কাশ্মীরে পাক-ভারত সীমান্তে ভারতীয় সৈন্যরা একজন পাকিস্তানী সৈন্যকে হত্যা করে। বিনিময়ে কাল ক্ষেপন না করেই পাকিস্তানী সৈন্যরা দুই জন ভারতীয় সৈন্যকে হত্যা করে বদলা নেয়।
--কথায় আছে না, “যেমন কুকুর তেমন মুগুর”। বিএসএফ হচ্ছে একটা কুকুরের দল। ওদের জন্যে একমাত্র সমাধান হচ্ছে- মুগুর মানে হত্যার বদলে হত্যা। বিষয়টা কিন্তু এমন না যে, আমাদের কখনো এইসব কুকুরদের জন্যে মুগুর ছিল না। এখন না হয় আমাদের বিজিবি রাজনৈতিক কারণে হাত গুটিতে বসে আছে। কিন্তু এই বিজিবি মানে তৎকালীন বিডিআর কিন্তু একসময় এই বিএসএফ কুকুরদের জন্যে বাঘ ছিল। এমনকি ভারতের আনন্দ বাজার পত্রিকা পর্যন্ত তৎকালীন বিডিআর কে বাঘ সম্মোধন করে এক ভয়ংকর বাহিনী বলে প্রতিবেদন করেছিলো। এইতো কিছুদিন আগের কথা বিএসএফ বিডিআর নামটা শুনলেই ভয়ে কাঁপতো। আপনি কি মনে করছেন নিজের দেশ বলে একটু বাড়িয়ে বলছি। না, একটুকুও বাড়িয়ে বলছিনা।
আপনি কি আমাদের বিডিআর এর পাদুয়া ও বড়ইবাড়ি বীরত্বের কথা জানেন যেখানে তৎকালীন বিডিআর এই বিএসএফ কুকুরগুলোকে একেবারে Massacre করে দিয়েছিলো ?? আর তখন থেকেই বিএসএফ আমাদের বিডিআর নাম শুনলেই ভয়ে চুপসে যেত।
“২০০১ সালের ১৫ ই এপ্রিল আমাদের বিডিআর বিনা রক্তপাতে পাদুয়া দখল করে নেয়। পরবর্তীতে বিএসএফ এই পরাজয়ের প্রতিশোধ নিতে ১৮ই রাতে ভারী অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বড়ইবাড়ীতে বিডিআর চৌকি আক্রমণ করে। সাথে সাথে আমাদের বিডিআর জওয়ানরা পাল্টা আক্রমণ করে ফলে সেখানে এক রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয় যেখানে ৩০০ বিএসএফ সৈন্যের মধ্যে ১৩৭ জনই নিহত হয় এবং অপরদিকে আমাদের মাত্র ৩ জন বিডিআর জওয়ান শহীদ হয়। বিএসএফ চরম অপমানের সহিত পিছু হটে আর তখন থেকেই বিএসএফ বিডিআরকে বাঘের মতো ভয় পেত।”
-কিন্তু আজ আমাদের নতজানু পররাষ্ট্র নীতি এবং অতি বন্ধু প্রেমের কারণে বিএসএফ আমাদের দিকে বন্দুক তাক করতে সাহস পাচ্ছে। আমাদেরকে নির্বিচারে হত্যা করছে আর আমাদের ভারতপ্রেমী রাজনীতিবিদেরা সেইসব হত্যার বৈধতা দিচ্ছে।”