somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

১২ ইমামের সঙক্ষিপ্ত জীবনী

১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:৪৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ভূমকাি

মানব সৃষ্টরি প্রথম মানুষ ছলনেি ঐশী মানব হযরত আদম (আ.)। অতএর্ব সৃষ্ট জগতকি সোবকি ভাবে পরবষ্টনিে করে রখছেেে ঐশী আলো। আর সৃষ্টি জগতরে পরসমাপ্ততওিিে থাকবনে একজন ঐশী মানব যনিি ইমাম মাহদী (আ.) নামে পরচত।িি হয়তবা এর মূলতঃ কারণ হল মানব জাতি সত্য পথে চলার ক্ষত্রেে মহান আল্লাহ্র সম্মুখে কোন প্রকার অজুহাত উপস্থাপনরে অবকাশ না পায়। হদোয়তরেে এই দুই বন্ধনীর মধ্যে অবস্থান করছে মানব জাত।ি সুতরাং মানুষর্ কখনো ঐশী পথ প্রদশক শূণ্য অবস্থায় থাকবে না ।
মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) দুনয়াতিে আগমণ করে নবী বা রাসূল আগমনরে পরসমাপ্তিি ঘটান। তনিি হলনে শষে নবী ও রাসূল তাঁর পরে আর কোন নবী বা রাসূল আগমন করবনে না। কন্তুির্ প্রশ্ন হল তাঁর অবতমান র্কাল থকেে কর্য়োমত পযন্ত এই সূদীঘ সময়ে মানব জাতকর্িে সত্যর দকে নদশনোিি দবেে ক?ে আমরা কভাবিে নশ্চতিি হব যে সত্যে অবচলি আছ?ি পীররে দরবারে আরাধনা কর?র্ েনা, রাজনতকিৈ ধমরে সদস্য হয়ে রাস্তায় নম?েে আজ চোররে মুখওে শোনা যায় ঘরে ঘরে সত্যরে আলো জ্বালার কথা। আজ দু’জন মুফতি বপরীতমুখীি দু’রকম কথা বলন।ে প্রত্যকটিে মাযহাব অন্য মাযহাবকে বচ্যুতি বলে বশ্বাসি করে থাকন।ে তাহলে প্রকৃত সত্যরে আলো কোথায় পাওয়া যাব?ে সম্মানীয় পাঠক আপনার কাছইে যদি প্রশ্ন করা হয় য,ে রাসূলরে যুগরে মতই মুসলমি উম্মাহ যদি আজ একটইি একক জাতি হসবেিে থাকত, তাহলে কমনে হত? মানব জাতি আজ চরম দ্বধা-দ্বন্দ্বরেি মধ্যে দনি কাটাচ্ছ।ে যদি প্রশ্ন করি এত সব ফরকাি বা মাযহাবরে উৎপত্তরি মূল কারণ ক?ি তাহলে কি উত্তর দবন?িে নশ্চয়ি আমি ও আপনার মত সাধারণ লোকরো এত সব মাযহাবরে সৃষ্টি করন।িে তাহলে করলো কারা? আর যারা মাযহাব সৃষ্টি করছনেে তারা কি ভালো কাজ করছন?েে
মাযহাব হল র্রাসূলর (সো.) আদশকে ভুল অনুধাবনরে একটি ফল। যাকে আমরা মাকাল ফলরে সাথে তুলনা করতে পার।ি যার বাহ্যকি অবয়ব অতি সুন্দর ইসলামরে মতই কন্তুি অভ্যন্তরে অবস্থান করছে আমাদরে কামনা-বাসনায় র্তরী একৈ নোংরা আদশ। আজ কোন মাযহাবই স্বীকার করবনে না যর্ েতারা রাসূলর আদশকেে ভুল অনুধাবন করছনেে ।
এই নামাযে দাঁড়ানোর অবস্থার কথাই ধরুন, কউে হাত ছড়েে দয়িে পড়নে আবার কউে বঁধ।েে আবার যারা হাত বঁধেে পড়নে তাদরে সবাই একই স্থানে বাঁধনে না। তাহলে


