লেডি গাগার 'পোকার ফেস' গানটি দিয়েই তার গানের সাথে আমার প্রথম পরিচয়। কিন্তু এই একটা গান শুনেই আমি তার ফ্যান হয়ে যাই নি। হাজার বার তার যে গানটা শুনেছিলাম এবং এখনো শুনি সেটা হল 'জাস্ট ড্যান্স'; এরপর একে একে তার আরো গান ভাল লাগতে শুরু করে। সেগুলোর মধ্যে আছে 'টেলিফোন', 'পাপারাজ্জি', 'জুডাস', 'আলেহান্দ্রো', 'পেপার গ্যাংস্টা', 'স্টার স্ট্রাক' এবং আরো কয়েকটি গান। এমন সময়ও গিয়েছে যখন সারাদিন শুধু লেডি গাগারই গান। শুনতাম। লেডি গাগা খুব কম সময়েই খ্যাতির চূড়ায় পৌঁছে গিয়েছেন। হয়েছেন বিতর্কিত ম্যাডোনার গান নকল করার জন্য। তবে এতে আমি লেডি গাগার কোন দোষ দেখতে পাই না। লেডি গাগার জীবনের দুইজন আইডল যারা লেডি গাগার পথ প্রদর্শক হিসেবে কাজ করেছেন তাদের একজন হল ম্যাডোনা। তাই তার গানে ম্যাডোনার কিছু ছায়া থাকাই স্বাভাবিক। আর ম্যাডোনা নিজেও গানটির জন্য লেডি গাগার প্রশংসা করেছেন। যদি সত্যি নকল গান হত তা হলে লেডি গাগা এই প্রশংসা পেতেন না। তবে শুধু এ কারনে লেডি গাগা বিতর্কিত হয়েছেন বললে ভুল বলা হবে। বিতর্কিত হয়েছেন আরো অনেক কারনে। যেমন তার পোশাক, আচার আচরন আর কিছু গানের লিরিকের জন্য। তার মধ্যে আলোচিত ছিল কাঁচা মাংসের তৈরি একটি পোষাক যার জন্যে পশুপ্রেমি প্রতিষ্ঠান গুলো যেমন 'পেটা' এর অনেক সমালোচনা শুনতে হয়েছিল তাকে। আর তার 'পোকার ফেস' গানের কিছু লিরিক "ব্লাফিং উইথ মাই মাফিন" কথাটি বিতর্ক তুলে ছিল তার জেন্ডার নিয়ে। এমন কি একটা অনুষ্ঠানে তাকে প্রশ্ন করা হয়েছিল তার নারীত্ব নিয়ে। সেই অনুষ্ঠানে লেডি গাগা এই অভিযোগ নাকচ করে দিয়েছিল। তার খুল্লাম খুল্লা আচরণ এবং চিন্তা ভাবনা নিয়েও সমালোচনা কম হয় নি। এত সমালোচনা সত্বেও লেডি গাগা জিতে নিয়েছেন গ্র্যামি সহ বেশ কয়েকটি পুরষ্কার।
ইউটিউবে সর্বাধিক প্রদর্শিত ভিডিওর তকমাটি একসময় লেডি গাগার ছিল। তার 'ব্যাড রোমান্স' ভিডিওটি খুব দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিল এবং জিতে নিয়েছিল সেরা মিউজিক ভিডিওর পুরষ্কার।
ব্যক্তি জীবনে লেডি গাগা কিছুটা একসেন্ট্রিক স্বভাবের অধিকারী। তার এই বিশেষ বৈশিষ্টই হয়তো বা তাকে এত তারাতারি বিখ্যাত করে তুলেছিল। লেডি গাগার অনেক গানেরই কথা এবং সুর তার নিজের। গানের গলা জোড়াল হলেও কথা বার্তায় তিনি অমায়িক এবং নিরহংকার। হয়েছিলেন বাবার ইউটিউবের কিছু ভিডিও দেখলেই এর প্রমাণ পাওয়া যায়। ছোটবেলাতে পড়াশোনাতে মেধার পরিচয় দিয়েছিলেন। বড় হয়ে উদ্ভট পোষাক আশাক আর চাল চলনে অপ্রিয়। কিন্তু সেই তিনিই তার মেধা দিয়ে তার বাবার মুখ উজ্জ্বল করেছেন। আমেরিকাসহ সারা বিশ্বে তার ভক্তের সংখ্যা অগণিত।
একটা ছোট্ট ঘটনা দিয়ে লেখাটি শেষ করছি। এক রেডিও চ্যানেলে এক ছোট্ট মেয়ের কন্ঠে লেডি গাগার 'বর্ণ দিস ওয়ে' গানটি শোনান হচ্ছিল। গানটি শোনানোর পর বলা হল ফোনের মাধ্যমে কেউ যদি মেয়েটির সাথে কথা বলতে চায়, অভিনন্দন জানাতে চায় তাহলে পারে। এরপরই ঘটল এক মজার ঘটনা। খোদ লেডি গাগা স্বয়ং ফোন করে অভিনন্দন জানালেন এমনকি মেয়েটির সাথে একটি ডুয়েট গান গাওয়ারও ইচ্ছা ব্যক্ত করলেন। মেয়েটি তো তার প্রিয় গায়িকার সাথে কথা বলতে পেরে বাকরুদ্ধ। বলার ভাষাই খু্ঁজে পাচ্ছিল না। এমণ কাণ্ড করা কেবল লেডি গাগার পক্ষেই সম্ভব।
আপডেটঃ
সেই ছোট্ট মেয়ে এবং লেডি গাগার কথোপকথনের ভিডিওটির ইউটিউব লিংকটি দিলাম এখানে-
ভিডিওটির লিংকটি দেখতে গিয়ে আর একটি ভিডিও চোখে পড়ল যেখানে লেডি গাগা তার কথা রেখেছিলেন মেয়েটির সাথে ডুয়েট গান গেয়ে-
মাসের আধিক কাল ধরে দাবদাহে মানব প্রাণ ওষ্ঠাগত। সেই যে অগ্নি স্নানে ধরা শুচি হওয়া শুরু হলো, তো হলোই। ধরা ম্লান হয়ে, শুষ্ক হয়, মুমূর্ষ হয়ে গেল... ...বাকিটুকু পড়ুন
সমস্যা মিয়ার সিঙ্গারা সমুচার দোকানে প্রতিদিন আমরা এসে জমায়েত হই, যখন বিকালের বিষণ্ন রোদ গড়িয়ে গড়িয়ে সন্ধ্যা নামে, সন্ধ্যা পেরিয়ে আকাশের রঙিন আলোর আভা মিলিয়ে যেতে শুরু করে। সন্ধ্যা সাড়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন
তারেক জিয়া ও বিএনপির নেতৃত্ব নিয়ে আমি ব্লগে অনেকবারই পোস্ট দিয়েছি এবং বিএনপি'র নেতৃত্ব সংকটের কথা খুব স্পষ্টভাবে দেখিয়েছি ও বলেছি। এটার জন্য বিএনপিকে সমর্থন করে কিংবা বিএনপি'র প্রতি... ...বাকিটুকু পড়ুন