somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

অবশেষে বাসর...

০৬ ই নভেম্বর, ২০১০ রাত ১০:৪৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

সব পুরুষেরই একটা নিজস্ব স্বপ্ন থাকে, তার বিয়ের বাসর নিয়ে... আমিও ঠিক তার ব্যতিক্রম নই। বরং আমার মনে হয়, আমি একটু কম বয়স থেকেই এইদিনটির কথা ভাবতাম আর স্বপ্ন সাজাতাম। আর ভাবতাম আমার লক্ষী বউটি কতই না ভাগ্যবতী যে,আমার মত ভাল একটা বর পাবে... :D আর তখন মনের মাঝে কেমন যে একটা অদ্ভুদ ভাল লাগার দোলা দিয়ে যেত, যে বোলে বোঝাতে পারবনা.....আর মুখেতো একটা অটোমেটিক ক্যাবলা হাসি কিভাবে যে আসতো তাও টের পেতাম না বরং ভাবতাম আর ভাবতাম বাসর রাত না জানি কত পরম আনন্দের.....কত সুখের.... সকল প্রতিক্ষার অবসান ঘটিয়া আজ আমার সেই অপেক্ষিত রাত্রির বাসর-রাত... বরং আজ কেমন জানি একটু নার্ভাস- নার্ভাস লাগছে। ও আজকে আমি যে পরিমান উপদেশ পেয়েছি,তাতে বোধ হয় একটা বই ছাপানো যাবে । যেমন যারা দাদা বা নানার বয়সী,তারা কইল, বাসর ঘরে যেন অবশ্যই একটা ভাব নিয়া ঢুকি... কথা যেন, কম বলি... সারাদিন অনেক ধকল গেসে বিধায় বা উসিলায়, হাত - পা বা মাথার কোনটা যাতে টিপিয়ে নেই... আর প্রথম রাইতেই যেন বিলাই মারি :P ... তাইলে বউ নাকি ডরাইব আর আমার কথায় উঠব-বসব.... B-) এরপর বন্ধুরা , দাদী-নানীরা সবাই মজা করতে লাগল... থাক এরপর বহুত কার্যকালাপ ও কাহিনী পার হয়ে অবশেষে রাত ১ ঘটিকায় , আমার স্বপ্নের বাসর ঘরে ঢুকতে পারলাম ... আর সবার প্রথমেই ঘরের দরজাটা লাগিয়ে খাটের নিচটা দূর থেকেই আর-চোখে দেখে নিলাম... ;) বাসর ঘরটা দেখলাম খুব ভাল-মতই সাজিয়েছে, রজনী-গন্ধার মিষ্টি সুবাস... ঘরের মাঝে একেবারে ফ্যানের নিচে খাট... আর খাটের মাঝে আমার লাল-টুকটুকে বউ... :) ঘরের এক-কোনায় একটা টেবিল... তার উপর কাঁচের গ্লাসে দুধ আর সাথে কিছু ফল... কিন্তু আমার বাসরে যে আমি ভাবসিলাম মোম-বাঁতি জ্বলবে... ও ভাবলাম ঘরে ফ্যান চলা থাকলে মোম-বাঁতি জ্বলবে কিভাবে :D তারপর যা যা বউকে বলব বলে ভেবে রেখেছি তা একটু গুছিয়ে নিলাম ...তারপর বহুত সাহস নিয়ে বউয়ের কাছে গিয়ে বসলাম... ও' দেখি কিছু্ই বলে না। কিন্তু মাথায় আবার বিরাট ঘোমটা দিয়া রাখসে (লাজুক বোধ হয়)... আমি বললাম যে... দেখি আমার বউয়ের চাঁদ মুখটা আর বউ দেখি দূরে সরে যায়। আমি বললাম তুমি কি আজকে সারা-রাত ঘোমটা সরাবে না... আমাকে এভাবেই শাস্তি দিবে... তখন বলে, ঘোমটা সরানোর নাকি নিয়ম আছে, বউকে নাকি কিছু আমার দিতে হবে... ( নিজের আপন বউ তারপর-ও ছাড় নাই /:) ) ভাগ্যিস বন্ধুদের কথা মত একটা আংটি কিনা রাখসিলাম... তারপরও বউরে শুধাইলাম বল তুমার কি লাগবে... আমি এইবার আরেকটু কাছে গিয়া বসলাম আর বললাম, যাও তুমারে আমি এমন জিনিস দিব যা আগে তোমাকে কেউ দেই নাই, তোমার ঠোটে আমি এক পুরুষের ঠোটের ভালবাসার ছোঁয়া দিব। তারপরও বউয়ের কোন পরিবর্তন দেখলাম না... /:) মনে হইল এমন গিফ্ট বউরে আগেও অনেকে সাধছে বা দিসে তাই এইটার কদর কম :((
কি আর করা , বললাম আমি তোমার চাঁদ মূখ না দেখে আর থাকতে পারতেছিনা.... বউয়ের হাতে আংটিটা দিলাম আর অমনিই বউ এতো খুশি হইল যে, আমারে জড়িয়ে ধরল... ওমা এতো দেখি মেঘ না চাইতেই বৃষ্টি... কি আর করা... আমি তো আর পাথরের মূর্তি না... তাই থাকতে পারলাম না আমিও চরম আবেগে কাছে টেনে নিলাম। তারপর আমার ঠোট দু'টি এতো দ্রূততার অপর ঠোট দু'টি খুজে নিল...এরপর কেমন জানি এক অদ্ভুত ভাল লাগার অনুভূতি ... পুরোটাই যেন এক মাদকাতা... কিছুতেই বের হওয়া যায় না... বহু কষ্টে বউ ,আমাকে সরিয়ে বলল... সব পুরুষই এক... প্রথম রাত কিছু বলবে তা না....আমি কপট রাগ নিয়ে বললাম আমার কি দোষ তুমিইতো আগে শুরু করলে। তারপর একটু দূরে সরে গিয়ে মুখ অন্য দিকে ঘুরিয়ে বসলাম..... আর বললাম যাও আর কাছেই আসব না... X(( । তখন বউ বলল বুজেছি , বিয়ের প্রথম রাতেই আমি একটা বেশি বয়সের বাচ্চা পেয়েছি... আর অমনি আমার কানের কাছে রাখা এলার্ম ঘড়িটা বিকট শব্দে বাজতে লাগল... চেয়ে দেখি সকাল ৭ টা বেজে গেছে... আর আম্মু বলছেন... এই এলার্ম বন্ধ কর... মুখ ধুয়ে খেতে আয় তারপর কলেজে যা.... :P :P :P
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই নভেম্বর, ২০১০ রাত ১১:৫৯
১৭টি মন্তব্য ১৭টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

