সিলেট বিভাগের ইতিহাস ঐতিহ্য নিয়ে কাজ করছে সিলেটপিডিয়া। সিলেটপিডিয়ার জন্য এই মুহূর্তে নদী নিয়ে কাজ করছি আমরা। নদী নিয়ে কাজ করতে গিয়ে বড় নদীগুলো নিয়ে অসংখ্য ভুল তথ্য পাচ্ছি সরকারী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠান থেকে, যা কাম্য নয় বরং এর ফলে ইতিহাসের বিকৃতি সহ নতুন প্রজন্মকে ভুল তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে । যেমন জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের তথ্য অনুযায়ী মৌলভীবাজার জেলার নদীর সংখ্যা ৯টি। অন্যদিকে জেলা তথ্য বাতায়নের তথ্য অনুযায়ী মৌলভীবাজার জেলার নদীর সংখ্যা পাঁচ। এখানে কণ্ঠনালা (জুড়ী) নামে একটি নদীর নাম আছে যা জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের তথ্য অনুযায়ী নেই। তবে বাস্তবে কণ্ঠনালা নামের একটি নদীর অস্তিত্ব আছে। কণ্ঠনালা নদীর মতো এ রকম অনেক নদী আছে যে নদীগুলোর তথ্য সংগ্রহ করা একান্ত প্রয়োজন। নাহলে কালের বির্বতনে এই নদীগুলোর নাম আমাদের কাছ থেকে হারিয়ে যাবে। আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম জানতেই পারবে না আমাদের সিলেট বিভাগে কতগুলো বহমান নদী ছিল এবং তাদের অবস্থান। সিলেটে বিভাগের ইতিহাস ঐতিহ্যর অনেক বিষয় সম্পর্কে এরকম অনেক বিষয়ে গরমিল আছে সেই বিষয়গুলো নিয়ে আমরা গবেষণার মাধ্যমে সঠিক তথ্য তুলে নিয়ে আসতে চাই।
আরেকটু উদাহরণ দিলে হয়তো পাঠকরা সহজেই বুঝতে পারবেন, একজন গবেষক ‘বাংলাদেশের নদ-নদী’ শীর্ষক গ্রন্থটির (জুলাই ২০১৭-এ অনুশীলন প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত), পৃষ্ঠা ৫৯-এ তিনি মনু নদী নিয়ে লিখতে গিয়ে বলেছেন যে, নদীটি উত্তর-পশ্চিমমুখী এবং পরবর্তীকালে পশ্চিমমুখী পথে প্রবাহিত হয়ে মৌলভীবাজার সদর উপজেলায় প্রবেশ করে বিভিন্ন স্থান দিয়ে প্রবাহিত হয়ে ধলাই নদীতে পতিত হয়েছে। কিন্তু বিস্তারিত তথ্য-প্রমাণ সংগ্রহ করে আমরা দেখতে পেয়েছি যে, মনু নদী উত্তর-পশ্চিমমুখী ও পরে পশ্চিমমুখী পথে প্রবাহিত হয়ে মৌলভীবাজার সদর উপজেলায় প্রবেশ করে বিভিন্ন স্থান দিয়ে প্রবাহিত হয়ে মনুমুখ বাজারের কাছে কুশিয়ারা নদীতে পতিত হয়েছে
সিলেটপিডিয়া (SylhetPedia ) পড়তে ক্লিক করুন view this link
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:৪৪