১) এদেশের সিংহভাগ বধূরাই শাশুড়ি দারা নানাবিধভাবে অত্যাচারিত হইয়া থাকে। শাশুড়ির এই অত্যাচারের শোধ তুলে সে বৌমার উপরই, যখন সে নিজে শাশুড়ি হয়।
২) রাস্তার পাশে অস্ত্র হাতে ছিনতাই হইতে দেখিলে বাঙালিরা না দেখিবার ভান করে চলিয়া যায়। কিন্তু কদাপি যদি কোন ছিঁচকে চোর ধরা পড়িয়া থাকে তাহইলে তো কথাই নেই। তাহাকে গণপিটুনি পিটাইয়া নিজেদের বীরত্ব জাহির করিতে পশ্চাৎপদ হইবে না।
৩) মার্কেটে গেলে অনেক দোকানে দেখিবেন তেমন ভিড় নেই অথবা কেহই নেই। আপনি প্রথম একটা দোকানে ঢুকিবেন আর দেখিবেন যে আপনার পিছনে পিছনে বাকিরাও ঢুকিয়া দোকানের ভিড় বাড়াইবার প্রয়াস পাহিয়াছে।
৪) বাঙালির পরিচয় যত না কাজে তত বচনে। ইহা করিতে হইবে, তাহা করিতে হইবে বলিয়া বলিয়া অধীর হইয়া উঠে কিন্তু ইনিসিয়েটিভ নেওয়ার অবসর কারো হইয়া উঠে না।
৫) জিনিস যত স্বল্পমূল্যেরই হউক, দামাদামি করা চাই। একটাকা হইলে দাম বলিবে আট আনা, এরূপ অবস্থা। তাহার পরও ক্রয় করিবার পর মনে হইবে, বোধ হয় ঠকাই হইল।
৬) ক্রেতা পরিচিত হউক বা না হউক - আপনার জন্য এত টাকা - এই কথাটা বলা চাই। বলা বাহুল্য এই কথা বিক্রেতা সবাইকেই বলে। সব ক্রেতাই তার কাছে স্পেশাল।
৭) খরিদ্দারের অভাবে ভাইয়া, আপু, স্যার, ম্যাডাম ডেকে ডেকে দোকানিরা তাদের মুখে ফেনা তুলিয়া ফেলে। আবার সেই দোকানিই ঈদের সিজনে ভিড়ের সময়ে একের অধিক সাইজ বা ডিজাইন দেখাইতে ইতস্তত করে। ফেরত দিতে গেলে তো কথাই নেই।
৮) বাঙালিরা গায়ে পড়িয়া অন্যের উপকার করিবে কিন্তু উপকার পাওয়ার পর যথাযত কৃতজ্ঞতা স্বীকার করিবে না, বরং উপকারীর অপকারই করিবে।
৯) টাকা ধার নেবার সময়ে ইনিয়ে বিনিয়ে ধার চাহিবে কিন্তু ধার শোধ করিবার বেলায়, "আপনার ঋণ আমি কোন দিনই শোধ করিতে পারিব না" এই নীতি অবলম্বন করিবে।
১০) বাঙালিরা নিজেদের পাণ্ডিত্য জাহির করিবার কোন সুযোগ পাহিলে তাহা সহজে হাতছাড়া করিবে না। এখন বুঝিলেন তো এই পত্রটি সাধু ভাষায় লিখিবার কারণ?
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৮:০৯