এখন, তারা ধমক দিচ্ছে, যে টেবিলের উপর যা আছে তার উপর আমার কোনো অধিকার নেই। টেবিলের উপর যা আছে তা শুধু তাদেরই। আমি তা নেয়ার চেষ্টাও করছিনা।
"যাও, টেবিলে বস।"-আমি বললাম।
"যত খুশি খাও,যতক্ষন পর্যন্ত আর খেতে পারবেনা ততটুকু খাও। তারপর,টেবিলে যা অবশিষ্ট থাকবে...যা তোমরা খেতে পারবেনা...চেষ্টা করলেও...তা আমাদের বাকীদের জন্য ছেড়ে দাও"
আর এ কারণেই,তারা আমাকে ধ্বংস করতে চাইছে। তারা টেবিলে যা ফেলে গিয়েছিলো তা নেয়া এবং আপনাদের জন্যে কিছু তৈরীতে তা ব্যবহার করার দোষে,৩০০০ মাইল হাইওয়ে, ১১১টা ব্রীজ,২০৮টা নতুন স্কুল,৬০০০০ ব্র্যান্ডনিউ চাকরী তৈরী করতে চেয়েছিলাম আমি।এখন তারা আমাকে ধ্বংস করতে চায়, কারণ তারা ধ্বংস করতে চায় আপনাকে।
"All The King's Man" চলচ্চিত্রে নাকউচুঁ ধনী স্বার্থান্বেষী ব্যবসায়ী আর তাদের সুবিধাভোগী দুর্নীতিগ্রস্ত রাজনীতিবিদদের বিরুদ্ধে এই কথাগুলো বললেন
আমেরিকার লুইজিয়ানা স্টেট-এর গভর্ণর উইলি স্টার্ক। গভর্ণর নির্বাচনের প্রাক্কালে দুই প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী-র একজন হ্যারিসন অপর প্রার্থী ম্যাকমারফী-র ভোটগুলোকে বিচ্ছিন্ন করতে স্টার্ককে বেছে নেয়। কিন্তু দরিদ্র জনগণদের কাছে হ্যারিসন-এর কূটচাল জানিয়ে দিয়ে এবং নিজের বলিষ্ঠ বক্তৃতার মাধ্যমে স্টার্ক নিজেই অপ্রত্যাশিতভাবে গভর্ণর নির্বাচিত হয়। প্রতিশ্রুতি অনুসারে সে গরীব জনগোষ্ঠীর জন্য কাজ করে, কিন্তু ট্যাক্স ফাঁকি দেয়া ধণী ব্যবসায়ীদের স্বার্থে আঘাত লাগায় তারা স্টার্কের বিরুদ্ধে সিনেটে অনাস্থা প্রস্তাব আনে। এই ছবিটি হলো ধনী ব্যবসায়ী, রাজনীতিবিদ আর নিজের বিশ্বাসঘাতক সহকর্মীদের বিরুদ্ধে স্টার্কের,প্রকারান্তরে শোষকের বিরুদ্ধে শোষিতের যুদ্ধের প্রতিচ্ছবি।
২০০৬সালে মুক্তি পাওয়া এই ছবিটি ১৯৪৯সালে একই নামে মুক্তি পাওয়া আরেকটি ছবির রিমেক।
শন পেন,জ্যুড ল,এন্থনি হপকিন্স,কেট উইন্সলেট প্রধাণ কয়েকটি চরিত্রে অভিনয় করেছেন, আর মুভিটি পরিচালনা করেছেন স্টিভ ঝাঁ।
প্রথম অংশে দেয়া অনুবাদ ভুল হলে ক্ষমাপ্রার্থী।[/si
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১:৩৬