বন্ধক
আমেরিকার নিউইয়র্ক সিটি ব্যাংকের সামনে পার্কিং এরিয়ায় একটি রোলস রয়েস এসে থামল। ড্রাইভিং সিটের পাশের দরজা খুলে নামলেন ধোপদুরস্ত পোশাক পরা এক লোক। পেশায় ব্যবসায়ী, নাম উইলিয়াম।
ব্যাংকের ভেতর ঢুকতেই সুন্দরী রিসেপশনিস্ট বলল, "স্বাগতম, স্যার। আপনাকে কিভাবে সাহায্য করতে পারি ?"
"লোনের ব্যাপারে আমি কার সাথে কথা বলব ?" - উইলিয়াম জিজ্ঞাসা করলেন।
উত্তরে একটি ডেস্ক দেখিয়ে দিল রিসেপশনিস্ট। উইলিয়াম ডেস্কের সামনের চেয়ারে গিয়ে বসতেই লোন অফিসার জিজ্ঞাসা করলেন, "বলুন স্যার, কি জানতে চান ?"
"ব্যবসায়িক কাজে আমি এক মাসের জন্য ইউরোপ যাচ্ছি। তাই, জরুরী ভিত্তিতে আমার পাঁচ হাজার ডলার লোন প্রয়োজন" - জানালেন উইলিয়াম।
"কিন্তু স্যার, ব্যাংকের নিয়ম অনুসারে নিরাপত্তার খাতিরে আপনাকে লোন নেবার জন্য কিছু একটা বন্ধক রাখতে হবে।"
শর্ত শুনে তিনি পকেট থেকে একটা চাবি বের করে অফিসারকে বললেন, "আমার রোলস রয়েসটি আপনাদের পার্কিং এরিয়ায় আছে। বন্ধক হিসেবে চলবে ?"
"একটু বসুন" এই বলে অফিসার রোলস রয়েসের সত্যিই কোন অস্তিত্ব আছে কিনা, তা দেখার জন্য একজন পিয়নকে পাঠালেন। কিছুক্ষণ পর পিয়ন এসে সব ঠিক আছে জানানোর পর লোন অফিসার বললেন, "ঠিক আছে, এই নিন পাঁচ হাজার ডলার। মনে রাখবেন, এক মাসের বেশি হলে কিন্তু মূল টাকার দ্বিগুন জরিমানা দিতে হবে।"
"আমার মনে থাকবে, ধন্যবাদ" - এই বলে উইলিয়াম ডলারগুলো নিয়ে চলে গেলেন। উইলিয়াম যাবার পরপরই ড্রাইভারকে দিয়ে রোলস রয়েসটি ব্যাংকের আন্ডারগ্রাউন্ড গ্যারেজে আনিয়ে রাখলেন অফিসার।
ঠিক এক মাস পর। সিটি ব্যাংকের লোন অফিসারের সামনে বসে আছেন উইলিয়াম। লোনের পাঁচ হাজার ডলারের সঙ্গে এক মাসের সুদ হিসেবে বিশ ডলার পরিশোধ করতে এসেছেন তিনি।
"যথাসময়ে লেনদেন সম্পন্ন করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। কিছু মনে না করলে আপনাকে একটা প্রশ্ন করতে পারি ?" উইলিয়ামকে বললেন লোন অফিসার।
"জি, অবশ্যই"
"আপনি ইউরোপ যাবার পর আমরা খোঁজ নিয়ে জেনেছি, আপনি একজন মালটিমিলিয়নেয়ার। তাই, এই ব্যাপারটা কিছুতেই আমার মাথায় ঢুকছেনা যে মাত্র পাঁচ হাজার ডলারের জন্য আপনি এত দামি রোলস রয়েসটি কেন বন্ধক রেখেছিলেন ?"
"কেন আবার, গাড়িটার নিরাপত্তার জন্য।"
"মানে ?!" - লোন অফিসারের কন্ঠে বিস্ময়।
উত্তরে উইলিয়াম বললেন, "আপনিই বলুন, পুরো নিউইয়র্ক সিটিতে মাত্র বিশ ডলারের বিনিময়ে এক মাসের জন্য নিরাপদে রাখার জন্য পার্কিং এরিয়া কোথায় আছে !"
বিয়ার
এক ট্রাক ড্রাইভার বিয়ার খাবার জন্য বারে ঢুকে দেখল, এক ভদ্রলোক গ্লাস ভর্তি বিয়ার নিয়ে মনমরা হয়ে বসে আছে। তার সাথে একটু মজা করার জন্য সে লোকটার বিয়ারটুকু খেয়ে নিল। কিন্তু এজন্য যে লোকটা এত সিরিয়াস হবে, সে কল্পনাও করেনি। লোকটা রীতিমত কাঁদতে শুরু করল।
ট্রাক ড্রাইভার ব্যস্ত হয়ে তাকে সান্ত্বনা দিতে বলল, "আমি তো একটু মজা করছিলাম, ভাই। আপনি কাঁদবেন না, প্লিজ। আমি এক্ষণি আপনাকে বিয়ার আনিয়ে দিচ্ছি।"
ভদ্রলোক কান্না থামিয়ে বলল, "আসলে আমার দিনটাই আজ খারাপ গেছে। সকালে অফিসে পৌঁছুতে দেরি হওয়ায় জরুরী একটা মিটিং মিস করলাম। বস এককথায় আমাকে সাসপেন্ড করে দিল।
অফিস থেকে বেরিয়ে দেখি, আমার গাড়ি নেই। পুলিশে রিপোর্ট করতে গেলাম, ওরা জরুরী কাজে ব্যস্ত, এই সামান্য ব্যাপারে মাথা ঘামাবার সময় তাদের নেই। গাড়ির আশা ছেড়ে ট্যাক্সি দিয়ে বাড়ি ফিরলাম। বাড়িতে ঢুকতে গিয়ে মনে পড়ল, জরুরী কাগজপত্র ট্যাক্সিতে রয়ে গেছে। দ্রুত রাস্তায় ফিরেও ট্যাক্সিটাকে পেলামনা। :-<
তারপর, বাড়িতে ঢুকে দেখি, স্ত্রী নেই। টেবিলের ওপর তার চিঠি পেলাম, সে আমাকে ছেড়ে চলে গেছে।
মনের দু:খে এখানে এলাম। ভাবলাম, জীবন রেখে আর কি লাভ ?
কিন্তু আপনি আমার বিষ মেশানো বিয়ারটাও খেয়ে নিলেন। আমার কপালটাই খারাপ...
(কমন পড়লে আমার দোষ নাই কিন্তু)
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা জুলাই, ২০১০ বিকাল ৪:৪৬