[১। সুরা নসা,ি ১৫৬ নং আয়াত।
২ । فَتَقَطَّعُوا أَمْرَهُمْ بَيْنَهُمْ زُبُرًا كُلُّ حِزْبٍ بِمَا لَدَيْهِمْ فَرِحُونَ- অতঃপর তারা [তাদরে হদোয়তর]েে বষয়কেি বহু পন্থায় বভক্তি করে দয়ছ।েিে আর প্রত্যকে স¤প্রদায় নজি নজি মতবাদ নয়েি আনন্দত।ি -সূরা মু’মনুন,ি ৫৩ নম্বর আয়াত ।]
রাসূলুল্লাহ্ (সা.) কভাবিে নামায পড়ছন?েে সে যুগরে মুসলমানরা কি প্রত্যক্ষ করননিে যে রাসূলুল্লাহ্ (সা.) কভাবিে নামায পড়ছন?েে
অথচ মালকীে মাযহাবরে প্রতষ্ঠাতাি মালকে বনি আনাস বনি মালকে আসবাহী [৯৩/৯৫ হঃ-১৭৯ি হঃ]ি জীবন যাপন করন।ে আর হানাফী মাযহাবরে প্রতষ্ঠাতাি নো’মান বনি সাবতে বনি যাওত্বা যনিি আবু হানফাি নামে প্রশদ্ধি তনিি [হঃ৮০-ি হঃ১৫০]ি জীবন যাপন করন।ে অন্যদকিে শাফঈে মাযহাবরে প্রতষ্ঠাতািি মুহাম্মদ বনি ইদ্রসি শাফঈে ছলনেি [১৫০হঃ-ি ২০৪হঃ]ি সন।ে আর হাম্মালী মাযহাবরে প্রতষ্ঠাতাি আহমাদ বনি মুহাম্মদ বনি হাম্মাল জীবযাপন করনে [১৬৪হঃ-ি ২৪১হঃ]ি সন।ে
কভাবিে সম্ভব ১৫০ থকেে ২০০ বসররে মধ্যে নামাযরে মত এমর্ন একট গুরুত্বিপূণ বষয়ি যা মুসলমানরা প্রতদনিি পালন করতনে সখোনে এত বভদেি দখো দব?েি
নশ্চতিি ভাবে আমরা জানি য,ে রাসুলুল্লাহ্ (সা.) আজকরে র্দনরেি অবস্থা সম্পকে ভালোভাবে অবগত ছলন।িে কননো একটি প্রসদ্ধি হাদীসে মহানবী (সা.) বলছন,েে আমার উম্মতরো ৭৩ ফরকায়ি বভক্তি হয়ে পড়ব,ে এদরে মধ্যে একটি ফরকো পরকালে মুক্তি পাবে আর বাকী মাযহাব গুলো পথভ্রষ্ট বা তারা মুক্তি পাবে না। এখানে আমার উম্মত বলতে কবলে মুসলমানদরে কথায় বোঝানো হচ্ছ।ের্ অথাৎ মহানবী র্বতমান অবস্থা সম্পকে অবগত ছলনেি আর এজন্যই উম্মাহকে সাবধান করতে ওকথাই বলছন।েে কন্তুি প্রশ্ন হল এই অবস্থা থকেে মুক্তি বা সত্যপথর্ পাওয়ার কোন নদশনোি কি তনিি দয়িে যানন?ি
যর্দ তিনিি পথনদশনোি দয়িে থাকনে তাহলে তা আমাদরে অবশ্যই অনুসন্ধান করা উচত।ি আর যর্দ কিোন পথ-নদশনোি না দয়িে থাকনে তবে বশে কয়কটিে মৌলকি প্রশ্ন আমাদরে সামনে এসে দাঁড়াব।ে যথাক্রমে ঃ তনিি তাহলে কভাবিে সৃষ্টরি সরো মানব হলন?ে যে জাতরি সমস্যাকে সনাক্ত করতে সক্ষম কন্তুি সমাধান দতিে পারনে না। কয়োমতরে দনি আমরা মহান আল্লাহর দরবারে অজুহাতরে স্বরে বলতে পারবো য,ে হে প্রভু পৃথবীতিে আমরা বভন্নিি ফরকো ও মাযহাবরে দখোনো পথরে অনুসরণ করছ।িে কোন পথে চলতে হবে সক্ষত্রেেে রাসুর্লর (সে.) নদশনোি পাইন।ি তাই আমরা জন্ম সূত্রে বা হাতরে কাছে যে মাযহাব পয়ছিেে তারই অনুসরণ করছ।িে কন্তুি এরকম সকল প্রকাররে বাহানার ভত্তকইিেি মহান আল্লাহ্ পবত্রি কুরআনে সুরা নসারি ১৫৬ নম্বর আয়াতে বাতলি করে দয়ছন।েিে
তাই আমরা কুরআনরে ভত্ততেিি বলতে পারি য,ে মহানবী র্(সা.) কয়োমত পযন্ত বভন্নিি সমস্যার ক্ষত্রেে মানব জাতকিে বভর্ন্নিি ভাব পথনদশেনোি দয়িে গছন।েে এজার্তয় বশ্বিাসইি সবাধকি সত্য ও কুরআন ভত্তকিি বশ্বাস।ি কন্তুি প্রশ্ন হল যখন সমস্ত মাযহাব বলছে সত্যরে আলো তারাই বহন করছনে তখন সখোনে আমরা কভাবিে র্রাসুল (সা.) নদশতিিে ও
(১ । {مِنْ الَّذِينَ فَرَّقُوا دِينَهُمْ وَكَانُوا شِيَعًا كُلُّ حِزْبٍ بِمَا لَدَيْهِمْ فَرِحُونَ}র্-যারা তাদর ধমেে বভন্নিি দল বা ফরকারি সৃষ্টি করছেে ফলে তারা অনকে দলে বভক্তি হয়ে পড়ছ।েে আর প্রত্যকে দলই নজি নজি মতবাদ নয়েি র্উল্লাসত। সুরাি আ রুম ৩২ নম্বর আয়াত]

