somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

তার পরও ললিতা বোঝে

০৪ ঠা মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:৫২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ছোট্ট সেজুতি এখন ও জানে না ও কতটা সুখি! কতটা ভালবাসার মধ্যে বড় হচ্ছে মেয়েটা। বাবা-মা, দিদা- দিদির পরম স্নেহে বেড়ে ওঠা এই মেয়েটাই হয়তো একদিন জীবনের চরম দৌটানার মুখোমুখি হবে। আতৎকে ওঠে মিসেস গুপ্তা, কেন এমনটা ভাবছে সে? এমন তো না ও হতে পারে, হয়তো এই মেয়ে-ই হবে পৃথিবীর সবচেয়ে সুখি মানুষ। কখনো কোন অশুভ স্পর্শ করবেনা ওকে। তাই যেন হয়। কোন দিন যেন কোন দুঃখ স্পর্শ না করতে পারে তার পরীর মত মেয়ে টাকে। বেঁচে থাকতে কখনো যেন মেয়েকে চরম কষ্টে আছে এমন দেথতে না হয় তাকে। এমন ভাবতে ভাবতে কখন যেন চোখে পানি চলে এলো।

আসলে নিজের গোপন কষ্টোর কারণেই এমনটা ভাবা। গোপন কষ্ট? হ্যাঁ তাইতো। অন্যের কাছে নিজেকে প্রকাশ করতে বরাবর-ই নারাজ গুপ্তা। বন্ধু, আত্মীয় কাউকেই কখনো কষ্টোর ভাগিদার করেনি, কেন জানি মন সায় দেয় না, থাকনা নিজের মধ্যে, একান্ত ঘোপনে। এখন পর্যন্ত সেভাবেই আছে, কিন্তু মাঝে মাঝে খুব বলতে ইচ্ছে করে। মনকে উড়িয়ে দিতে ইচ্ছে করে পাখির মত।
কখনো কখনো মনে হয় কাছের মানুষ গুলো কাছে থেকেও নেই। আট বছরের সংসার তাপষ এর সাথে। কিন্তু ও ই বা কতটুকু ভিতরে প্রবেশ করতে পেরেছে গুপ্তার মনে। না তেমন টা পারেনি। বিয়ের পর প্রথম প্রথম হয়তো একটু গভীর সম্পর্ক ছিল দু-জনের মধ্যে, কিন্তু ফাগুন হাওয়া কতদিন-ই বা মনকে আন্দোলিত করে। একসময় তাপষও কেমন যেন উদাস; আর গুপ্তার যে সভাব আগ বাড়িয়ে কোন দিন কি সে গেছে কারও কাছে। সব সময় মনে হয়েছে পাছে ওই মানুষটা ওর প্রতি বিরক্ত হয়। সেই সকালে বের হয় তাপষ তার পর রাত করে বাড়ি ফেরা, সংসারের দু- চারটা কথা এই তো প্রতিদিন, চলছে এ ভাবেই। তাপষের হয়তো কিছু মেয়ে বন্ধু ও আছে। বুকের ভেতর এ নিয়ে ঝড় বইতো এক সময়, এথন তাও হয়না। থাকনা যা খুশি করুক না । দুটি মনই যখন এক না তখন শুধু শুধু কেন বেধে রাখা। হয়তো একদিন তাপষ ছেড়ে গুপ্তাকে, কিন্তু এই যে ফুটফুটে মেয়েটা ও যেন কোন দিন ছেড়ে না যায় মাকে। এই শুধু চাওয়া।

এই ছোট মেয়েটা একমাত্র গুপ্তাকে বোঝে। সবাই যখন গুপ্তার হাশিখুশি আচরনের প্রশংসা করে। তখন হুট করেই মেয়েটা মায়ের দিকে প্রশ্ন ছুঁড়ে দেয় মা তোমার কি হয়েছে? তোমার মন খাবাপ? চমকে ওঠে গুপ্তা, এখাবেই কি ইশ্বর কাউকে সহায় করে পাঠায় পৃথিবীতে। ও কিভাবে বোঝে মায়ের কষ্ট। কখনোতো মেয়ের সামনে মন খারাপ করে থাকে না। তার পরও ললিতা বোঝে। বোঝে মায়ের নিসঙ্গতার কথা।
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কুরসি নাশিন

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৯ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:১৫


সুলতানি বা মোগল আমলে এদেশে মানুষকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছিল৷ আশরাফ ও আতরাফ৷ একমাত্র আশরাফরাই সুলতান বা মোগলদের সাথে উঠতে বসতে পারতেন৷ এই আশরাফ নির্ধারণ করা হতো উপাধি... ...বাকিটুকু পড়ুন

বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন আর আদর্শ কতটুকু বাস্তবায়ন হচ্ছে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৯ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:৩৭

তার বিশেষ কিছু উক্তিঃ

১)বঙ্গবন্ধু বলেছেন, সোনার মানুষ যদি পয়দা করতে পারি আমি দেখে না যেতে পারি, আমার এ দেশ সোনার বাংলা হবেই একদিন ইনশাল্লাহ।
২) স্বাধীনতা বৃথা হয়ে যাবে যদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

কৃষ্ণচূড়া আড্ডার কথা

লিখেছেন নীলসাধু, ১৯ শে মে, ২০২৪ দুপুর ১:০২



গতকাল পূর্ব নির্ধারিত কৃষ্ণচূড়ায় আড্ডায় মিলিত হয়েছিলাম আমরা।
বছরের একটি দিন আমরা গ্রীষ্মের এই ফুলটির প্রতি ভালোবাসা জানিয়ে প্রকৃতির সাথে থাকি। শিশুদের নিয়ে গাছগাছালি দেখা, ফুল লতা পাতা চেনাসহ-... ...বাকিটুকু পড়ুন

সকাতরে ঐ কাঁদিছে সকলে

লিখেছেন হাসান মাহবুব, ১৯ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৩:২৯

সকাতরে ওই কাঁদিছে সকলে, শোনো শোনো পিতা।

কহো কানে কানে, শুনাও প্রাণে প্রাণে মঙ্গলবারতা।।

ক্ষুদ্র আশা নিয়ে রয়েছে বাঁচিয়ে, সদাই ভাবনা।

যা-কিছু পায় হারায়ে যায়,... ...বাকিটুকু পড়ুন

বসন্ত বিলাসিতা! ফুল বিলাসিতা! ঘ্রাণ বিলাসিতা!

লিখেছেন নাজনীন১, ১৯ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৪:০৯


যদিও আমাদের দেশে বসন্ত এর বর্ণ হলুদ! হলুদ গাঁদা দেখেই পহেলা ফাল্গুন পালন করা হয়।

কিন্তু প্রকৃতিতে বসন্ত আসে আরো পরে! রাধাচূড়া, কৃষ্ণচূড়া এদের হাত ধরে রক্তিম বসন্ত এই বাংলার!

ঠান্ডার দেশগুলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

×