মনে পড়ে গেল বলা যায় অবেলায়
তোমার ঐ ছোট থেকে বড় হয়ে উঠা
শরীরের গড়ন বদলে যাওয়া কণ্ঠধ্বনি ।
খেলনার মতো ভিন্ন মত, ভিন্ন অনুভুতি
নির্দ্ধিধায় ছুঁড়ে ফেলে
মিথ্যা দিয়ে ভালবাসা কিনার মহা-যজ্ঞ।
নদীর মতো বিচিত্র হয়ে উঠতেই যেন
তোমার নদী শাসন
ভাঙ্গাগড়ার এক জোয়ার-উৎসব ।
নদীর কাছে বরাবরই পাড় বড় তুচ্ছ
মাটি বড় মামুলী বিষয়
অথচ মাটির বুকে বয়ে চলে নদী
প্রতিদিনই স্রোতের টানে ক্ষত হয়
মাটির বুক, ক্ষয়ে যায় মাটির শরীর।
সুকৌশল বলো আর অপকৌশলই বলো
কোন হিজাব বাকী রাখনি নিজেকে ঢাকার ।
আবার প্রকাশের সকল পন্থাই আটপৌরে
জামার মতোই জড়িয়েছো প্রতিটিপদে
নিজের গাঁয়ে ।
ঋতুচক্রের মৌসুমি বাতাসে কতবার
অনাবৃত হয়ে গেছে শরীর
তারপর ও দেখা ও অদেখা শরীর নিয়ে
পথে প্রান্তরে হাটো ,মঞ্চ দাঁড়াও
করতালি সাধু সাধুতে ডুবে যায়
হাতের মানচিত্র
কবিতা কে ভালবাসনি কোন দিন
যেমন ভালবাসনা বাহুর সীমান্ত
তারপর ও কবিতা লিখ, কবিতার কথা বল
হয়ে যাও সীমান্ত রক্ষি এক বিদগ্ধ প্রেমিক ।
আসলে আদরি সেই কবে থেকেই
আন পথে হাটে
আয়নায় কত মুখ দেখে কত ছবি
চোখে ফ্রেমে জমা করে রাখে
একবার দেখে না নিজের মুখ, নিজের ছবি ।