নাভিশ্বাস থামবে কিনা বলা মুশকিল
বাজারে যেভাবে জিনিস পত্রে দামে আগুন হাতই দেয়া যায় না। পকেটেও হাত যায় না। আপনি তো বাজার করতে এসেছেন সামর্থ্যের মধ্যে। আনলিমিটেড কিছু থাকলে অবশ্যই ঘামড়াবেন না নিশ্চিত। কেন না আগুন যতই জ্বলুক আপনার তো তা নিভানো সমস্যা নয়। সমস্যা যাতে তারা তো মুখ ফুটে কথাই বলতে পারে না। মধ্যবিত্তের নামে ফাটা বাঁশের চিপায় যেভাবে আটকা আছে এর থেকে আল্লাহ মালুম কবে বের হতে পারবে কে জানে। আদৌ জীবিত থেকে সেই ভাগ্য উত্তরিত হবে কিনা তাও জানে না মধ্যবিত্ত শ্রেণী। গরীব তো চিল্লাচিল্লি পর্যন্তই সার। তারা তো ভালো ব্যবসার পণ্য।
দ্রব্যমূল্য নিয়ে মানুষের নাভিশ্বাস দিন দিন বাড়ছে। কমার লক্ষ্যণ নেই। প্রশ্নও ওঠে কিনা জানি না আমরা। জিনিসের দাম বাড়তে বাড়তে অতিষ্ঠ হলে মন্ত্রীদের মিটিং হয় । মিটিং হচ্ছে শুনে আমি আপনি আশ্বস্ত হই। মিটিং শেষে আশ্বস্ত হয় ব্যবাসায়ী সমাজ। নাভিশ্বাস উঠলেও কিছুই করার নেই আমার আপনার। যদি একটু সস্তায় কিনতে চান যান মিলগেটে। আপনার বাড়তি দামের উপর এক দুই টাকা লাভ হতে পারে। তাও মিলগেটে আপনি কিনতে পারবেন কিনা, জানা নেই। চাল, ডাল, আটা, চিনি, তেল, পেয়াজ না খেলে কি হয় তা কি একবারও বিবেচনা করে দেখতে পারেন না।
আর কতো বাড়বে তাও জানা নেই। কবে বাড়া থামবে জানার প্রশ্নই ওঠে না। একদিন সকালে শুনলাম পাকিস্তান ভারতে ট্রাকে ট্রাকে পিয়াজ পাঠাচ্ছে। চমক লাগানো খবর। সেখানে পিয়াজের ঘাটতি পড়ায় এই কূটনীতি। কিন্তু সকালেই যে আমাদের এখানে ৩০ টাকার পেয়াজ একলাফে ৮০ টাকা। আমাদের তো আর ঘাটতি ছিল না। অন্তত সেই দিন। তাহলে নিউজেই কর্ম কাবার। ঘাটতি পড়ারও সহসা সম্ভাবনা ছিল কিনা জানা যায়নি। হায়রে জনগণ, বলির পাঠা।
আমরা এর জন্য কি করতে পারি তার জন্য আমাদের সুনির্দিষ্ট না থাকলে দাম বাড়লে কি বলতে হবে তা সুনির্দিষ্ট করা। প্রথম কথাই হলো আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বেড়েছে। তাহলে আর কি করবেন। তথাস্তু। আগুনের সাথে মোকাবিলা করতে পারলে ভালো না হলে কি আর করবেন। নীরবতাকেই সঙ্গি করুন। আপনি তো জানেনই না নাভিশ্বাস থামবে কিনা। আর তা বলাও মুশকিল