(এডমিন কিংবা সাধারন পাঠক বা ব্লগারদের দৃষ্টি আকর্ষন করছি , নির্বাচিত পোস্ট গুলো কেমনে নির্বাচন করা হয় , কিসের ভিত্তিতে করা হয় এটা একটু জানালে খুশি হবো )
জ্বি হে ইহাই শেষ লেখা । অনুভূতির কবি , লেখক ও ধর্ষক আফতাব আরিফের ইহাই শেষ লেখা :p । আজীবনের জন্য কিনা জানি না , তবে এই বছরের জন্য সিউর শেষ লেখা ।
প্রচন্ড বৃষ্টিতে রাস্তায় এক হাঁটু পানি এসে গেছে , মৎস চাষের জন্য উপযুক্ত বলা যায় এখন রাস্তাগুলোকে । এমনি এক সকালে সবাই মিলে ঠিক করলাম বান্দরবান যাবো । স্বিদ্ধান্তটা কতটা ভুল কতটা সঠিক সেই তর্কে যাবো না । তবে যাওয়ার কথা ভেবেই আমাদের লোম দাঁড়িয়ে যাচ্ছিলো । ব্যাগ গুছানোর আগে মেমরী কার্ডে পছন্দের সব গান নেওয়াতেই ব্যাস্ত ছিলাম ।মনে মনে কল্পনা করছি ভ্রমনে কি কি হতে পারে । "ঐ দূর পাহাড়ে লোকালয় ছেড়ে দূরে" ঐ গানটা কানে ও মনে বাজতেসিলো । ঐ দূর পাহাড়ে মেঘ ও রংধনু দেখার ফাঁকে কোন মিস্টি পাহাড়ী মেয়ে মন কেড়ে নিতেও পারে । কিচ্ছু বলা যায় না , এমন সময় হঠাত ফোন এলো ! প্ল্যান কি তবে কেন্সেল ? মেজাজ টা খারাপ হয়ে যাচ্ছিলো । নাহ প্ল্যান ঠিকই আছে ! শান্তা নামের একটা ফ্র্যান্ড ফোন করলো ও নাকি যাবে না! ধুর না গেলে নাই ! যাক এবার আমি নীলগিরির পাহাড়ে দাঁড়িয়ে মেঘ ধরবোই! ইশ কতদিনের ইচ্ছা আজ পূরণ হবেই !
প্রচন্ড বৃস্টিতে শরীরের ঘাম ধুয়ে গেছে । অমানসিক পরিশ্রম করেছেন তিনি আজকে এখন হেটে হেটে বাসায় ফিরছেন । তার মেয়ের নেক্সট সেমিস্টারের বাড়তি টকার জন্য এই অভার টাইম করেছেন রহমান সাহেব । তার আরো টাকা প্রয়জোন । তার মেয়ে বন্ধুদের সাথে নাকি কোথায় ঘুড়তে যাবে । কি জানি এতো কিছু চিন্তা করার সময় নাই তার । মেয়েটা তার কাছে কিছুই চায় না। একটা মাত্র মেয়ে তার! আবদার করলে তা কি তিনি ফেলে দিতে পারেন ? কোন দামী মোবাইল তো সে চায়নি , চায়নি কোন দামী খেলনা । ছোটবেলা থেকেই চাপা স্বভাবের এই মেয়েটার সামান্য আবদার ও তিনি পূরন করতে পারবেন না ? ভাবতেই কান্না চলে আসে রহমান সাহেবের । বৃষ্টিতে তাও বোঝা যায় না ।কিভাবে বলবেন তার মেয়েকে ? যে সামান্য টাকাটা যোগাড় করতে পারেন নি তিনি ।পাশ দিয়ে কাঁদা ছিটিয়ে একটা গাড়ি চলে গেলো ! এতো ছোট ছেলে গাড়ি চালাচ্ছে বাহ! ছেলেটার চুল এমন খাড়া করানো কেন ! ধুর যা ফ্যাশন হবে হইতো । বড়লোকদের এতো কিছু ! রহমান সাহেব বুঝেন না । একটু হাসি আসে তার আবার মন খারাপ হয়ে যায় মেয়ের কথা চিন্তা করে ,মেয়েটা তার ঘুড়তে যেতে চেয়েছিল । বাসায় ফিরে মেয়ে তার বাবার মুখ দেখেই বুঝে ফেলে যে তিনি টাকা যোগাড় করতে পারে নি।
-বাবা আমাদের ঘুড়তে যাওয়ার প্ল্যান টা কেন্সেল হয়ে গেছে ।
- আহা! কি বলো মা! আমি তো টাকা টা যোগার করেছি ! আচ্ছা থাক আমরা একদিন চাইনিজ খাবো ঐ টাকা দিয়ে ।
- না বাবা আমি চাইনিজ খাই না , হাসি মুখে উত্তর দেয় শান্তা ।
বাবা বুঝতে পারে তার মেয়েটার কৌশল , মেয়েটা বড় হয়ে গেছে অনেক ।
শান্তা ফোন করে তার বন্ধুদের জানিয়ে দেয় যে সে যাবে না । ইচ্ছা নাই তার। এরপর বাথরূমে ঢুকে দরজা লাগিয়ে দেয় শান্তা । কল থেকে পানি পরার শব্দ পাওয়া যায় । কোন কান্নার আওয়াজ শোনা গেছে কিনা জানি না তবে অনেক কেঁদেছে শান্তা ।
৯;৩০
১৬ই পৌষ , ১৪২০ । 31th December , 2013 .