মানকে মিয়া নয় তো ছ্যাঁচোড়, বিশ্বমানের চোরই।
ছিঁচকে-রা সব পেত্নী হলেও, মানকে হলেন পরি!
অন্যরা সব বদনা হলে তিনি হলেন ঘটি;
দাঁয়ের মতো ভোঁতা সবাই, তিনিই খালি বটি।
সে-সব বলে লাভটা কী আর? বুঝবি কিছু তোরা?
বুঝলে কি আর মানকে মিয়া হতেন ‘মানিক চোরা’?
তোরা ভাবিস চুরি করা এক্কেবারে সোজা!
নিজে যদি করতি চুরি তবেই যেত বোঝা।
চুরি তো নয় ছ্যাঁচড়ামি রে, শিল্প অনেক বড়ো—
সে-সব ব্যাপার বুঝবে কি আর তোদের মতোন জড়?
আছিস খালি নিজের তালে—পরের সাথেই আড়ি,
পরকে এমন আপন ভেবে ঢুকিস তাদের বাড়ি?
পরের জিনিস আপন ভেবে নিজের করে নেয়া!
চোর ছাড়া এই বিশ্ব-মাঝে আর পারে তা কে, আঁ?
কেন তবে সিঁদ কেটে রোজ ঢুকতে হবে তাঁকে?
এমনি করে ঢুকলে ঘরে মান-সম্মান থাকে?
তাই তো তিনি আজকে রাতে ঢোকেন সদর দোরে;
তাই বলে হায়! এমনি করেই ফেলতে হবে ধরে?
এই জগতে মেধার কোনও কদর আছে কি রে?
জাপটে ধরিস কাঁচরে তোরা, আছড়ে ভাঙিস হিরে।
হিরের কদর নেইরে যখন কী আর করা যাবে,
রাত্রিবেলায় সব মেধাবী এমনি ধরা খাবে।
মানুষ, তোদের এই জগতে নিয়ম হলো এটাই—
যোগ্য লোকে পায় না কদর, সবাই ধরে পেটায়!
মেধার কদর থাকত যদি একটা হলেও লাখে—
এমনি করে ধাপুস-ধুপুস দিতিস কি আর তাঁকে?
—চোরের মর্যাদা
আহমদ মুসা,
২০ ডিসেম্বর, ২০১৭।
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:১৮