somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আমাদের দেশে ভারতীয় চলচ্চিত্র আমদানী নিয়ে একটি কমন প্রশ্নের উত্তর

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ২:২৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


""আমাদের ঘরে স্টার প্লাস, স্টার জলসা চলে । ডাউনলোড করে ভারতীয় ছবি দেখি, কিন্তু হলে দেখতে কি সমস্যা ?""

আমাদের দেশের চলচ্চিত্র ২০০১-২০০৬ সাল পর্যন্ত অশ্লীলতা নামক এক বিষাক্ত সাপের বিষে আক্রান্ত ছিল। যার ফলে চলচ্চিতের মূল দর্শক মানে মধ্যবিত্ত পরিবারের মানুষজন হল থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়। ফলে নির্মাণ হতে থাকে অনেক বাজে ছবি ও নিম্ন মানের ছবি। এর থেকে অনেক কষ্টে আমরা উত্তরণ করেছি। কিন্তু ততদিনে ছবির ব্যবসায় ধস। বছরে দুএকটা ছবি ছাড়া অধিকাংশ ফ্লপ। ভাল নির্মাতারা ছবি ছেড়ে দিলেন।

এরপর এল ডিজিটাল প্রযুক্তি। আস্তে আস্তে মানুষ হলে ফিরতে শুরু করেছে। নির্মাণ হচ্ছে মোটামুটি মানের ছবি। নির্মাণাধীন আছে অনেক ভাল মানের ছবি। আমাদের ছবিগুলা রেকর্ড ব্যবসা করছে।

এখন কথা হচ্ছে এই সবের সাথে ছবি আমদানীর সম্পর্ক কি? আছে ভাই/আপু, তাই ভূমিকাটা একটু বড় করলাম।

আমাদের দেশে ছবির বাজেট সর্বোচ্চ এক কোটি এখন দু একটি ছাড়া। আর ভারতের ছবির বাজেট দশকোটি থেকে আরম্ভ হয়। তাদের বাজার অনেক বড়। আমাদের ছোট।

তাদের সব চ্যানেল আমাদের এইখানে চলে । তাদের তারকাদের আমাদের মানুষজন চিনে। কিন্তু আমাদের চ্যানেল তাদের ঐখানে চলে না। চলে না কারন সরকারি নিষেধাজ্ঞা আছে। চলাতে হলে চ্যানেল প্রতি ৫কোটি রুপি লাগবে ।

এখন আমরা মুক্ত বিশ্বনীতি অনুযায়ী দিলাম অনুমতি। তাতে কি হবে জানেন?

তাদের চ্যানেল আমাদের এইখানে চলার কারনে আমাদের লোকজন সারাদিন টিভিতে তাদের ছবির বিজ্ঞাপন দেখবে । ফলে একবারের জন্যও হলেও তারা হলে যাবে ছবিটি দেখবে। আর তাদের ঐখানে আমাদের কোন চ্যানেল চলে না। আমাদের অনেক তারকাকে তারা চিনে না। ফলে আমাদেরছবি ওদের ঐখানে চলবে না।

আগে আমাদের চ্যানেল ওদের ঐখানে চলুক। আমাদের শাকিব, অনন্ত, মাহী, বাপ্পী এদের ঐ দেশের মানুষ চিনুক তারপর ।

তাছাড়া যখন আমাদের দেশে অশ্লীলতার জোয়ার চলচ্ছিল তখন তারা কোথায় ছিল?

আর বিনিময় হতে হয় সমানে সমানে । ওদের ছবি বিপরীতে আমাদের যে ছবিগুলা গেছে ঐগুলা কি আমাদের চলচ্চিত্রকে প্রতিনিধিত্ব করার মত ছবি?

ওদের দেশের সরকার সিনেমার জন্য নানাভাবে সাহায্য করে। তাদের দেশে ফিল্ম ইন্সিটিউট আছে। সরকার হল মালিকদের ট্যাক্স ফ্রি দেয়। তাদের নিজস্ব ছবিতে ট্যাক্স ২% বাইরের ছবি ৪০%।

তাদের দেশে বাইরের সর্বোচ্চ ২০% ছবি চলতে পারবে সারা বছর হল গুলাতে । আমাদের দেশে তাদের ছবি আমদানীর জন্য এধরনের কোন নীতিমালা নাই। কোন নীতিমালা ছাড়া আমদানী কতটা যুক্তিযুক্ত?

আমাদের চলচ্চিত্র অন্ধকার যুগ পারি দিয়ে আবার মাথা তুলে দাঁড়াচ্ছে। মিনিমাম ২-৩টা বছর যাক। একটা অবস্থানে আসুক। আর এই মুহুর্তে আগে আমাদের উপরোক্ত বিষয়গুলা সুনিশ্চিত করে তারপর আমদানীর কথা চিন্তা করা যাবে।""আমাদের ঘরে স্টার প্লাস, স্টার জলসা চলে । ডাউনলোড করে ভারতীয় ছবি দেখি, কিন্তু হলে দেখতে কি সমস্যা ?""

