বাংলাদেশ থেকে প্যারিসের দূরত্ব শুধু কয়েক হাজার মাইলই নয়, সময়ের ব্যবধানও—চার ঘণ্টার। ঘুম থেকে উঠে ফোন হাতে নিতেই হোয়াটসঅ্যাপে ছোট্ট একটা ভয়েস মেসেজ। আমার মেয়ে সারা, ওর কচি কণ্ঠে আমাকে জানালো, সুপারম্যান হলে ও আমাকে এক্ষুণি বাসায় নিয়ে যেতে পারতো। কারণ ওর মা আজ লাঞ্চে রান্না করেছেন পাবদা মাছ—যেটা আমার অসম্ভব প্রিয়।
সারা জানে বাবার কতটা ভালোবাসার সাথে জড়িয়ে আছে পাবদা মাছ। বাসায় যখন এই মাছ রান্না হতো, আমি আর সারা মিলে খেতে বসতাম। ওর মা আর বোনেরা খেতে নিয়ে অনেক ঝামেলা পোহালেও, সারা বাবার সঙ্গেই খেতে ভালোবাসে, বেশ সহজেই।
ছোট্ট মেয়েটার এই সরল ভাবনা, বাবার প্রিয় খাবারকে ঘিরে বাবার জন্য সুপারম্যান হয়ে যাওয়ার স্বপ্ন, সত্যিই চোখে জল এনে দেয়। ছোট্ট একটা মেয়ের মনেও কতখানি গভীরতা থাকে! মায়ের মতোই যেন খেয়াল রাখে সবকিছু। বাবার এই দূরত্বটা পাড়ি দিতে চাইছে যেন নিজের ছোট্ট মন থেকে।
মেয়েরা বোধ হয় ঠিক এমনই হয়—স্নেহ, মায়া, আর যত্নের মূর্তি। পৃথিবীর সব মেয়েরা যেন এমনই থাকে, ভালোবাসায় পূর্ণ। তাদের জন্য ভালোবাসা আর শুভকামনা; যেন সবসময়ই তারা এমন সরল, নিষ্পাপ আর যত্নশীল থেকে যায়।
আমি তোমাদের খুব মিস করি বাবা। --- শাহাবুদ্দিন শুভ
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে অক্টোবর, ২০২৪ দুপুর ১:১৫