আল্লাহ প্রদত্ত পথকে বছেে নতিে পারবো? এক্ষত্রেে আমরা তনটিি ধারণা কল্পনা করতে পার।ি
(১) প্রত্যকরেে ইচ্ছাখুশী মত পথ বছেে নওয়ো। এইর্ স্ব-ইচ্ছায় নবাচনরিে ভত্তিি কখনো জ্ঞান হতে পারে আবার কখনো আবগে ও অন্যরে প্রভাব হতে পার।ে
(২) রাসূলরে (সা.) সাহাবীরা হলনে আকাশরে নক্ষত্রসম তাই তাদরকেে অনুসরণ করলইে প্রকৃত হদোয়তরেে পথ পাওয়া যাব।ে কননো তারা সরাসরি রাসূলরে (সা.) জীবনধারাকে প্রত্যক্ষ করছনেে এবং রাসূলরে (সা.) হাতইে তারা গড়ে উঠছন।েে
(৩) রাসূলরর্ ে(সা.) অবতমানে যাদরকেে রাসূল (সা.) সত্যরে মানদন্ড হসবেিে জনসমাজে পরচয়ি দয়ছনিেে এবং মুসলমি উম্মাহ্কে যাদরে অনুসরণ করতে বলছনর্েে তাদর নদশতিেেি র্পথ চলো। অথাৎ আমাদরকেে আবগে ও প্রভাব মুক্ত মনে অনুসন্ধান করা উচতি যে রাসূলুল্লাহ্র্ পরবতী কালে মানব জাতরি হদোয়তরেে জর্ন্য কাউক নধোরণি করে গছনেে ক-নার্? যিদ নধারণিি করে গয়িে থাকনে তাহলে অন্যরে পছিে ছুটে বড়োনোর আর আমাদরে দরকার নই।ে কননো আমরা কয়োমতরে দনি বলতে পারবো য,ে হে আল্লাহ্ আমরা আপনার রাসূলরর্ ে(সা.) নদশতিিে পথ ও ব্যক্তদরকিেে অনুসরণ করছ।িে
প্রথম ধারণাটি পবত্রি কুরআনরে ভত্ততেিি বাতলি হয়ে যায়। কননো সত্য কখনো মানুষরে ইচ্ছাকে অনুসরণ করে না। বরং মানুষকে সত্যরে অনুসরণ করা উচত।ি আর হদোয়তরেে র্ক্ষত্রেে সত্য নদশনোি কবলে আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূলরে (সা.) মাধ্যমইে আসতে হবে নতুবা সটেি হবে নজরেি প্রবৃত্তকিে অনুসরণ করার শামলি ।
আর দ্বতীয়ি ধারণাটি নশ্চয়ি সত্যে উপণীত হওয়ার একটি ভালো মাধ্যম। কননো সাহাবীগণ মহানবীর সামনে থকেে সব কছুি শখছন।েিে তাই তাদরে মাধ্যমে আমরা মহানবীকে অনুসরণ করতে পার।ি আর মহানবী (সা.) কে অনুর্সরণ করার অথ হল আল্লাহকে অনুসরণ করা, এ বষয়েি কোন প্রকার সন্দহে থাকতে পারে না। তবে এখানে দুটি বষয়রিে আরো স্পষ্ট করে ব্যাখ্যা করা উচত,ি তাহল প্রথমটি হল ঃ সাহাবী
......চলবে।

