somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পেশা হিসাবে শিক্ষকতা, কেমন মনে হয়?

১৭ ই আগস্ট, ২০১০ রাত ৯:৪৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


এখনকার দিনে ক্যারিয়ার বলতে বুঝায় মোটামুটি সচ্ছল জীবনের নিশ্চয়তা। ভালোভাবে বেঁচে থাকার একটা পথ। আজকের তরুন সমাজকে শিক্ষকতা ঠিক সে ধরনের নিশ্চয়তা দিতে পারছেনা। তাই ক্যারিয়ার হিসেবে শিক্ষকতা এখন আর ততোটা আকষর্ণীয় নয়। সে তুলনা বিজনেস এক্সিকিউটিভ অথবা সিবিল সার্ভিস কর্মকর্তা হওয়ার প্রতি ছেলেমেয়েদের লোভটা বেশী। কারণ সেখানে সচ্ছল জীবনের নিশ্চয়তা আছে। তাই এখনকার মেধাবিরা শিক্ষকতার প্রতি খুব একটা আগ্রহী হয়না
প্রয়োজনের ব্যপার তখনো ছিলো।তবে মানুষের অভাবটা আজকের মতো আকশচুম্বী ছিলনা। ফলে শিক্ষকতার মোটামুটি চলনসই পেশা হিসাবে অনেকে মনে করতো। পাশাপাশি সম্মানের ব্যাপাটরা তো ছিলই। এখনকার শিক্ষকরা নিজেদের ভাগ্যহীন মানুষ মনে করে। শিক্ষকতায় এসে তারা আর্থিক অনটনপুর্ণ এক জীবনে ধাবিত হয়েছেন। শিক্ষকতার জন্য আদর্শ প্রয়োজন। আমরা অর্থসর্বস্ব একটা যুগে এসে পড়েছি। যেখানে মানুষের সব শ্রেয় বা মহৎ ঢেকে দিচ্ছে অর্থ এবং সস্তা জৌলসের হাতছানি। জনপ্রিয়তা ও আদর্শ খুব বড় কোন পার্থক্য নয়। ভালো শিক্ষক হওয়ার জন্য মুল শর্ত হচ্ছে আদর্শ। একজন আদর্শবান শিক্ষকের পক্ষে জনপ্রিয় হওয়া খুবই সম্ভব। তবে তার মধ্যে অবশ্যই জনপ্রিয় হওয়ার গুনাবলী থাকতে হবে। বিচ্ছিন্ন দেখা দেয় এই দুইয়ের মধ্যে সমন্বয় না ঘটলে। কারো মধ্য হয়তো জনপ্রিয়তা হওয়ার গুন আছে কিন্তু আদর্শ দুর্বল। কারো বা আদর্শ আছে তবে ছাত্রদের রক্তে নিজেদের সঞ্চালিত করতে পারেন না। মুল ব্যাপরটা হচ্ছে কমিউনিকেশন। এ কাজটা অনেকে করতে পারেন না। ছাত্রদের স্বপ্নটা জাগিয়ে তুলতে পারেন না। সত্য কথা হলো আদর্শ শিক্ষককে জীবনে অনেক মূল্য দিতে হয়।

অনেকেরই ছেলেবেলা থেকেই শিক্ষকতা করার স্বপ্ন ছিল। এখন যারা শিক্ষক আছেন তাদের মধ্যে এত হতাশা কেন?। শিক্ষক তার দাবি দাওয়া আদায়ে ধর্মঘট করতে হয়, রাজপথে নামতে হয়। রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে শিক্ষকদের প্রতি সামাঞ্জ্যতা পরিপূর্ণ হওয়া পর্যন্ত এভাবে চলতে থাকবে।
এরপরো বলতে হয় একজন শিক্ষক পৃথিবীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ কাজে জড়িত।
৪১টি মন্তব্য ৩৬টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

সভ্য জাপানীদের তিমি শিকার!!

লিখেছেন শেরজা তপন, ১৭ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০৫

~ স্পার্ম হোয়েল
প্রথমে আমরা এই নীল গ্রহের অন্যতম বৃহৎ স্তন্যপায়ী প্রাণীটির এই ভিডিওটা একটু দেখে আসি;
হাম্পব্যাক হোয়েল'স
ধারনা করা হয় যে, বিগত শতাব্দীতে সারা পৃথিবীতে মানুষ প্রায় ৩ মিলিয়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

রূপকথা নয়, জীবনের গল্প বলো

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ১৭ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:৩২


রূপকথার কাহিনী শুনেছি অনেক,
সেসবে এখন আর কৌতূহল নাই;
জীবন কণ্টকশয্যা- কেড়েছে আবেগ;
ভাই শত্রু, শত্রু এখন আপন ভাই।
ফুলবন জ্বলেপুড়ে হয়ে গেছে ছাই,
সুনীল আকাশে সহসা জমেছে মেঘ-
বৃষ্টি হয়ে নামবে সে; এও টের... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে ভ্রমণটি ইতিহাস হয়ে আছে

লিখেছেন কাছের-মানুষ, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১:০৮

ঘটনাটি বেশ পুরনো। কোরিয়া থেকে পড়াশুনা শেষ করে দেশে ফিরেছি খুব বেশী দিন হয়নি! আমি অবিবাহিত থেকে উজ্জীবিত (বিবাহিত) হয়েছি সবে, দেশে থিতু হবার চেষ্টা করছি। হঠাৎ মুঠোফোনটা বেশ কিছুক্ষণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ১৮ ই মে, ২০২৪ ভোর ৬:২৬

আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।
প্রথমত বলে দেই, না আমি তার ভক্ত, না ফলোয়ার, না মুরিদ, না হেটার। দেশি ফুড রিভিউয়ারদের ঘোড়ার আন্ডা রিভিউ দেখতে ভাল লাগেনা। তারপরে যখন... ...বাকিটুকু পড়ুন

মসজিদ না কী মার্কেট!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৮ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৩৯

চলুন প্রথমেই মেশকাত শরীফের একটা হাদীস শুনি৷

আবু উমামাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ইহুদীদের একজন বুদ্ধিজীবী রাসুল দ. -কে জিজ্ঞেস করলেন, কোন জায়গা সবচেয়ে উত্তম? রাসুল দ. নীরব রইলেন। বললেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

×