পৃথিবীতে মানবজাতির আগমনের পর যখন থেকে মানুষ একটু একটু করে কৌতুহল হতে থাকলো, তখনকার সময় সেই কৌতুহল ছিলো আকাশ-মহাকাশ,চন্দ্র-সূর্য নিয়ে।মানে জ্যোতির্বিজ্ঞান থেকেই বিজ্ঞানের সূচনা।
কিন্তু আমরা এখনো জ্যোতির্বিজ্ঞানে পিছিয়ে আছি। হাতে গোণা কয়েকজন মাত্র এই পথে পা বাড়ায়।কিন্তু আমাদের এই পিছিয়ে পরার প্রধান কারণ হচ্ছে আমাদের ভূলভ্রান্তি।আমরা জ্যোতির্বিজ্ঞান কে জ্যোতির্শাস্ত্র মনে করি।কিন্তু জ্যোতির্বিজ্ঞান এবং জ্যোতির্শাস্ত্রের মধ্যে ডোজন ডোজন পার্থক্য রয়েছে।
জ্যোতির্শাস্ত্র হচ্ছে আকাশের নক্ষত্র মণ্ডলকে ধর্মীয় ভাবে ব্যবহার করে ভবিষ্যত নির্ণয় করা।যা সম্পূর্ণ আজগবী।
কিন্তু 'জ্যোতির্বিজ্ঞান ' হচ্ছে জ্যোতির্শাস্ত্র হতে সম্পূর্ণ ভিন্ন।জ্যোতির্বিজ্ঞান হচ্ছে মহাবিশ্বের রহস্যগুলোকে তাত্বিক ও পর্যবেক্ষণ ভাবে বৈজ্ঞানিক যুক্তি দ্বারা বিশ্লেষণ করা।জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা এটি বিশ্লেষণ করে থাকে।জ্যোতির্বিজ্ঞান বিজ্ঞানেরই একটি বিরাট অংশ।আকাশে আমাদের দেখা না দেখা রহস্যগুলোকে সলভ করার নামই হচ্ছে জ্যোতির্বিজ্ঞান।
আর ইংরেজি শব্দতেও আমরা জ্যোতির্বিজ্ঞান ও জ্যোতির্শাস্ত্র গুলিয়ে ফেলি। জ্যোতির্বিজ্ঞান এর ইংরেজি অর্থ হচ্ছে 'Astronomy '। অপরদিকে জ্যোতির্শাস্ত্রের ইংরেজি অর্থ হচ্ছে 'Astrology '।দুটির মধ্যে যথেষ্ট ভিন্নতা রয়েছে।
ঐদিন এক পত্রিকায় দেখলাম জ্যোতির্বিজ্ঞান নিয়ে পরাশোনা করা নিয়ে একটি আর্টিকেল প্রকাশ হয়েছে। সেখানেও জ্যোতির্বিজ্ঞানের ইংরেজি অর্থ ' Astrology' লেখা রয়েছে। তো এসব আগে ঠিক করতে হবে।
আমাদের দেশের কোন সন্তান যখন তার অভিভাবকের কাছে বলে আমি অমূক জ্যোতির্বিজ্ঞান কর্মশালায় জেতে চাই। কিন্তু অভিভাবকের উত্তর হয় আরে জ্যোতির্বিজ্ঞান মানেই তো ভন্ডামি।এসবের মধ্যে যেয়োনা।ব্যাস, হয়ে গেলো।
গণিত অলিম্পিয়াড ও পদার্থবিজ্ঞান অলিম্পিয়াড এ তো ঠিকই স্পন্সর পাওয়া যায়।কিন্তু অ্যাস্ট্রো অলিম্পিয়াড এ তো আমরা স্পন্সরের অভাবে আন্তর্জাতিক অ্যাস্ট্রো অলিম্পিয়াড এ যেতে পারিনা।
জ্যোতির্বিজ্ঞান নিয়ে আমাদের এসব ভূল ধারণা বদলাতে হবে। প্রকৃত মানুষ অবশ্যই এসব ভূলভ্রান্তি মাথা থেকে ঝেরে ফেলতে পারবে।
লিখেছেন :- আদিব আখন্দ (Adib Akhand)
facebook:-(facebook.com/akhandadib)
twitter:- (twitter.com/adibakhand_08)