somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

অনেক দিন আগের কথা । একটা নদীর পাড়ে একটা অনেক বড় আপেল গাছ ছিল

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:৪৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

অনেক দিন আগের কথা । একটা নদীর পাড়ে একটা অনেক বড় আপেল গাছ ছিল । একটা ছোট্ট ছেলে প্রতিদিন গাছটার কাছে যেতো এবং গাছটার কাছাকাছি খেলতে পছন্দ করতো ।সে গাছে চরতো , আপেল খেতো । এবং ক্লান্ত হয়ে গেলে গাছের ছায়ায় ঘুমিয়ে পরতো । সে গাছটাকে ভালবাসাতো । আর গাছটা ভালবাসতো ছেলেটার সাথে খেলতে । সময় গড়িয়ে চলল . . . . . ছোট্ট ছেলেটা বড় হতে লাগলো , এবং তখন সে আর আগের মতো প্রতিদিন গাছটার চারিদিকে খেলতে যেতো না । একদিন ছেলেটা গাছটার কাছে আসলো । তার মন খুব খারাপ ছিলো । গাছটা ছেলেটাকে বলল "আসো। আমার সাথে খেলো ।" ছেলেটা জবাব দিলো "আমি আর ছোট্ট বাচ্চা না । আমি এখন কোন গাছের সাথে খেলি না । আমার এখন খেলনা দরকার । এবং খেলনাকিনার জন্য দরকার টাকা ।" গাছটা বলল "দুঃখিত । আমার কাছে তো টাকা নেই । কিন্তু তুমি আমার আপেল গুলো নিতে পারো । এগুলো বেচে তুমি টাকা পেয়ে যাবে ।" ছেলেটা গাছের কথা শুনে উত্তেজিতো হয়ে উঠলো । সেগাছের সব আপেল পেড়ে নিল। এবং খুশি মনে ফিরেগেলো । ছেলেটা আপেল গুলো পেড়ে নেবার পর আর ফিরে আসলো না । গাছটার মন খারাপ হয়ে গেলো । একদিন ছেলেটা আবার গাছটার কাছে ফিরে আসলো উত্তেজিতো ভঙ্গিতে । গাছটা ছেলেটাকে বলল"আসো। আমার সাথে খেলো ।" ছেলেটা বলল "আমার খেলার সময় নেই । আমাকে আমার পরিবারের জন্য কাজ করতে হবে । আমার এখন বসবাসের জন্য একটা ঘর লাগবে । তুমি কি আমাকে সাহায্য করতে পারবে?" গাছটা জবাব দিলো "দুঃখিত। আমি তো তোমাকে ঘর দিতে পারবো না । কিন্তু তুমি আমার ডালগুলোকেটে ঘর বানাতে পারো ।" ছেলেটা গাছটার সব ডাল কেটে নিলো এবং খুশি মনে চলে গেলো । গাছটা ছেলেটার আনন্দ দেখে অনেক খুশি হল । কিন্তু ছেলেটা আর ফিরে আসলো না ।গাছটা আবার একাহয়ে গেলো । একদিন গ্রীষ্মের একটা প্রচন্ড গরমের দিনে ছেলেটা আবার আসলো । গাছটা ছেলেটাকে দেখে খুব খুশি হল । গাছটা ছেলেটাকে বলল "আসো। আমার সাথে খেলো ।" ছেলেটা বলল "আমি খুব দুঃখি । আমি বুড়ো হয়ে যাচ্ছি । আমি এখন একটু সমুদ্রে ঘুড়ে আসতে চাই । তুমি কি আমাকে একটা নৌকাদিতে পারবে ?" গাছটা জবাব দিলো "আমার গুড়ি তুমি নৌকা বানাতে কাজে লাগাতে পারো । তুমিঅনেক দূরে ঘুড়তে যেতে পারবে এবং আনন্দ পাবে ।" তখন ছেলেটা গাছের গুড়ি কেটে নিলো এবং একটা নৌকাবানালো । সে সমুদ্র ভ্রমনে চলে গেলো এবং অনেক দিন পর্যন্ত আর ফিরলো না । ছেলেটা অনেক অনেক বছর পরআবার ফিরে আসলো । গাছটা ছেলেটাকে দেখে বলল "আমি খুবই দুঃখিত বাবু । তোমাকে দেওয়ার মতো আমার আর কিছুই নেই।তোমার জন্য কোন আপেল নেই।" ছেলেটা বলল "আপেল খাওয়ারমতো দাত আমার নেই ।" গাছটা বলল "আমার পিঠে চড়ার জন্য কোন গুড়ি নেই ।" ছেলেটা বলল"আমি অনেক বুড়ো হয়ে গেছি । তাই তোমার পিঠে চড়তে পারবো না ।" গাছটা দুঃখ নিয়ে বলল"তোমার জন্য আমার কাছে আর কিছুই নেই । যা আছে , তা হল কিছু মরমরা শিকড় ।" ছেলেটা বলল "আমার এখন বেশি কিছুই চাইনা । শুধুবিশ্রা মের একটা জায়গা পেলেই আমি খুশি ।" গাছটা একটু খুশি হয়ে বলল"পুরোনো গাছের শিকড় বিশ্রামের জন্য আদর্শজায়গা । আসো আমার সাথে এসে বসো এবং বিশ্রাম নাও।" ছেলেটা গাছটার পাশে এসে বসলো । গাছটা অনেক খুশি হলো এবং অশ্রুমাখা হাসি হাসলো ।
---/এই গল্পটা সবার জন্যই প্রয়োজন গল্পটা প্রতিকি । এখানে গাছটা দিয়ে আমাদের মা- বাবা কে বুঝানো হয়েছে । আমরা যখন ছোট ছিলাম । আমরা মা- বাবার সাথে খেলতে পছন্দ করতাম । যখন আমরা বড় হয়ে যাই তখনতাদেরকে ছেড়ে চলে যাই । আমাদেরপ্রয়োজনে অথবা যখন আমরা বিপদে পরলেই শুধু তাদের কাছে ছুটে আসি । মা-বাবা সব সময় আপনার সাথেই থাকবে । এবং আপনাকে খুশি করার সাধ্যমত চেষ্টা করেন । আমাদের অনেকের অবস্থাই অনেকটাগল্পের ছেলেটার মতো । যেখানে ছেলেটা "গাছ" টার সাথে নিষ্ঠুর ব্যাবহার করেছে , গাছটা কে সবসময় একটা বোঝা মনে করেছে । ভুলে যাবেন না , মা-বাবা আপনার জন্য অনেক বড় সম্পন । আল্লাহতালা র সর্বশেষ্ঠ উপহার আপনার জন্য । তাদেরকে বোঝা মনেকরবেন না । আর তাছাড়া মা- বাবা আপনারসাথে সারাজীবন থাকবে না । তাই আসুন আজকে থেকে প্রতিজ্ঞা করি মা- বাবাকে আর কখনো কষ্ট দিবো না ।
৩টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

