পথিক তুমি বড় ক্লান্ত,একটু ভাব
তোমাকে যে অনেক পথ হাঁটতে হবে-
পৃথিবীর উত্তর থেকে দক্ষিনমেরু
আকাশ থেকে পাতাল পর্যন্ত,
কোন পথে তুমি এসেছিলে,আজও তা যবনিকায় ঢাকা রয়ে গেছে।
তাই চলার অবসরে বিশ্রাম চেও না
তোমার অনেক জানার আছে,বোঝার আছে,দেখার আছে
আশ্বিনের মুক্তাভ শিশিরের বিন্দু
পদ্মপত্রে ভাসতে চায়-শাশ্বত কাল
পত্র বোঝে দেবাশ্রুর জন্ম মৃত্যুর জটিল রহস্যময়তা।
জোনাকী বোঝে অন্ধকারকে
বোঝে সময়ের গতিকে
সাড়া দেয় কোন গোপন নীরবতায়,কানে কানে
ওরা অতীতের বর্তমানে পৌছে যায় নিঃশব্দে
প্রতিধ্বনিত হয় রক্তে,মাংসে,পঞ্জরের অণুতে
দিকে দিকে।
আর কুজন জানে বসন্তকে
বিস্মৃতির কালিমা মুছে জেগে ওঠে শিশুর অঞ্জনের বিভা
হারিয়ে যায় বৃক্ষের ক্ষীণ-আভা নূ্তনের মধ্যে
কিন্তু তুমি তো তাকে চেনোনি!
তাই আজও তোমাকে এগিয়ে চলতে হবে-
কন্টকমন্ডিত পথে,রক্তাক্ত মনে
ক্লান্তির নিশানা ধরে,অবিরাম,
নিজের মধ্যে-স্রোতস্বিনী পদ্দার মতো।
তখন,তুমি আমায় বলো
আমি তোমায় থামিয়ে দেবো-চিরকালের জন্য
কেউ জানবেও না, তু্মি ওকে জানতে পেরেছিলে।