এক টুকরো কনভার্সেসন.…
-আমাকে কি মাফ করা যায় না?
-না,সব শেষ।তোমার কাছে আর ফিরতে চাই না আমি।
-একটা লাস্ট রিকুয়েস্ট রাখবা?
-চেষ্টা করবো,বল।
-আমি লাস্ট একটাবার দেখতে চাই,তোমাকে।
-সম্ভব না
-কেনো সম্ভব না।আমি কোনো কথা বলবো না,জাস্ট একটাবার দেইখাই চইলা যাবো।
-পারবো না
-তোমার ভয় নেই,আমাদের মধ্যে নতুন করে আর কিচ্ছু হবে না।আমি বলতেছি।আমি শুধু একবার দেখবো তোমাকে,এই শেষবার।
-পারবো না
-আমি আজকে ঢাকা থেকে আসতেছি।কালকে সকাল ১১ টায়,আমি আসবো তোমাকে দেখতে।
-আমি পারবো না দেখা করতে…
-সেইটা তোমার ব্যাপার
..…..…..…..…..…..…..…..…।
দশ দিন আগের কথা।
-নিলয় কই তুমি?
-এইতো বাসায়…
-সকাল থেকে একবারো মেসেজ দিলা না।কি হইছে তোমার ইদানীং…!
-কি হইছে মানে?কি হবে আবার?
-আচ্ছা তুমি কি আমায় ইগনোর করতেছো?
-আবার শুরু করলা তুমি…?রোজ রোজ এক কথা আর ভাল্লাগে না।
-হুম করলাম,তুমি সেই আগের নিলয় নেই…
-উফ জারা আমি নিতে পারতেছি না আর এইসব।
-কি চাইতেছো তুমি?
-আমি ব্রেক-আপ চাইতেছি।
-তোমার মাথা ঠিক আছে তো?
-হুম,আমার মাথা ঠিক আছে।
-আচ্ছা বেশ।আর জোর করবো না।অনেক বার করছি।এইবার হয়তো তুমি চাইলেও আর ফিরতে পারবো না আমি।তোমার চাওয়া পাওয়ার সাথে আমার চাওয়া কখনোই মিলে নাই,তবুও আকড়ে ধরে ছিলাম,শুধু তোমার ভালোবাসি বলে।তবে আর না।
-হুম,বাই…ভালো থাকো তুমি।
এরপরে নিলয় যতবারই জারাকে নতুন করে সব শুরু করার অনুরোধ করে,প্রতিবারই জারা অসম্মতি জানায়।সে তার সিধান্তে অটল
সকাল ১১ টা
নিলয় দাড়িয়ে আছে।তার বিশ্বাস জারা আসবেই।হুম সে আসবেই।
জারা তা বিশ্বাস রেখেছে।শুধু দেখা করতে এসেই না,সে আজকে নিলয়ের দেয়া ড্রেসটা পড়ে এসেছে।এই কথাই তো ছিলো,যখন নিলয় ঢাকা চলে যায়।
-কেমন আছো জারা?
একটা প্রশ্ন,তবে উত্তরটা দুইরকম।একটা উত্তর জারা নিজে দেয়,যে সে খুব ভালো আছে।আরেকটা দেয় তার চোখের জলের সাথে একাত্ব ঘোষনা করা কালো কাজল,যে সে ভালো নেই।
-জারা আই এ্যাম সরি।প্লিজ মাফ করো আমাকে।আর কখনো হবে না এমন।কথা দিচ্ছি।
জারা কিছুই বলে নে,শুধু নিলয়কে গিয়ে জাপটে ধরে,আর কান্না করে।হাজার বছরের জমানো সে কান্না।এ কান্না শেষ হবার নয়।
বাস্তবতা দুই প্রকার।এক মুঠোফোনের বাস্তবতা অন্যটা বাস্তব বাস্তবতা।বেশীর ভাগ মুঠোফোনের বাস্তববাদীরাই বাস্তব বাস্তবতা মেনে নিতে পারে।আর ভালোবাসা চিরদিন ভালো থাকে,এইসব মুঠোফোনের বাস্তববাদীদের জন্য..…..…
লিখা-আহমেদ সোহান