বাংলাদেশের রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী ও এনজিও রা নতুন করে আরো ৩৫টি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের অনুমোদন চেয়ে আবেদন করেছে।
এদের মধ্যে ঢাকায় যে ২১টি বিশ্ববিদ্যালয় অনুমোদনের জন্য আবেদন করা হয়েছে সেগুলো হলোঃ
কানাডিয়ান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ,
অস্ট্রেলিয়া ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ,
ইউনিভার্সিটি অব অ্যাপ্লাইড সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং,
কমনওয়েলথ ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ,
ব্রিটিশ আমেরিকান ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ,
আবদুল মোনেম ইউনিভার্সিটি,
আইডিয়াল ইউনিভার্সিটি,
ইউনিভার্সিটি অব নিউ ক্যাসল,
ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি,
কওমী ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়,
পিস ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি,
আহছানিয়া বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাকা আহছানিয়া মিশনের),
সিডিএস বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি অথবা গাজীপুর ইউনিভার্সিটি অব ইঞ্জিনিয়ারিং সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি,
হামদর্দ ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ (হামদর্দ ল্যাবরেটরিজ,ওয়াকফর), ঢাকা ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি,
এক্সিম ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ (এক্সিম ব্যাংকের),
বিজিএমইএ ইউনিভার্সিটি অব ফ্যাশন অ্যান্ড টেকনোলজি,
খাজা ইউনুছ আলী বিশ্ববিদ্যালয়,
ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ (আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মহীউদ্দীন খান আলমগী),
ফারইস্ট বিশ্ববিদ্যালয় এবং
পিচ-ব্লেড বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।
আমাদের ভাগ্য ভালো আমেরিকা, অষ্ট্রেলিয়া, ইউরোপ নিয়ে নাম থাকলেও দক্ষিন আমেরিকা, আফ্রিকা, মিডল-ইষ্ট, এ্যান্টার্কটিকা নিয়ে এখনো কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের নামকরণের প্রস্তাব আসেনি।
ঢাকার বাইরে যে ১৪টি বিশ্ববিদ্যালয় অনুমোদনের জন্য আবেদন করা হয়েছে সেগুলো হলোঃ
খুলনায় নর্থ ওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটি (প্রথমে এটি ঢাকায় স্থাপনের জন্য আবেদন করা হলেও পরে খুলনায় স্থাপনের জন্য আবেদন করা হয়),
সিলেটে জালালাবাদ ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক ইউনিভার্সিটি,
রংপুরে আরডিআরএস ইউনিভার্সিটি (রংপুর-দিনাজপুর রুরাল সার্ভিস পরিচালিত),
বাগেরহাটে মাজেদা বেগম ইউনিভার্সিটি অব এগ্রিকালচার অ্যান্ড টেকনোলজি (বিএনপি নেতার মায়ের নামে),
কুমিল্লায় কুমিল্লা ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি,
বরিশালে ইউনিভার্সিটি অব বেঙ্গল হেরিটেজ,
লক্ষ্মীপুরে শাহ আবদুল্লাহ ইসলামী ও কারিগরি বিশ্ববিদ্যালয়,
কুমিল্লায় ময়নামতি বিশ্ববিদ্যালয়,
খুলনায় শ্রী শ্রী অনুকূল চন্দ্র সৎসঙ্গ সংস্কৃত ও সংস্কৃতি বিশ্ববিদ্যলয়, রাজশাহীতে শাহ মখদুম ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি,
কুষ্টিয়ায় মেরিট ইউনিভার্সিটি,
রাজশাহীর মতিহারে নর্থ বেঙ্গল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (এটির সঙ্গে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আফম বাহাউদ্দিন নাছিম জড়িত),
রাজশাহীতে ইউনিভার্সিটি অব ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড টেকনোলজি এবং খুলনার সোনাডাঙ্গায় খানজাহান আলী ইউনিভার্সিটি।
এতো বিশ্ববিদ্যালয়ের মাঝে কি বলবো বুঝতে পারছি না।
পুরো আমেরিকায় ত্রিশ কোটি মানুষের জন্য যদি ৪০০০ বিশ্ববিদ্যালয় থাকতে পারে তবে বাংলাদেশে কেন বিশ কোটি জনগনের জন্য ২-৩ হাজার (অন্তত কোচিং সেন্টার টাইপের!) বিশ্ববিদ্যালয় থাকবে না?
তাই নীড়পাতা ব্লগারের এর সাথে তাল মিলিয়ে বলতেই পারি মনে হয়-
"অতএব দেরি না করে এখনি ঝাপিয়ে পড়ুন সবাই। গোটা দেশকেই এবার ইউনিভার্সিটি বানিয়েই ফেলবো আমরা এনশাল্লাহ!"
শিক্ষা বিষয়ক অন্যান্য পোষ্টঃ
- বাংলাদেশের বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের নামকরণ
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কথন - ২
বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে Plagiarism (চুরি করা ছবি)
কম্পিউটার সায়েন্স নিয়ে ব্যবসা!
বাংলাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের গুগলের স্কলার প্রকাশন সংখ্যা
ও একটি মামুর বাড়ীর আবদার-
এট্টু খরচ করে নাটক বানান না রে ভাই..
লেখাটির সূত্রঃ দেশিবার্তা , কালের কন্ঠ , নীড়পাতা ।
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই অক্টোবর, ২০১০ রাত ৮:২৭