যেকোন বাংগালীর ইন্টারভিউর সময়, 'লাই-ডিটেক্টটর' যোগ করে ইন্টারভিউ নেয়ার দরকার।

লিখেছেন সোনাগাজী, ০৫ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৫:০৭



আপনার এনলাকার এমপি, প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী কামাল সাহেব, যেকোন সেক্রেটারী, যেকোন মেয়র, বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান, বিএনপি'র রিজভী, আওয়ামী লীগের ওয়ায়দুল কাদের, আপনার থানার ওসি, সীমান্তের একজন বিজিবি সদস্য, ঢাকার... ...বাকিটুকু পড়ুন

ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করা সকলের দায়িত্ব।

লিখেছেন নাহল তরকারি, ০৫ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:৩৮



এগুলো আমার একান্ত মতামত। এই ব্লগ কাউকে ছোট করার জন্য লেখি নাই। শুধু আমার মনে জমে থাকা দুঃখ প্রকাশ করলাম। এতে আপনারা কষ্ট পেয়ে থাকলে আমি দায়ী না। এখনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

তাবলীগ এর ভয়ে ফরজ নামাজ পড়ে দৌড় দিয়েছেন কখনো?

লিখেছেন লেখার খাতা, ০৫ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:২৬


আমাদের দেশের অনেক মসজিদে তাবলীগ এর ভাইরা দ্বীন ইসলামের দাওয়াত দিয়ে থাকেন। তাবলীগ এর সাদামাটাভাবে জীবনযাপন খারাপ কিছু মনে হয়না। জামাত শেষ হলে তাদের একজন দাঁড়িয়ে বলেন - °নামাজের... ...বাকিটুকু পড়ুন

এখনো নদীপারে ঝড় বয়ে যায় || নতুন গান

লিখেছেন সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই, ০৫ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:২০

এ গানের লিরিক আমাকে অনেক যন্ত্রণা দিয়েছে। ২৪ বা ২৫ এপ্রিল ২০২৪-এ সুর ও গানের প্রথম কয়েক লাইন তৈরি হয়ে যায়। এরপর ব্যস্ত হয়ে পড়ি অন্য একটা গান নিয়ে। সে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ফেতনার সময় জামায়াত বদ্ধ ইসলামী আন্দোলন ফরজ নয়

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ০৫ ই মে, ২০২৪ রাত ১১:৫৮



সূরাঃ ৩ আলে-ইমরান, ১০৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
১০৩। তোমরা একত্রে আল্লাহর রজ্জু দৃঢ়ভাবে ধর! আর বিচ্ছিন্ন হবে না। তোমাদের প্রতি আল্লাহর অনুগ্রহ স্মরণ কর।যখন তোমরা শত্রু ছিলে তখন তিনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×