মনে পড়ে তোমার?
বদ্ধ ঘরে লোকালয় থেকে দুরে
একটু ভালবাসা পেতে
কিছু ভয়, কিছু সংকোচ নিয়ে
এসেছিলে তুমি আমার ডাকে,
আমি তখন পরপুরুষ ছিলাম তোমার কাছে।
জানালার সামনে দাড়িয়ে
ভাবছিলে তুমি আনমনে,
হঠাৎ আমার উপস্থিতিতে
ঘুরে দাড়ালে নিচু মস্তকে
খুব কাছে এসে, হাতদুটোকে হিমালয় বানিয়ে
পালাতে দেইনি সেদিন তোমাকে।
কিছুটা অপ্রস্তত আর উৎকন্ঠার সাথে
তুমি বুঝতে চেয়েছিলে আমাকে
ভেবেছিলে এই পরপুরুষ কি
সর্বনাশের ফন্দি আটছে মনে?
তবুও এতটুকু বিচলিত না হয়ে
বিশ্বাসের পাহাড় ছিল দাড়িয়ে।
চোখে চোখ রেখে আমি
মুগ্ধ হয়ে দেখি তোমাকে,
তৃষ্ণার্ত বেদুইনের মত,
দৃষ্টি তোমার ভালোবাসা খোজে।
মনের অনুবীক্ষনে সুনিপুন চোখে
মিলিয়ে দেখছিলে তুমি
স্বপনের দেখা আপন পুরুষকে।
তৃষ্ণার্ত ঠোট চুম্বকের টানে
কাঁপছিলে তুমি সংকোচ আর ভয়ে,
ভাবনা তোমায় বলছে
এই যুবক লাল লিপস্টিক মুছে দিতে চাইছে।
নিজেকে শাসালে তুমি মনে মনে
তবুও মন এই বাঁধা না মেনে
তৃষ্ণা মিটাতে চাইছে দুরন্ত বেদুঈনের,
শরীর তোমার জল হল
চোখ দুটো লজ্জায় বুঝে গেল,
মন তোমার ব্যথিত হল
মানুষ চিনতে বুঝি ভুল হল।
হঠাৎ করেই বোকা হলে
ফিস ফিস শব্দ কানে এলে,
তোমার স্বপ্নকে সত্যি করে
বলেছিলাম কানে কানে-
” এত সস্তা নই আমি;
মিছে কেন ভাবছিলে,
জোর করে বিষ পান করব তোমার অধরে।”