গোবর্ধন এখন পেইজের এডমিন
তো এরিমধ্যে অনেকদিন কাটিয়া গেলো,গোবর্ধনের সহিত কোনোরুপ দেখা সাক্ষাত হইলো না।ভাবিলাম,যাই একবার ফেসবুকে ঘুরিয়া আসি।
"যেখানেই দেখিবে চ্যাট লিস্ট,ক্লিকাইয়া দেখ at least,পাইলেও পাইতে পারো আমার দোস্ত গোবর্ধন"
।তো গেলাম,চ্যাট লিস্টে ঢুকতে সবার আগে দেখলাম,গোবুর নাম।style king gab।নক করিলাম।বলিলাম,কীরে দোস্ত অমাবস্যার চাঁদ হইয়া গেলি নাকি।
সে বলিলো আরে দোস্ত কইস না,ইদানীং আমি খুব ব্যাস্ত।তা আমি তাহাকে কহিলাম,যে কী এমন কাম কর্তাছোস,যাতে এত ব্যাস্ত।তারপর সে তাহার মুখ খুলিলো এবং বলিতে শুরু করিলো,
তুই আমার ডায়পার কালের দোস্ত।তোরে কইতে ভয় নাই আমার।শোন দোস্ত,আমি একটা পেইজ চালাই।
তো আমি বলিলাম,এইটা আবার এমন কী বড় কথা।পেইজ তো আমিও চালাই।
সে বলিলো,আরে বলদ,এই পেইজ সেই পেইজ না।এই পেইজ দিয়া সবাইরে বাঁশ প্রদান করি,তাও বিনা নোটিশে।
আমি বলিলাম,বাঁশ মানে?কেমন ধরনের বাঁশ।?
এই যেমন ধর,তার নামে আউল ফাউল সব লেইখা পোস্ট দিলাম,তারে হাসির পাত্র করলাম।
আমি বলিলাম,দ্যাখ দোস্ত।এইটা কিন্তু ঠিক না।ফাও ফাও এইটার কি দরকার।
অতপর সে বলিলো,আহা বাছা তুমি এখনো ছোটো।এইসব বুঝিবে না।এইটা ফেসবুক।তুমি বাসায় বইসা মুড়ি খাও।
আমি মাননীয় স্পীকার স্বরুপ চুপসাইয়া গেলাম,আর অধঃস্বরে বলিলাম।
যদি ধরা পইড়া যাইস?
সে এক প্রকার সাড়ে তিন কেজি ওজনের অট্টহাসি দিয়া বলিলো,
"গোবর্ধন কো পাকারনা,মুশকিলই নেহি,নামুমকিন হ্যায়"
আমি আপাতত চুপসাইয়া গিয়া লগ-আউট দিলাম।
তো কিছুদিন আগে দেখি,কতিপয় দুষ্ট-ভদ্র বালকগণ কাকে যেন বিনামূল্যে প্রহার করিতেছে।আর কতিপয় ললনা পাশে দাড়াইয়েআ হাততালি দিতেছে।
জন্মগত আগ্রহবশত কাছে গেলাম,তারপর দেখলাম,এ কি এ তো অন্য কেহ নহে,আমারই দোস্ত গোবর্ধন।অবস্থার কিছুটা আচ পাইলাম,অপেক্ষাকৃত নেতা সদৃশ এক বালকের উক্তিতে।
"তুই আমার ম্যাডামের নামে পোস্ট দিছোস,তোর ১৪ গুস্ঠির নাম ভুলাইয়া ছাড়মু আইজ,পেইজ চালান মারাও"
ভাবসাব এর ইঙ্গিত পাইয়া,যথাসম্ভব দ্রুত প্রস্থান করিলাম,আর ভাবিতে লাগিলাম,
ভাগ্যিস আমি ছোট মানুষ ছিলাম আর বলিতে লাগিলাম,
"গোবর্ধন কো পাকারনা আছানই নেহি,বাচ্চো কা খেল হ্যায়"