হঠাৎ করে আমার জিপি মোবাইলে একটি ফোন আসে। আমার এক নিকট আত্বীয়। এখানে একটি প্রশ্ন আসতে পারে আমি সারাদিন তুই রাজাকার , তুই রাজাকার, দুনিয়াছাড়, দুনিয়া ছাড় বলি আর আমার নিকট আত্বীয় জামাতের লোক হয় কি করে। এটাকেও মনে হয় কপাল বলে। কপালে থাকলে কিছু করার থাকেনা।
যাই হোক ঘটনাটি লিখছি, ফোন আসলে আমি তাতক্ষনিক ফোনটি রিসিভ করি।
ছালাম বিনিময় শেষে ওনি আমাকে ফোনে কিছু প্রশ্ন করে যা নিম্নে দেওয়া হলো-
প্রথম প্রশ্ন -তুমি কি জান দেশে আন্দোলন হচ্ছে? আমি -জ্বী
দ্বিতীয় প্রশ্ন- তুমি কি ইসলামের পক্ষে কাজ করছ? আমি - কি কাজ
তৃতীয় প্রশ্ন- মানে তুমি কি ব্লগারদের বিচার চাওনা? আমি -জ্বী না
চতুর্থ প্রশ্ন- তুমি কেন ব্লগারদের বিচার চাওনা? আমি উত্তর দেই-আমি নিজে একজন ব্লগার হয়ে অন্য ব্লগারদের বিচার চাইতে পারিনা তবে আমার কাছে এখনও মনে হয়নি যে সকল ব্লগার ইসলামের বিরুদ্ধে লেখালেখি করছে। হয়ত কিছু লোক ইসলাম বিরোধী থাকতে পারে বিভিন্ন ধর্মমতাবলম্বী কারনে বা সে জামাতের একজন কর্মী হয়েও তাদের নিজের ক্ষমতা বা স্বার্থের জন্য বিভ্রান্তি ছড়াতে পারে।
যেমন আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক কোন মাওলানা কিংবা ওলামায়ে কেরাম নয় কিন্তু ওনি বিভিন্ন ভাবে ইসলাম সম্পর্কে অন্যের বিরোদ্ধে মন্তব্য করে যাচ্ছে ,যা দেশের জন্য , রাষ্ট্রের জন্য , এবং আমার প্রানপ্রিয় মুসলমান ভাইয়ের বা ইসলামের জন্য ক্ষতিকর বা ঝগড়া সৃষ্টির কারন হিসেবে কাজ করে। আমরা সকলেই জানি, ইসলাম ঝগড়া সৃষ্টিকারী কোন ব্যাক্তিকে পছন্দ করেনা।
এই জন্যই ইসলাম নিয়ে কেও কোন মন্তব্য বা পোষ্ট বা পত্রিকায় লেখালেখি করলে ভেবে চিন্তা করে করা উচিৎ এবং সর্বোপরি আমার জানামতে ব্লগার বলতেই বিচার করতে হবে বা নাস্তিক কথাটি একেবারেই সঠিক নয়।