সমগ্র শীতকাল জুড়ে পেট্রোল বোমা মেরে যেই উত্তাপের আয়োজন করা হয়েছিল তার সমাপ্তির আশা করছি। শীতের এই সমাপ্তিলগ্নে বিচক্ষণ রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ আশা করি সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত নিয়ে জনগনের কল্যাণে এগিয়ে আসবেন। যেমনঃ হরতালের মুল্লুকে পেট্রোল বোমার বিকল্প হতে পারে বরফ বোমা। মগজসিদ্ধ গরমে প্রাইভেট ফায়ার সার্ভিস দিয়েও পিকেটিং করা যেতে পারে। এই উদ্যোগ কিছু জরুরী অবস্থায় অগ্নিনির্বাবপক সহায়তার মাধ্যমে জনহিতকর বলে গন্য হলে সংশ্লিষ্ঠ কর্তৃপক্ষ জনগণের দিলখুশ করতেও সক্ষম হবে বলে আশা করা যায়।
তাছাড়াও আসন্ন রমজান মাসে ইফতার বোমা, স্কুল কলেজের আশেপাশে টিফিন বোমা, হাসপাতালের আশেপাশে ঔষুধ বোমা, সংসদ ভবনের আশেপাশে আক্কেল বোমা ইত্যাদি ভিন্নধর্মী বোমাবাজির আয়োজন করে দেশের ঝটিকা মঙ্গল সাধনে মোক্ষম ভূমিকা রাখা সম্ভব। তবে আশা করা যায় এত সুন্দর যুগোপযোগী বুদ্ধির তোয়াক্কা না করে এসএসসি'র আগেই ফাটানো হবে প্রশ্নবোমা, রেজাল্টে ফাটানো হবে এ+বোমা। তারপর চলবে মিষ্টি বোমা, সৃষ্টি হবে অনেক স্বপ্ন বোমা। বাস্তবতায় পড়ে থাকবে সব আলু বোমা আর কচু বোমা। আহা! সত্য বড়ই নির্মম। প্রথম আলুর সদ্য ফাটানো কবি বোমার কথা আর নাহয় নাই বললাম....বোমা দিয়েই হবে বোমা নিধন। যেমনঃ দলে দলে প্রথম আলু অফিসে গিয়ে পাদবোমা মেরে এই নিকৃষ্ট কবিবোমা ফাটানোর প্রতিবাদ জানানো যায়।
বহুত হইসে, সব বুদ্ধি একদিনে দিয়া দিলে পাবলিক হতবুদ্ধি হইয়া যাইতে পারে। চলছে চলবে বুদ্ধির গাড়ি। ততদিন বোমা ফাটান, বোমা খান- ভাল রাখেন, ভাল থাকেন। বিদায়