ঘটনা ১.....
আমাদের বাসার সবাই আওয়ামী লীগের সমর্থক। কিন্তু আমার এক ছোট্ট কাজিন বিএনপির সাপোর্টার।সে ক্লাশ থ্রি তে পড়ে। তো নির্বাচনের পর একদিন বাসায় ফোন করে তার সাথে কথা বলার ইচ্ছা হলো। তাকে জিজ্ঞাস করলাম, তোর দল তো হারলো, তোর মন খারাপ লাগছে না। সে বলল্লো, আমার মন খারাপ হবে কেন, আমি তো আর নেতা না। আমি বলল্লাম, তুই নাকি বাসার সবাইকে নৌকায় ভোট দিতে না করেছিস? সে বলে, কই নাতো, সুধু বাবাকে বলেছি নৌকায় ভোট না দিতে। শেষে জিজ্ঞাস করলাম আসল প্রশ্নটা, বাসার সবাই আওয়ামী লীগ, তুই কেন বিএনপি? তার উত্তর টা ছিল এরকম - আমাদের বাসার পাশে এক লীগ নেতার বাসা। ঐ নেতার ছেলে আমার কাজিনের বয়সী। মহল্লার বাচ্চার যখন রাস্তায় ক্রিকেট খেলতে যায়, তখন ঐ নেতার ছেলে নাকি আমার কাজিনকে শুধু মারে। তাই সে লীগের বিপক্ষে!!! হা...হা...হা...হা...। আমি বল্লাম, তোকে মারে আর তুই কিছু বলিসনা। কাজিন উত্তর দেয়, কি ভাবে বলবো, ওর বাবা যে বড় নেতা।
দিন বদলের নির্বাচনের পর আশা রাখবো, নেতা এবং নেতাপুত্ররা যেন ক্ষমতার অপব্যাবহার না করে।
ঘটনা ২
আমার এক বন্ধু ঘোর বিএনপি সাপোর্টার। ইলেকশনের পর তাকে পরিস্থিতি কি জিজ্ঞাস করলাম। সে বলল্লো, আজ সে থানার গিয়েছিল তার ভাইয়ের এক কেস নিয়ে। থানায় গিয়ে থানার সাবইন্সপেকটর কে পরিচয় দেয় সে ঐ এলাকার এমপি'র জামাইর বন্ধু। তাতেই নাকি কাজ হয়ে গেছে।
ঐ অফিসার আগে নাকি তাকে তেমন পাত্তা দিতনা।এখন নাকি ভাই বলে সম্বোধন করে।
আসলে আমাদের সবাইকে বদলাতে হবে। যেকোন কাজে উপর মহলের রেফারেন্স দেয়া বন্ধ করতে হবে। আমাদের নিজেদের ই নিজেদের সমস্যার সমাধান করতে হবে। আমাদের প্রশাসনকে হতে হবে শক্ত। সামান্য একটা নেতার রেফারেন্স দিতেই যদি তারা কাপাকাপি শুরু করে দেয় তবে এই সরকার দিনবদলের ওয়াদা কিভাবে পালন করবে? নতুন প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমার আবেদন, তিনি যেন পুলিশ অফিসারদের মেরুদন্ড শক্ত করে কাজ করতে বলেন। অফিসাররা যেন এলাকার এমপি ও তাদের চ্যালাদের উপদেশ-নির্দেশে না চলে। সত্যিকারের এক নিরপেক্ষ ও সফল প্রশাসন চাই। আশা করি জননেত্রী আমাদের এই চাওয়া পুরণ করবেন।!