আগামিকাল সেমিস্টার ফাইনাল। পড়ার চাপ মোটেই কম না। এই লিখছি, তাও কিছু সেক্রিফাইস করেই লিখোতে হচ্ছে। সম্ভবত বেশি লিখতে পারব না। যাই হোক, জয়া আহসান, সিঙ্গাপুরের আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব দর্পণে আপনার উপস্থিতি আর রাইমা সেনের সাথে আপনাকে এক ফ্রেমে দেখে যা মনে হল, তাতে কি বলব ভাষা খুঁজে পাচ্ছি না। রাইমা সেন শাড়ি পরেছেন, আর আপনার পোশাকের নাম কি তা আমি জানি না। এক সময়ে আপনার অভিনয় খুব ভাল লাগত। লোক মুখে শুনেছি, আপনার উপর দিয়ে অনেক ঝড় বয়ে গেছে। জীবনে উত্থান-পতন থাকেই। তাই বলে সব ছেড়ে ছুড়ে দিয়ে, ব্যক্তিত্ব আর অস্তিত্ব বিসর্জন দিলে চলবে না। চলচ্চিত্রে আপনার অবস্থান সুসংহত হতেও পারে। তাই বলব, বিদেশে বা যেখানেই যান, আমাদের সংস্কৃতিকে তুলে ধরার চেষ্টা করুন। আমাদের সংস্কৃতি অনেক সুন্দর। অন্যের সংস্কৃতি ধার করার বা প্রদর্শনের প্রয়োজন নেই। বন-জংগলের সংস্কৃতি সভ্য সমাজের জন্য নয়। অনুসরণ যদি করতেই হয়, ঘরের ভেতর করুন। যার যার সংস্কৃতি তারই প্রদর্শন করা উচিত, অন্যরা প্রদর্শন করতে গেলে, সেই কাকের ময়ূর সাজার গল্পের মত পরিণতি হবে। টারজানের পোশাক কিংবা টারজানের বউয়ের পোশাক পড়ে কেউ যদি সমাজে হেটে বেড়ায় তবে কি অবস্থা হবে তাকি ভাবা যায়? অতএব এদেশের মানুষের শ্রদ্ধা ভালোবাসা পেতে চাইলে, চিন্তার গতিধারাকে সঠিক গতি দান করতে হবে, অন্যথায় পতনের তলানি খুঁজে পাওয়া যাবে না।
শুধু জয়া আহসান নয়, প্রায়শই অনেকে বিদেশ থেকে আমন্ত্রণ পেলে, মনে করেন, কিনা কি হয়ে গেছে। মনে রাখবেন, আপনাদের খ্যাতির কারণ, দর্শকের কাছে আপনাদের গ্রহণযোগ্যতা। দর্শক যদি আপনাকে ছুড়ে ফেলে দেয় ডাস্টবিনে, আপনার খ্যাতি লাভের ভিন্ন কোন উপায় থাকবে না। অতএব নিজেদের সংস্কৃতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল হোন, মানুষ আপনাদের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হবে। মানুষের ভালোবাসা নিয়ে বেঁচে থাকার চেষ্টা করুন। সুবিধাবাদীরা সুবিধা শেষ হলে কেটে পড়বে।
জয়া আহসান, আপনি যদি আপনার অভিনীত কলকাতার ছবি আবর্তের প্রতিনিধি হিসেবে যান, তবে আমার বলার কিছু নেই।
ছবি দেয়ার মোটেই ইচ্ছা নেই। আমি নিজেই যা পছন্দ করিনা, তা আবার প্রদর্শন করব! তা কি করে হয়।
বেকার যুবক[/sb
৬৯৬
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৪০