চাকরির বাজার সুবিধার নয়। ছোট-খাট ব্যবসা করার মতো আর্থিক সামর্থ্যও আছে কম মানুষের। সীমিত বেতনের টাকায় সংসার চালাতে হিমশিম খায় অধিকাংশ মানুষ। তাই অটোরিকশার চালক থেকে শুরু করে, শিক্ষার্থী, অধ্যাপক, চাকরিজীবী, ছোট ব্যবসায়ী, বড় ব্যবসায়ী- দেশের নানা পেশার মানুষ অন্য ব্যবসা বা উৎপাদক কোম্পানিতে ছোট ছোট বিনিয়োগ করেই তাদের লাভে ভাগ বসাতে শুরু করেছে। রাস্তাঘাটে, বন্ধুদের আড্ডায়, অফিস-আদালতে এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে শেয়ার বাজার। অনেকটা ভাগ্য পরীক্ষার মতো প্রতিদিনই এ বাজারে কেউ হারে কেউ জেতে। এইসব বিনিয়োগকারীর সাতকাহন শুনুন রাফে সাদনান আদেলের প্রতিবেদনে।
বিশ্বে চলছে অর্থনৈতিক মন্দা। বাংলাদেশও এ থেকে মুক্ত নয়। বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাড়তি দামের কারণে মধ্যবিত্তের সংসারে নেই স্বস্তির ছোঁয়া। এই অর্থনৈতিক টানাপড়েন থেকে মুক্তি পাওয়ার আশায় নিজের পেশার পাশাপাশি বাড়তি কিছু আয়ের খোঁজে মানুষ ছুটছেন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে। আবার অনেকেই শেয়ার ব্যবসাকেই পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছেন।
মুদি দোকানদার থেকে শুরু করে ঘরের গৃহিণী পর্যন্ত বিভিন্ন পেশার মানুষ জড়িয়ে আছেন শেয়ার ব্যবসার সঙ্গে। দিন দিন বাড়ছে নারী বিনিয়োগকারীর সংখ্যাও।
পিছিয়ে নেই কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও। তবে তাদের অধিকাংশই আসেন ঝোঁকের মাথায়। ফলে তাদের বিনিয়োগ দীর্ঘ সময়ের জন্য স্থায়ী হয় না। একটু সচেতনতা এই চিত্র পাল্টে দিতে পারে বলে মনে করেন শেয়ার বাজারের অভিজ্ঞ একজন।
পুঁজিবাজার নানা কারণে অস্বাভাবিক আচরণ করে। এতে অনেক সময় বিপাকে পড়েন ছোট বিনিয়োগকারীরা। এজন্য অবশ্য নিজেদের জানাশোনার অভাবকেই দায়ী করলেন একজন ক্ষুদে বিনিয়োগকারী।
বাড়তি আয়ের জন্য কাঠখড় কম পোড়াতে হয় না ক্ষুদে বিনিয়োগকারীদের। বাজারের কালোবাজারীদের উৎপাত নিয়েও আছে ক্ষোভ। নেই প্রতিকার।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের ছোট ছোট বিনিয়োগেই পুঁজিবাজার চাঙ্গা হয়ে ওঠে। বাড়ে বাজারের পরিসর, সমৃদ্ধ হয় দেশের অর্থনীতি। তারপরও গত একশ বছরেও পরিণত হয়নি প্রতিষ্ঠানটি। ছোট বিনিয়োগকারীরা এখন তাই পুঁজি বিনিয়োগের সুস্থ পরিবেশ চান।