গত শনিবারে প্রথম আলো পত্রিকার ছুটির দিনের রাশিফলের পাতায় খুব আগ্রহ নিয়ে নিজের ভবিষ্যৎ দেখে একটু পুলকিত হলাম, যে এই সপ্তাহে অসাধারণ কিছু নাকি ঘটবে মকরের ভাগ্যে। যাই হোক প্রথমদিন সবই সাধারণভাবে চলল। এরপর দিন -সকালে যথারীতি টিকিট কেটে গাজীপুরা থেকে দুলদুলে চাপলাম মানে বাসে মহাখালি নামব। মহাখালি ফাইওভারের উপর দিয়ে বাসটা আজিমপুরের দিকে যায়। তো মহাখালির যাত্রীরা এর গোড়ায় নামে। আমাকে তারা নামিয়ে দি ল মহাখালি থেকে বেশ দূরে যমুনা ব্রিজের অফিসের সামনে। আমিতো নামব না , ওদেরকে বললাম যেখানে প্রতিদিন নামি সেখানেই নামব। তারপর ড্্রাইভার বলল নামেন নই লে শাহীন কলেজের সামনে নামতে হবে। আমি যত কথা বাড়াই তারা তত তাঁতে । পরে কেউতো কিছু বললই না, এক ভদ্দরনোক পেছন থেকে বলে উঠল, '' আপনি নামেন!'' এইবার আমি কয়জনের সাথে তর্ক করব আর সকালে সবারই অফিসের তাড়া- আমি নেমে গেলাম। কিন্তু মেজাজ ভয়ানক বিগড়ে গেল । সকাল 8টায়ই ক্লাস ।ক্লাসে ঢোকার আগে নিজেকে কন্ট্রোল করলাম । তবে এদের অফিসে গিয়ে নালিশ করার চিন্তা মাথায় রাখলাম । কাজ শেষ করতে করতে 3টা বাজল । তারপর এক কলিগের সাথে বাসা খুঁজতে বের হলাম উওর বাড্ডায়। রিকশাঅলারে বললাম ঘণ্টায় 40 টাকা দিব। সে রাজি । রিকশাঅলা আস্তে চালাতে লাগল, বলার পর গতি বাড়াল। দ্রুতই ভাল বাসা পেয়ে যাওয়ায় 35 মিনিটের মধ্যে আমাদের কাজ শেষ হয়ে গেল। 22 টাকা দিলাম ভাড়া। কিন্ত সে 30টাকার নিচে নিবে না। আবার এর সাথে কিছুণ উওপ্ত বাক্য বিনিময় । 22টাকা দিয়ে বললাম রাস্তায় ফেলে দিতি ইচ্ছে হলে দেন। বাসে চাপলাম বাসার উদ্দেশ্যে। তবে আগে দুলদুলের অফিস। বোর্ডবাজার গেলাম, ওখান থেকে বাস ছাড়ে। কিন্তু পরে শুনি অফিস হল ফার্মগেট। পরে ওদের হেলপারের কাছ থেকে অফিসের নাম্বার নিয়ে কর্তৃপকে ফোন করলাম । সে আমাকে আশ্বাস দিল এটা আর হবে না । কিন্তু পরের দিনও একই ঘটনা । তবে এইদিন আমি বনানিতে নেমে গেলাম। ওখানকার কাউন্টারম্যানকে বলতেই সে হেলপারকে বলল ব্রিজের গোড়ায় নামাতে, কিন্তু তারা সেটা করবে না। এটা আমার বাপের গাড়ি না। আমি বললাম তোর বাপের গাড়ি তো, সেই বলছে নামাতে। স্বাভাবিকভাবেই মুখ থেকে এক পশলা খিস্তি বেরুল। পরে কলেজে গিয়ে আবার দুলদুলের অফিসে ফোন দিলাম। যা বলা উচিত বললাম। কিছুণ পরই বাসা থেকে ফোন আসল ঠিকমত আসছি কিনা। পরে আমার কলিগ জেরিনা আপা বলল , "মিস তুমি যে এসব করছ, কবে না এরা রাস্তায় ধরে তোমারে মাইর দেয়।"আমি বললাম , "দেখা যাক।" হুম! তারপর ভবিষ্যৎ বাণীর কথা মনে পড়ল।
প্যাচাল -1
কুরসি নাশিন
সুলতানি বা মোগল আমলে এদেশে মানুষকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছিল৷ আশরাফ ও আতরাফ৷ একমাত্র আশরাফরাই সুলতান বা মোগলদের সাথে উঠতে বসতে পারতেন৷ এই আশরাফ নির্ধারণ করা হতো উপাধি... ...বাকিটুকু পড়ুন
বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন আর আদর্শ কতটুকু বাস্তবায়ন হচ্ছে
তার বিশেষ কিছু উক্তিঃ
১)বঙ্গবন্ধু বলেছেন, সোনার মানুষ যদি পয়দা করতে পারি আমি দেখে না যেতে পারি, আমার এ দেশ সোনার বাংলা হবেই একদিন ইনশাল্লাহ।
২) স্বাধীনতা বৃথা হয়ে যাবে যদি... ...বাকিটুকু পড়ুন
কৃষ্ণচূড়া আড্ডার কথা
গতকাল পূর্ব নির্ধারিত কৃষ্ণচূড়ায় আড্ডায় মিলিত হয়েছিলাম আমরা।
বছরের একটি দিন আমরা গ্রীষ্মের এই ফুলটির প্রতি ভালোবাসা জানিয়ে প্রকৃতির সাথে থাকি। শিশুদের নিয়ে গাছগাছালি দেখা, ফুল লতা পাতা চেনাসহ-... ...বাকিটুকু পড়ুন
সকাতরে ঐ কাঁদিছে সকলে
সকাতরে ওই কাঁদিছে সকলে, শোনো শোনো পিতা।
কহো কানে কানে, শুনাও প্রাণে প্রাণে মঙ্গলবারতা।।
ক্ষুদ্র আশা নিয়ে রয়েছে বাঁচিয়ে, সদাই ভাবনা।
যা-কিছু পায় হারায়ে যায়,... ...বাকিটুকু পড়ুন
বসন্ত বিলাসিতা! ফুল বিলাসিতা! ঘ্রাণ বিলাসিতা!
যদিও আমাদের দেশে বসন্ত এর বর্ণ হলুদ! হলুদ গাঁদা দেখেই পহেলা ফাল্গুন পালন করা হয়।
কিন্তু প্রকৃতিতে বসন্ত আসে আরো পরে! রাধাচূড়া, কৃষ্ণচূড়া এদের হাত ধরে রক্তিম বসন্ত এই বাংলার!
ঠান্ডার দেশগুলো... ...বাকিটুকু পড়ুন