তাঁর বোতলে আটকে আছে বিরোধী দল

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ১৬ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৫:০৭



সেই ২০০৯ সালে তিনি যে ক্ষমতার মসনদে বসলেন তারপর থেকে কেউ তাঁকে মসনদ থেকে ঠেলে ফেলতে পারেনি। যারা তাঁকে ঠেলে ফেলবে তাদের বড়টাকে তিনি বোতল বন্দ্বি করেছেন।... ...বাকিটুকু পড়ুন

নতুন গঙ্গা পানি চুক্তি- কখন হবে, গ্যারান্টি ক্লজহীন চুক্তি নবায়ন হবে কিংবা তিস্তার মোট ঝুলে যাবে?

লিখেছেন এক নিরুদ্দেশ পথিক, ১৬ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৫:২৬


১৬ মে ঐতিহাসিক ফারাক্কা দিবস। ফারাক্কা বাঁধ শুষ্ক মৌসুমে বাংলাদেশে খরা ও মরুকরণ তীব্র করে, বর্ষায় হঠাৎ বন্যা তৈরি করে কৃষক ও পরিবেশের মরণফাঁদ হয়ে উঠেছে। পানি বঞ্চনা এবং... ...বাকিটুকু পড়ুন

কেউ কি আমার বন্ধু শাহেদের ঠিকানা জানেন?

লিখেছেন জিএম হারুন -অর -রশিদ, ১৬ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:৩৪



কেউ কি আমার বন্ধু শাহেদের ঠিকানা জানেন?
আমার খুবই জরুরি তার ঠিকানাটা জানা,
আমি অনেক চেষ্টা করেও ওর ঠিকানা জোগাড় করতে পারছিনা।

আমি অনেক দিন যাবত ওকে খুঁজে বেড়াচ্ছি,
এই ধরুণ, বিশ-একুশ বছর।
আশ্চর্য্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

আজকের ব্লগার ভাবনা:কথায় কথায় বয়কট এর ডাক দেয়া পিনাকীদের আইডি/পেইজ/চ্যানেল বাংলাদেশে হাইড করা উচিত কি? ব্লগাররা কি ভাবছেন?

লিখেছেন লেখার খাতা, ১৭ ই মে, ২০২৪ রাত ১২:১৩



অপূর্ব একজন চমৎকার অভিনেতা। ছোট পর্দার এই জনপ্রিয় মুখকে চেনেনা এমন কেউ নেই। সাধারণত অভিনেতা অভিনেত্রীদের রুজিরোজগার এর একটি মাধ্যম হইল বিজ্ঞাপনে মডেল হওয়া। বাংলাদেশের কোন তারকা যদি বিদেশী... ...বাকিটুকু পড়ুন

মৃত্যু ডেকে নিয়ে যায়; অদৃষ্টের ইশারায়

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৭ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:৩৯

১৯৩৩ সালে প্রখ্যাত সাহিত্যিক উইলিয়াম সমারসেট মম বাগদাদের একটা গল্প লিখেছিলেন৷ গল্পের নাম দ্য অ্যাপয়েন্টমেন্ট ইন সামারা বা সামারায় সাক্ষাৎ৷

চলুন গল্পটা শুনে আসি৷

বাগদাদে এক ব্যবসায়ী ছিলেন৷ তিনি তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×