আজ অনেক দিন হল যে আমি পত্রিকা পড়ার প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছি, কারন আমাদের সোনার দেশে রুপোর কাঠি দিয়ে জনগনকে ঘুম পাড়িয়ে রাখা হয়েছে। এত দূর্ণীতি, ঘুষ, হত্যা, ধর্ষন, ছিনতাই, এসিড নিক্ষেপের খবর আসে যে আমার ঘৃণা জাগে ,আমাদের দেশে মানুষ নিজেদের স্বার্থের জন্য নৈতিকতা বিসর্জন দেয় এমন খবর রোজ আসে। তবু ক্ষমতা আর প্রাচুর্যের মিথ্যে লোভে এই মিথ্যে উলি মাটির সম্রাজ্য গড়ে তুলে কতিপয় লোক। দেশ যাদের হাতে জিম্মি। আজকে খবর কাগজে অনেকদিন পর চোখ বুলাতে গিয়ে এমন একটি অস্বাভাবিক ব্যাপার চোখে পড়ে।
১। প্রথম আলো সুত্রে জানা যায় যে ধর্ষন মামলার প্রধান তিন আসামীর জামিন লাভ, আসামীরা শিশু বলে তাদের অভিবাবক মারফতে আদালতে আত্নসমর্থন করলে বিচারক তাদের জামিন মন্জুর করেন। আসামীদের তিনজন যথাক্রমে ১ম, ২য় ও ৩য় শ্রেনীর ছাত্র। তারা আট বছরের একটি বালিকাকে ধর্ষন করে। কিন্ত মামলার তদন্তে তাদের কে কিশোর উল্ল্যেখ করে চার্জশীট দেওয়া হয়। এ ব্যাপারে তদন্তকারী পুলিশ অফিসার কে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন "আসামী যদি নিজের বয়স বাড়িয়ে বলে তাহলে আমার কি করার আছে?"
কিন্ত আমার কথা হল তদন্তকারী আফিসার যে তার কর্তব্যে অব হেলা এবং দূর্ণীতির আশ্রয় নিয়েছে তা কি পরিষ্কার নয়? এই শিশুদের কে আসামী করে মুল আসামীরা কি ঘটনার আড়ালে থেকে যাচ্ছে কাল টাকার জোরে? এই প্রশ্নের উত্তর কে দেবে? কেন এই অফিসারের কোন শাস্তি হবেনা?