এবার তার মাথায় এলো ছড়িয়ে যাবার পরিকল্পনা। ১৯৬০ সালে , মাত্র ৬ বছরে তার আউট লেটের সংখ্যা হলো--২০০-তে্। ১৯৬৪ সালে তার কোম্পানীর শেয়ার বাজারে ছাড়ে। আরও অবিশ্বাস্য যে ১৯৭০ সালের মধ্য তার আউটলেটের সংখ্যা দাড়ায়--২০০০ এ। প্রতিবছর আয়ের পরিমাণ দাড়ায় এক বিলিয়ন ডলার। ১৯৭২ সালে প্রতি ৯০,০০০ লোকের জন্য তার আউটলেট তৈরী হয়। এবার গন্ডি ছাড়াবার গদ্য।১৯৭৭ সালে প্রথম বারের মত আমেরিকার বাইরে লন্ডনে ৩০০০-তম শাখার উদ্বোধন হয়। ইউরোপীয়নরা প্রথমবারের মত আমেরিকান বার্গারের স্বাদ পেয়ে অভিভূত হলো। এভাবেই তার আউটলেট বেড়ে চল্রো--ব্রনাই থেকে বেলজিয়াম আর ইটালী থেকে কানাডা। ভারত বর্ষে ঘাটি গড়ার সময় একটু ভয় ছিল-- যে ভারতীয়রা এত দামী খাবার খাবে কিনা ? কিন্তু স্থানীয় কাঁচামালের সহজ লভ্যতা হেতু শেষ পর্যন্ত ভারতেও এর দাম হাতের নাগালে হওয়ায় এখানে আরো দ্রত বাজার জমে উঠলো। ২০০৭ সালে চীন দেশেও তাদের আউটলেট খুলে। সারা বিশ্বে এখন তাদের আউটলেটরে সংখ্যা এখন ১০,০০০-এর উপরে।
সেদিনের সেই মিল্কশেক মেশিন বিক্রেতা আর কেউ নন, আপনাদের খুব পরিচিত বিশ্বের সবচেয়ে বড় ফাষ্টফুড চেইনশপ---"ম্যাকডোনাল্ডস"---এর প্রতিষ্ঠাতা রেমন্ড ক্রক। সেদিন একজন নিছক সেলসম্যানের নিজস্ব বিপ্লব থেকেই জন্ম লাভ হয় একটি বিশ্বখ্যাত ব্রান্ডের।
তাই ,, পৃথিবীর সকল সেলসম্যানের মধ্যই লুকিয়ে আছে অনেক বড় কিছু সৃষ্টির সম্ভাবনা,,, দরকার শুধু ইচ্ছের।।।।।