১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

সভ্য জাপানীদের তিমি শিকার!!

লিখেছেন শেরজা তপন, ১৭ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০৫

~ স্পার্ম হোয়েল
প্রথমে আমরা এই নীল গ্রহের অন্যতম বৃহৎ স্তন্যপায়ী প্রাণীটির এই ভিডিওটা একটু দেখে আসি;
হাম্পব্যাক হোয়েল'স
ধারনা করা হয় যে, বিগত শতাব্দীতে সারা পৃথিবীতে মানুষ প্রায় ৩ মিলিয়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

রূপকথা নয়, জীবনের গল্প বলো

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ১৭ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:৩২


রূপকথার কাহিনী শুনেছি অনেক,
সেসবে এখন আর কৌতূহল নাই;
জীবন কণ্টকশয্যা- কেড়েছে আবেগ;
ভাই শত্রু, শত্রু এখন আপন ভাই।
ফুলবন জ্বলেপুড়ে হয়ে গেছে ছাই,
সুনীল আকাশে সহসা জমেছে মেঘ-
বৃষ্টি হয়ে নামবে সে; এও টের... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে ভ্রমণটি ইতিহাস হয়ে আছে

লিখেছেন কাছের-মানুষ, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১:০৮

ঘটনাটি বেশ পুরনো। কোরিয়া থেকে পড়াশুনা শেষ করে দেশে ফিরেছি খুব বেশী দিন হয়নি! আমি অবিবাহিত থেকে উজ্জীবিত (বিবাহিত) হয়েছি সবে, দেশে থিতু হবার চেষ্টা করছি। হঠাৎ মুঠোফোনটা বেশ কিছুক্ষণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ১৮ ই মে, ২০২৪ ভোর ৬:২৬

আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।
প্রথমত বলে দেই, না আমি তার ভক্ত, না ফলোয়ার, না মুরিদ, না হেটার। দেশি ফুড রিভিউয়ারদের ঘোড়ার আন্ডা রিভিউ দেখতে ভাল লাগেনা। তারপরে যখন... ...বাকিটুকু পড়ুন

মসজিদ না কী মার্কেট!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৮ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৩৯

চলুন প্রথমেই মেশকাত শরীফের একটা হাদীস শুনি৷

আবু উমামাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ইহুদীদের একজন বুদ্ধিজীবী রাসুল দ. -কে জিজ্ঞেস করলেন, কোন জায়গা সবচেয়ে উত্তম? রাসুল দ. নীরব রইলেন। বললেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

×