পানির অভাবে যখন কৃষকের জমিতে ফাটল ধরে, ধূলামই পথ দিয়ে হেঁটে কর্মস্থলে যাওয়া দিনমজুর, তৃষ্ণার্ত কাঁক কা কা, রুখ গাছপালা পেতে চাওয়া একটু সজীবতা । সবকিছু মিলিয়ে সবার দৃষ্টি যেন আকাসের দিকে কখন এক পসলা বৃষ্টি হবে।
আজ যেন আল্লাহ্ তা’আলার কাছে চাওয়ার একটি দিন ছিল। শুক্র বার , সবাই সকাল থেকেই হাতের কাজ গুলি তারাতারি করে প্রস্তুতি নিতে থাকে জুম্মার নামাজ পরার জন্য । জুম্মার নামাজ শেষে হাত তুলে দো’আ ধরে সবাই।ছোট,বড় ,ধনী,গরীব সবার মনের চাওয়া যেন আজ এক সাথে মিলে গেছে আজ। বৃষ্টি এক পসলা বৃষ্টি যেন হই। নামাজ শেষ করে,বাড়িতে ফিরে খানাদানা শেষ করে ঘরে বসে বিশ্রাম নেওয়া আর হইনা।কারন একটাই লোডশেডিং ।যাক গ্রাম হওয়া সবাই একটু নিঃশ্বাস ফেলতে পারে। কিছুটা সমই কথা বলতে বলতে কেটে গেল ,কেউ কেউ বের হইয়ে যাই জীবিকার সন্ধানে আবার কেউ কেউ ফেলে রাখ ছোটখাট কজ গুলো করার জন্য চলে যাই। ঠিক সেই সময়ই আকাসের রং কালো হইয়ে আসে।সবার মনে মনে সুখের বাতাস বয়তে লাগল। কেউ’ত জান্ত না সেই কালো আকাশ কারো জীবনটাকে কালো করে দিবে,চলে যেতে হবে পৃথিবী ছেড়ে।
ধমকা বাতাস ,শিলা বৃষ্টি, কালো আকাশ, বিজলীঃ- সব মিলিয়ে যেন কাল বৈশাখী ঝড়। ঘরে ফিরার সময়ই টুকু পাইনি কেউ। উরিয়ে দেই ঘরবাড়ি,গাছপালা,রাস্তাই চলিত সিএনজি অটোরিকশা। পুকুরের পাশ দিয়ে হেঁটে যাওয়া এক বৃদ্ধা প্রবল বাতাসে পানিতে পরে ডুবে মারা যান। কেউ শুনেনি বৃদ্ধার শেষ আর্তনাত। গাছের ভেঙ্গে যাওয়া ডালের আঘাতে আহত হই অনেকে।ক্ষয়ক্ষতি হই ফসলের।
যারা এই ঝরে ক্ষতিগ্রস্ত হইছে তারা যেন আবার স্বাভবাবিক জীবনে ফিরে আসে সেই প্রার্থনা করি।
ঘটনাস্থানঃ ব্রাহ্মনবারিয়া সদর, মোহাম্মাদপুর গ্রাম।