১.
ইভা টায়ামেট মেডুসা খুব প্রসঙ্গিক এই দিনের বাংলাদেশে। উনি সেভেন এর বই এর শরীফা আপাদের অধিকার আদায়ে কাজ করেন। কারন উনি নিজেও টায়ামেট ভাই থেকে ইভা আপা হয়েছিলেন। ছেলে হয়ে জন্মানোর পর বড় হতে হতে শরীফ ভাইয়ের মতই ভাবতে থাকেন যে –”ভাই” হয়ে জন্মালেও মনে মনে তিনি আসলে এক জন “আপা”। মনের অধিকারকে জোর দিয়ে তিনি উন্নত দেশের উন্নত বিজ্ঞান দিয়ে নিজেকে “আপায়” রুপান্ত করেন। কিন্তু উনার বিভ্রান্ত মন এতেই থামে না। এর কিছু দিন পর উনি বুঝতে শুরু করেন যে উনি মানুষ হলেও মনের দিক থেকে উনি আসলে একটা ”সাপ” কিংবা ড্রাগন জাতিয় কিছু। মনের উপরতো আর জোর খাটানো যায় না। তাই আবারো তিনি বিজ্ঞান এর স্বাধীন প্রয়োগ করেন নিজের উপর। কান আর নাক কেটে দীর্ঘ্য সার্জারী করে নিজেকে ড্রাগন এ রুপান্তর করেন।
টাইমস্ আব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদন থেকে এমন আন্তত নয় জন আদমের বিস্তারিত জানা যায়, যারা মনের দিক থেকে মানুষই না। আর উনারা মনের চিকিৎসা না করে শরীরের চিকিৎসা করেছেন। তাই কেউ হয়েছেন বিলাই, কেউ কুত্তা, কেউ সাপ তো কেউ আবার তোতা পাখি। এরকমর পশু মন নিয়ে নিশ্চয়ই আরো অনেকেই বসবাস করতেছেন। টেকা টুকার অভাবে সার্জারিগুলো করতে পারতেছেন না। অদূর ভভিষ্যতে হয়তো কেউ কেউ মনের দিক থেকে এ্যালিয়েনও হবে। মন বড়ই বিচিত্র।
https://timesofindia.indiatimes.com/life-style/spotlight/web-stories/9-people-who-transformed-themselves-into-animals/photostory/102724235.cms
২.
মনের দিক থেকে ভাইয়েরা হয় আপু, আবার আপুরা হয় ভাইয়া। জন্মগত শারীরিক সমস্যায় কেউ কেউ তৃতিয় লিঙ্গের হয়। যাদেরকে বাংলায় হিজড়া বলে। মন আর শরীরের অমিলে ভোগা আদমদের কাউকে কেন যেন মনের দিক থেকে এই তৃতিয় লিঙ্গের, মানে হিজড়া হতে দেখা যাচ্ছে না। কেউ এখনো দাবি করে বসেনি যে সে মনের দিক থেকে হিজড়া! এখানে মন বিশেষজ্ঞদের জন্যে রয়েছে চিন্তার খোরাক।
৩.
শরীফ থেকে শরীফা আপার গল্পটাতে দেখা গেছে পুরাতন বোতলে কিছুটা নতুন মদ ঢালতে। বোতল হলো হিজড়া সম্প্রদায়ের জীবন বর্ননা। তাদের প্রতি যেহেতু অনেক মানুষের সহানুভুতি আছে তাই তারা হলো গল্পের বোতল। আর সেই বোতলে ঢালা হলো শরীফা আপাকে, যে কিনা জন্মগত ভাবে হিজড়া না। বরং সে হলো ভাইয়া কিন্তু মনের দিক থেকে আপা সম্প্রদায়। এই মনের দিক থেকে আপাকে গল্পে জন্মগত তৃতিয় লিঙ্গের হিজড়া সম্প্রদায়ের সাথে ভিড়িয়ে দেয়া হলো। অথচ মনের দিক থেকে কেউই নিজেকে এখন পর্যন্ত হিজড়া দাবি করতে দেখা যায় নি। সাজগোজে কাছাকাছি হয়ে গেলেও তাহারা মূলত এক না। সার্জারি টার্জারি করে কিছুটা কাছাকাছি পৌঁছাতে পারে। এই বিকারকে স্বাভাবিক করার শিক্ষা স্বাভাবিক ভাবে নেয়া কঠিন। তাই এই মিক্সারটাই ফেসবুকের ওয়াল গরম করে দিচ্ছে। কারন 'শরীফ' 'শরীফা' হওয়ার পরেও যে আবার অশরীরি কিছু হতে চাইবে না তার কি ভরসা।
আর মনের দিক থেকেতো কেউ সাদ্দাম, কেউ বুশ্ আবার কেউ হিলারী হয়ে বসে থাকে। মনের এত খোরাকী যোগাবে কে!
।
#আফনান আব্দুল্লাহ্
.
সুত্র:
২. Click This Link
.
3. Click This Link