somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ঈদের জীবনমুখী টেলিফিল্ম মেঠো পথের ধুলো

১৬ ই নভেম্বর, ২০০৯ দুপুর ১:৫৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

দীর্ঘ সাত বছর পর জেল থেকে আজ ছাড়া পেয়েছে ইমরান। জেল থেকে সে ছুটে এসেছে সুখনগরী গ্রামে। যে গ্রামে সে বড় হয়েছে। এই গ্রামের সাথে তার আত্মার টান। কত মধুর সময়ই না কেটেছে তার। প্রতিটি পথ ঘাট, মাঠে প্রান্তর ছুয়ে আছে তাকে। অথচ হঠাৎ গ্রামটাকে অচেনা মনে হচ্ছে। যেন এই গ্রামের সাথে তার কোন সম্পর্কই নেই। কত বদলে গেছে সবকিছু। সময়ের স্রোতে থেমে থাকেনি কিছুই। কিন্তু শুধু বদলায়নি সে। সেই আগের মতোই যেন থেমে আছে সব।
এখান থেকেই ‘মোঠো পথের ধুলো’ টেলিফিল্মের শুরু। তারই স্যুটিং চলছে। অদ্ভূত ব্যাপার হলো সুখনগরী গ্রামের মেঠো পথ ধরেই হেঁটে আসতে হলো। পৌছালাম বেশ দেরি করে। তখন রাতের একটা সট চলছে। পৌছানোর পরই দেখলাম পরিচালক গম্ভীর মুখে বলছে, এটা আমাদের রুজি রুটির ব্যাপার। তোমার যদি শ্রদ্ধা থাকত তাহলে এ কাজ করতে পারতে না। পরিচালকের এ কথায় প্রযোজক শামীম খন্দকার কি বুঝলেন জানি না। তবে যতটা সম্ভব মুখ গম্ভীর করে ফেললেন।
খোঁজ নিয়ে জানলাম ফারহানা মিলি রান্না করবে মাটির চুলায়। তার বাবা সাকা এসে তার সাথে কথা বলবে। কিন্তু কিছুতেই চুলা ধরানো যাচ্ছিল না। তাই এক সময় এসিসট্যান্ট ডিরেক্টর সাহেব স্ক্রিপ্ট ছিড়ে চুলায় আগুন ধরিয়ে দেয়। সটও ঠিক মতো ওকে হয়। কিন্তু সট ওকের পর দেখা গেল মূল স্ক্রিপ্টের অংশ বিশেষও নেই।
সারাদিন স্যুটিং বেশ ভালোই চলছিল। তবে অঘটন যা ঘটার তা ঘটল দুই সিকুয়েন্স বাকী থাকতে। রাইসুল ইসলাম আসাদকে এলাকাবাসী পিটিয়েছে। তার ছেলে লিটু আনাম তাকে গঞ্জে নিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু রাস্তায় তিনি মারা যান। ঠিক এ সময়ই পুলিশ এসে লিটুকে গ্রেফতার করবে। এই সটে পুলিশ তার হাতে হ্যান্ডকাফ লাগাবে। সট প্রায় শেষ এই সময় লিটু চিৎকার দিয়ে উঠলেন। সবাই ছুটে গেল। কি হয়েছে? তিনি বেশ ব্যথা পেয়েছেন। কারণ হ্যান্ডকাফটা ছিল নষ্ট। তারচেয়েও বড় সমস্যা প্রোডাকশন বয় স্বপন এফডিসি থেকে হ্যান্ডকাফ ভাড়া আনার সময় তার চাবি আনেনি। এখন উপায়? হ্যান্ডকাফ খোলা না গেলে পরবর্তী সিকুয়েন্স কি করে করবে?
পরিচালক কি করবে খুঁজে পাচ্ছে না। অনেক টানাটানি করা হলো। লিটুর হাত লাল হয়ে গেল। প্রোডিউসার তো মাথায় হাত দিযে বসে পড়লেন। টেলিফিল্মের শেষ পরিনতি এত ভয়াবহ হবে ভাবতে পারেননি। এমন সময় কে একজন থানায় ফোন দিল। ওপাশ থেকে নানান প্রশ্ন, হ্যান্ডকাফ পেলেন কোথায়? কোথাকার চোর? কি চুরি করতে এসেছিল? চোরের হাতে হ্যান্ডকাফ কে পরিয়েছে? কেন পরিয়েছে? এত প্রশ্নের উত্তর দেয়া সম্ভব না। এলাকার এক পুলিশ এসে কিছুণ ট্রাই করল। কিন্তু কিছুতেই কিছু হলো না। ঘন্টা দুই অপোর পর পরিচালক প্যাকআপ করা ছাড়া যখন আর কোন উপায় খুঁজে পেল না। তখন সাহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিল গ্রামের এক ছেলে। লেদ মেশিনে সে কাজ করে। সে বলল, সে কেটে দিতে পারবে। লিটুকে নিয়ে যাওয়া হলো লেদ মেশিনের ওয়ার্কসপে। সমস্যা হলো একটু এদিক ওদিক হলে হাতের কব্জি কেটে যেতে পারে। তারপরও সাহস করে হাত এগিয়ে দিলেন লিটু। চট করে হ্যান্ডকাফ কেটে ফেলল ছেলেটা। সৃষ্টিকর্তার কাছে হাজার শুকরিয়া জানাল সবাই।
‘মেঠো পথের ধুলো’ টেলিফিল্মটিতে যেমন রয়েছে গ্রামীণ বাংলার পটভূমি তেমনি রয়েছে সাসপেন্স। উঠে এসছে গ্রামের বাস্তবচিত্র। আহমেদ ফারুকের রচনা ও এফ কিউ পিটারের পরিচালনায় এ টেলিফিল্মে যারা অভিনয় করেছেন তারা হলেনÑ রাইসুল ইসলাম আসাদ, লিটু আনাম, ফারহানা মিলি, সাকা, সিরাজ হায়দার, খালেদা আক্তার কল্পনা, রাজ, শামীম, শাহীন সুলতান, রাকিব প্রমূখ। জামালপুরের আঞ্চলিক ভাষায় রচিত ও রিজিক প্রোডাকশন প্রযোজিত টেলিফিল্ম ‘ মেঠো পথের ধূলো’ আসন্ন ঈদে প্রচারিত হবে।

সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই নভেম্বর, ২০০৯ দুপুর ২:০২
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছি , অবৈধ দখলদার॥ আজকের প্রতিটি অন‍্যায়ের বিচার হবে একদিন।

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১০



ধিক ‼️বর্তমান অবৈধভাবে দখলদার বর্তমান নরাধমদের। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশে । বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষমা চাইতে হলো ! রাজাকার তাজুলের অবৈধ আদালতে। এর চাইতে অবমাননা আর কিছুই হোতে পারেনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন

আম্লিগকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধে আর কোন বাধা নেই

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:২২


মঈন উদ্দিন ফখর উদ্দিনের ওয়ান-ইলেভেনে সরকারের ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ভারতের সহায়তায় পাতানো নির্বাচনে হাসিনা ক্ষমতায় বসে। এরপরই পরিকল্পিত উপায়ে মাত্র দুই মাসের মধ্যে দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের পর্যায়ক্রমে বিডিআরে পদায়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৪৫


বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন

J K and Our liberation war১৯৭১

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯



জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন

এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ

লিখেছেন এ আর ১৫, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:৪০



এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ


২০০৪ সালের ২১ শে অগাষ্ঠে গ্রেনেড হামলার কারন হিসাবে বলা হয়েছিল , হাসিনা নাকি ভ্যানেটি ব্যাগে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×