somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মৃত্যু এবং অতঃপর...

১১ ই ডিসেম্বর, ২০১০ বিকাল ৪:৫১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

গতকাল তথা ১০ ডিসেম্বর, ২০১০ তারিখে রাত সাড়ে নয়টা নাগাত রোমান এর মামা যখন রোমানের মা'র শোবার ঘরের জানালার কোবাট লাগাচ্ছিলেন তখন রোমানের মা বারবার তার ভাইকে নিষেধ করছিলেন জানালার কোবাট লাগানোতে। কেননা তাঁর একমাত্র ছেলে রোমান জানালা দিয়ে তাঁর কাছে আসবে। জানালার কোবাট আটকানো থাকলে তাঁর (মা'র) ছেলে রোমানের পক্ষে তাঁর কাছে আসা সম্ভব হবে না, এই-ই মায়ের আহাজারি।
মো: রোমান, ২৩ বছরের ছুটে চলা এক যুবক, গতকাল সকাল পৌনে ৭টায় ঢাকা মেট্রোপলিটান হাসপাতালে তার শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেছেন। মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত (২০ দিন যাবত) হাসপাতালের আইসিইউতে মৃত্যুর সাথে যুদ্ধ করেছে রোমান। একটি মোটর সাইকেল এক্সিডেন্টে মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে জ্ঞান হারায় রোমান এবং সেই জ্ঞান আর তার ফিরে আসে নাই। বিজ্ঞ ডাক্তারগণের প্রানান্তকর প্রচেষ্টা আর মা-বাবাসহ আত্মীয়-বন্ধু-বান্ধব সকলের দোয়াকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে মৃত্যু তাকে ছিনিয়ে নিয়ে গেছে এ পৃথিবীর সকল মানুষের কাছ থেকে।
রোমানকে কবরে শুইয়ে দিয়ে তার ওপর মাটি দিয়ে ভরাট করে আল্লাহর কাছে ছেলের জন্য দোয়া করে রোমানের বাবা বাড়িতে ফিরে আসেন তাঁর বন্ধু আর অন্য অনেকের সাথে। এবং এর অব্যহতিকালে সে (বাবা) শুধু বলতে থাকেন আইসিইউতে তাঁর ছেলের অনেক কষ্ট হয়েছে। তাঁর চারপাশে এত এত মানুষ থাকার পরেও তাঁর মনে হতে থাকে সে নি:শ্ব এবং অসহায়।
তারও আগে রোমানের মৃত্যু সংবাদ শোনার পর তার শ্বাশুরি ডুকরে কাঁদতে থাকেন হাসপাতালে (উপস্থিত অন্যান্য মানুষের সামনেই)। তাঁর এই কান্না কেউ সহজভাবে নিক বা না নিক, এতে কেউ বিরক্ত ইউক বা না হোক তাতে তাঁর কিছু যায় আসে না।
এবং ঠিক একইভাবে কাঁদতে থাকেন রোমানের মামাগণ, স্ত্রী, বোন আর বন্ধু-পরিজন।
(মৃত্যুর কোন সময় অসময় নেই। তাই বলে কি এমনভাবে...!
যে অসাবধানতা (একসিডেন্ট এর সময় রোমানের মাথায় কোন হেলমেট ছিল না) এই ঘটনার সাক্ষী হয়ে থাকল, তা কারোই আপন নয়, বরং ধ্বংসকারী। আর এইখানেই মানুষের প্রচেষ্টা আর সাবধানতার বোধ।)
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কুরসি নাশিন

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৯ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:১৫


সুলতানি বা মোগল আমলে এদেশে মানুষকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছিল৷ আশরাফ ও আতরাফ৷ একমাত্র আশরাফরাই সুলতান বা মোগলদের সাথে উঠতে বসতে পারতেন৷ এই আশরাফ নির্ধারণ করা হতো উপাধি... ...বাকিটুকু পড়ুন

বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন আর আদর্শ কতটুকু বাস্তবায়ন হচ্ছে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৯ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:৩৭

তার বিশেষ কিছু উক্তিঃ

১)বঙ্গবন্ধু বলেছেন, সোনার মানুষ যদি পয়দা করতে পারি আমি দেখে না যেতে পারি, আমার এ দেশ সোনার বাংলা হবেই একদিন ইনশাল্লাহ।
২) স্বাধীনতা বৃথা হয়ে যাবে যদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

কৃষ্ণচূড়া আড্ডার কথা

লিখেছেন নীলসাধু, ১৯ শে মে, ২০২৪ দুপুর ১:০২



গতকাল পূর্ব নির্ধারিত কৃষ্ণচূড়ায় আড্ডায় মিলিত হয়েছিলাম আমরা।
বছরের একটি দিন আমরা গ্রীষ্মের এই ফুলটির প্রতি ভালোবাসা জানিয়ে প্রকৃতির সাথে থাকি। শিশুদের নিয়ে গাছগাছালি দেখা, ফুল লতা পাতা চেনাসহ-... ...বাকিটুকু পড়ুন

সকাতরে ঐ কাঁদিছে সকলে

লিখেছেন হাসান মাহবুব, ১৯ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৩:২৯

সকাতরে ওই কাঁদিছে সকলে, শোনো শোনো পিতা।

কহো কানে কানে, শুনাও প্রাণে প্রাণে মঙ্গলবারতা।।

ক্ষুদ্র আশা নিয়ে রয়েছে বাঁচিয়ে, সদাই ভাবনা।

যা-কিছু পায় হারায়ে যায়,... ...বাকিটুকু পড়ুন

বসন্ত বিলাসিতা! ফুল বিলাসিতা! ঘ্রাণ বিলাসিতা!

লিখেছেন নাজনীন১, ১৯ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৪:০৯


যদিও আমাদের দেশে বসন্ত এর বর্ণ হলুদ! হলুদ গাঁদা দেখেই পহেলা ফাল্গুন পালন করা হয়।

কিন্তু প্রকৃতিতে বসন্ত আসে আরো পরে! রাধাচূড়া, কৃষ্ণচূড়া এদের হাত ধরে রক্তিম বসন্ত এই বাংলার!

ঠান্ডার দেশগুলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

×