একটা মেয়ে রেপ হলে, তার জন্য মেয়ের পোশাক দায়ী নাকি ছেলের খারাপ দৃষ্টি দায়ী- এই নিয়ে কাদা ছুড়াছুড়ি দেখতে-দেখতে ক্লান্ত লাগে!ইসলামের দৃষ্টিতে আমি যতদূর জানি এটার জন্য কখনোই এককভাবে কোন কারণ দায়ী থাকে না! কয়েকটি কারণ এক হয়েই এই জঘন্য কাজটি হয়।কোরআন শরীফ এ মেয়েদের পর্দা করার আগে ছেলেদের দৃষ্টি নত রাখার কথা বলা আছে!
আর আমাদের ছেলেদের মাঝে সাধারানত কমন একটা ব্যাপার দেখা যায়- কোন মেয়ে উগ্র কোন পোশাকে আসলে আগে তাকে ১০মিনিট নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করে, তারপর একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলি “আজকাল মেয়েরা যে কি খারাপ হয়ে যাচ্ছে!!!!!” মানে ব্যাপারটা এরকমভাবে আমরা নিজেদের বোঝাই যে “মেয়েরা খারাপ হয়ে যাচ্ছে এটা বোঝার জন্যই আমি তাকাইছিলাম!!!!”
মেয়েরা খারাপ নাকি ভাল হচ্ছে এই অজুহাতে তাকে ১০ মিনিট ধরে পর্যবেক্ষণ করাটা- শয়তানের ধোঁকা ছাড়া আর কিছু না!
আবার রুমে বসে বলিউড/হলিউড এর গান/সিনেমা এর উগ্র দৃশ্যগুলো খুব লুলায়িত হয়ে উপভোগ করবো, আর বাইরে গিয়ে মেয়েরা খারাপ হয়ে যাচ্ছে সেটার জন্য আফসোস করবো- সেটার কোন মানে হয় না!
আবার অনেক মেয়েরাও আছে, আয়নার সামনে দাড়িয়ে খুব সুন্দর করে সময় নিয়ে নিজেকে সাজাবে যেন নিজের গুপ্ত সৌন্দর্য হালকাভাবে হলেও প্রকাশ পায়, অথচ বাইরে এসে আফসোস করবে “আজকাল ছেলেরা এত ফাউল হয়ে গেছে- বাইরে বের হওয়া যায় না!”
এখন ব্যাপারটা হলো, ছেলেদের দৃষ্টি নত রাখার আদেশটি স্রস্টা নিজেও হয়ত জানে ১০০% ছেলে মানবে না!
হয়ত ধরে নেই ৭০-৮০% মেনে চলবে! যেহেতু ২০-৩০% মানবে না তাদের জন্য ব্যাকআপ সিস্টেম হল মেয়েদের শালীন পোশাকে থাকা! কারণ একটা খারাপ ছেলে যতোই চুলচেরা খারাপ দৃষ্টিতে একটা মেয়েকে পর্যবেক্ষণ করুক না কেন, মেয়েটি যদি ইসলামিক ভাবে শালীন পোশাক পরে থাকে... সেই খারাপ ছেলেটা তার বিশ্লেষণ এ কিছুই খুজে পাবে না!
আবার একইভাবে বলা যায়, স্রস্টা আদেশ দেবার পরও ২০-৩০% মেয়ে শালীন পোশাকে চলবে না, তাদের জন্য ব্যাকআপ সিস্টেম ছেলেদের দৃষ্টি নত রাখা! কারণ ঐ ২০-৩০% মেয়ে যদি উলঙ্গ হয়েও বের হয়, কোন সমস্যা হউয়ার কথা ছিল না- কারণ ছেলেরা তাকাচ্ছে না!
এটা একটা ভারসাম্য! দুজনের দিক থেকেই!কিন্তু আজকের so called কিছু নারীবাদী, অথবা কিছু হুজুর এমনভাবে কথা বলে যার মানে থাকে এরকম যে “মেয়েরা চাইলে অন্তর্বাস পরেও বের হবে, এটা মেয়েদের অধিকার” অথবা “দ্যাশের সবগুলো ধর্ষণ হইছে মাইয়াগো খারাপ পোশাকের জন্য, খারাপ পোশাক পইর্যা বার হলে পুলারা খারাপ কাজ করবেই”
দুঃখজনক! কেউই ভারসাম্যে নাই!
আর এতকিছু মানার পরও, যে ০.০০১% নরপশু ধর্ষণ এর মত কাজ করবে, তার জন্য ইসলামে এর শাস্তি মৃত্যুদণ্ড!
বিগত এক বছরে যে কয়টা রেপ হইছে বাংলাদেশে, তার ৫% এর ও যদি মৃত্যুদণ্ড হতো, তাহলে এই বছর যে কয়টা রেপ হবে তার বেশীরভাগ ক্ষেত্রে নরপশু গুলা হয়ত শেষমুহুর্ত থেকে ফিরে আসলেও- ফিরে আসত! সিমপ্লি ভয়ের জন্য!!!
যার জন্য অবশ্যই দেশের শাসন ব্যাবস্থা দায়ী!
আর যারা সরকারের উচ্চপর্যায়ের তাদের কাছে আমার প্রশ্ন... “আপনি এদের জন্য মাদকদ্রব্য সহজলভ্য করে দিবেন, বিনোদনের জন্য রাখবেন রগরগে পর্ণ...... আর কি আশা করেন আপনি এদের থেকে? মেয়েদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা?”
হাস্যকর!!!
নরপশু হয়ে কেউ জন্ম নেয় না, আপনাদের সিস্টেমই এদের নরপশু বানায়!