তাই ফ্রীল্যান্সিং এ সময় দেয়া আসলে সম্ভব হয়নি। একটা নতুন চিন্তা মাথায় এলো। বেকার সমস্যা দূর করা এর জন্য। একজন দক্ষ ফ্রীল্যান্সার না হওয়া পর্যন্ত সেটি চলতে থাকবে। এসব কোর্স করতে গেলে আপনাকে ঢাকায় নানা যায়গায় যেতে হবে। কিন্তু সেটি অনলাইন এ করলে কেমন হয়! আমার মতে খুব ভালো হয়। অথবা একটা আইটি ফার্ম ও ট্রেনিং সেন্টার চালু করার চিন্তা করছি। আপনারা সেখানেও এসে শিখতে পারেন। একটা কথা বলে রাখি, গরিব ও মেধাবী দের জন্য সুবিধা থাকবে। তারা, যেকোন পরিমানের টাঁকা গুরুদক্ষিণা হিসেবে দিতে পারবে।
খরচঃ
১, এম এস অফিস কোর্স (১ মাস, ৩০০০ টাকা+ফ্রী ফ্রীল্যান্সিং শুরু ও অনলাইনে প্রথম উপার্জন/জব/প্রোজেক্ট পর্যন্ত সবরকম সাপোর্ট । ঢাকার মধ্যে এই কোর্স করতে আপনার টাঁকা গুনতে হবে ৭০০০ থেকে ১০০০০ টাঁকাএই ক্যাটাগরিতে কাজ করে আপনি মাসে ৩০০০০ টাঁকা থেকে ১০০০০০ টাঁকা পরজন্ত উপার্জন করতে পারেন। একজন ভালো ও দক্ষ ফ্রীল্যান্সারকে প্রতি ঘন্টায় ৭ থেকে ১০ ডলার পর্যন্ত টাঁকা দেয়া হয় (১ ডলার সমান ৮০ টাঁকা+ ))
২, ওয়েব ডিজাইন (১ মাস, ১০০০০ টাকা+ফ্রী ফ্রীল্যান্সিং শুরু ও অনলাইনে প্রথম উপার্জন/জব/প্রোজেক্ট পর্যন্ত সবরকম সাপোর্ট । ঢাকার মধ্যে এই কোর্স করতে আপনার টাঁকা গুনতে হবে ১৫০০০ থেকে ২০০০০ টাঁকা। এই ক্যাটাগরিতে কাজ করে আপনি মাসে ৩০০০০ টাঁকা থেকে ১০০০০০ টাঁকা পরজন্ত উপার্জন করতে পারেন। একজন ভালো ও দক্ষ ফ্রীল্যান্সারকে প্রতি ঘন্টায় ৪০ ডলার পর্যন্ত টাঁকা দেয়া হয় (১ ডলার সমান ৮০ টাঁকা+ ))
৩, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট(১ মাস, ১০০০ টাকা+ফ্রী ফ্রীল্যান্সিং শুরু ও অনলাইনে প্রথম উপার্জন/জব/প্রোজেক্ট পর্যন্ত সবরকম সাপোর্ট । ঢাকার মধ্যে এই কোর্স করতে আপনার টাঁকা গুনতে হবে ৭০০০ থেকে ১০০০০ টাঁকা । এই ক্যাটাগরিতে কাজ করে আপনি মাসে ৩০০০০ টাঁকা থেকে ১০০০০০ টাঁকা পরজন্ত উপার্জন করতে পারেন। একজন ভালো ও দক্ষ ফ্রীল্যান্সারকে প্রতি ঘন্টায় ৫০ ডলার পর্যন্ত টাঁকা দেয়া হয় (১ ডলার সমান ৮০ টাঁকা+ ))
৩, সি এম এস – ওয়ার্ডপ্রেস ( বর্তমান সময়ে সবথেকে জনপ্রিয়*** ১ মাস, ৭০০০ টাকা+ফ্রী ফ্রীল্যান্সিং শুরু ও অনলাইনে প্রথম উপার্জন/জব/প্রোজেক্ট পর্যন্ত সবরকম সাপোর্ট । ঢাকার মধ্যে এই কোর্স করতে আপনার টাঁকা গুনতে হবে ১৫০০০ থেকে ২০০০০ টাঁকা । এই ক্যাটাগরিতে কাজ করে আপনি মাসে ৩০০০০ টাঁকা থেকে ১০০০০০ টাঁকা পরজন্ত উপার্জন করতে পারেন। একজন ভালো ও দক্ষ ফ্রীল্যান্সারকে প্রতি ঘন্টায় ৫০ ডলার পর্যন্ত টাঁকা দেয়া হয় (১ ডলার সমান ৮০ টাঁকা+ )
৪, গুগল এডসেন্স + ওয়েব ডিজাইন+ওয়ার্ডপ্রেস ( গুগলের নাম শোনেনি, এরকম লোক পৃথিবীতে খুব কম। আর গুগলের সাথে কাজ করতে পারা! বুঝতে পাচ্ছেন। আইটিতে- গুগল এডসেন্স কে বলা হয় “সোনার হরিন” – এটাকে সরকারি চাকুরির সাথেও তুলনা করা যায়। এ থেকে মাসে ১০০০০ টাঁকা থেকে ৫০০০০০ টাঁকা পর্যন্ত উপার্জন করা সম্ভব। ১ মাস, ১০০০০ টাকা+ফ্রী ফ্রীল্যান্সিং শুরু ও অনলাইনে প্রথম উপার্জন/জব/প্রোজেক্ট পর্যন্ত সবরকম সাপোর্ট । ঢাকার মধ্যে এই কোর্স করতে আপনার টাঁকা গুনতে হবে ১৫০০০ থেকে ২০০০০ টাঁকা)
– আপনি একজন দক্ষ ও পেশাদার ফ্রীল্যান্সার এর কাছ থেকে শিখতে পারবেন, যা খুব সহজে সম্ভব হয় না। আর আবারো বলছি, গরিব ও মেধাবিদের জন্য – তারা যেকোন পরিমান টাঁকা গুরুদক্ষিনা হিসেবে দিতে পারে।
গোপন কথাঃ প্রথম অবস্থায় আপনাকে একটা ভালো প্রফাইল তৈরীর কথা ভাবতে হবে। কারন একজন ক্লাইন্ট আপনার প্রোফাইল দেখে আপনাকে বিচার করবে। তাই আপনাকে চিন্তা করতে হবে- প্রথমে আমি আমার প্রোফাইল তৈরী করবো। এর জন্য ৩ মাস আপনাকে লড়াই করতে হবে। কারন সারা পৃথিবী এর মানুষ এর সাথে আপনার ক্যাটাগরিতে লড়াই করতে হবে – কাজ পাওয়ার জন্য। তাই প্রথম অবস্থায় টাকার পরিমান কম হবে এবং যখন আপনি প্রমান করতে পারবেন যে আপনি দক্ষ- তখন আপনি আপনার ন্যায্য পারিশ্রমিক পাবেন।
http://www.jobworktask.com/online-course/
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১:০৯