আমাদের দেশের চলচ্চিত্র ২০০১-২০০৬ সাল পর্যন্ত অশ্লীলতা নামক এক বিষাক্ত সাপের বিষে আক্রান্ত ছিল। যার ফলে চলচ্চিতের মূল দর্শক মানে মধ্যবিত্ত পরিবারের মানুষজন হল থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়। ফলে নির্মাণ হতে থাকে অনেক বাজে ছবি ও নিম্ন মানের ছবি। এর থেকে অনেক কষ্টে আমরা উত্তরণ করেছি। কিন্তু ততদিনে ছবির ব্যবসায় ধস। বছরে দুএকটা ছবি ছাড়া অধিকাংশ ফ্লপ। ভাল নির্মাতারা ছবি ছেড়ে দিলেন।

এরপর এল ডিজিটাল প্রযুক্তি। আস্তে আস্তে মানুষ হলে ফিরতে শুরু করেছে। নির্মাণ হচ্ছে মোটামুটি মানের ছবি। নির্মাণাধীন আছে অনেক ভাল মানের ছবি। আমাদের ছবিগুলা রেকর্ড ব্যবসা করছে।

এখন কথা হচ্ছে এই সবের সাথে ছবি আমদানীর সম্পর্ক কি? আছে আপু, তাই ভূমিকাটা একটু বড় করলাম।

আমাদের দেশে ছবির বাজেট সর্বোচ্চ এক কোটি এখন দু একটি ছাড়া। আর ভারতের ছবির বাজেট দশকোটি থেকে আরম্ভ হয়। তাদের বাজার অনেক বড়। আমাদের ছোট।

তাদের সব চ্যানেল আমাদের এইখানে চলে । তাদের তারকাদের আমাদের মানুষজন চিনে। কিন্তু আমাদের চ্যানেল তাদের ঐখানে চলে না। চলে না কারন সরকারি নিষেধাজ্ঞা আছে। চলাতে হলে চ্যানেল প্রতি ৫কোটি রুপি লাগবে ।

এখন আমরা মুক্ত বিশ্বনীতি অনুযায়ী দিলাম অনুমতি। তাতে কি হবে জানেন?

তাদের চ্যানেল আমাদের এইখানে চলার কারনে আমাদের লোকজন সারাদিন টিভিতে তাদের ছবির বিজ্ঞাপন দেখবে । ফলে একবারের জন্যও হলেও তারা হলে যাবে ছবিটি দেখবে। আর তাদের ঐখানে আমাদের কোন চ্যানেল চলে না। আমাদের অনেক তারকাকে তারা চিনে না। ফলে আমাদেরছবি ওদের ঐখানে চলবে না।

আগে আমাদের চ্যানেল ওদের ঐখানে চলুক। আমাদের শাকিব, অনন্ত, মাহী, বাপ্পী এদের ঐ দেশের মানুষ চিনুক তারপর ।

তাছাড়া যখন আমাদের দেশে অশ্লীলতার জোয়ার চলচ্ছিল তখন তারা কোথায় ছিল?

আর বিনিময় হতে হয় সমানে সমানে । ওদের ছবি বিপরীতে আমাদের যে ছবিগুলা গেছে ঐগুলা কি আমাদের চলচ্চিত্রকে প্রতিনিধিত্ব করার মত ছবি?

ওদের দেশের সরকার সিনেমার জন্য নানাভাবে সাহায্য করে। তাদের দেশে ফিল্ম ইন্সিটিউট আছে। সরকার হল মালিকদের ট্যাক্স ফ্রি দেয়। তাদের নিজস্ব ছবিতে ট্যাক্স ২% বাইরের ছবি ৪০%।

তাদের দেশে বাইরের সর্বোচ্চ ২০% ছবি চলতে পারবে সারা বছর হল গুলাতে । আমাদের দেশে তাদের ছবি আমদানীর জন্য এধরনের কোন নীতিমালা নাই। কোন নীতিমালা ছাড়া আমদানী কতটা যুক্তিযুক্ত?

আমাদের চলচ্চিত্র অন্ধকার যুগ পারি দিয়ে আবার মাথা তুলে দাঁড়াচ্ছে। মিনিমাম ২-৩টা বছর যাক। একটা অবস্থানে আসুক। আর এই মুহুর্তে আগে আমাদের উপরোক্ত বিষয়গুলা সুনিশ্চিত করে তারপর আমদানীর কথা চিন্তা করা যাবে।
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ২:৪২
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আকুতি

লিখেছেন অধীতি, ১৮ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৩০

দেবোলীনা!
হাত রাখো হাতে।
আঙ্গুলে আঙ্গুল ছুঁয়ে বিষাদ নেমে আসুক।
ঝড়াপাতার গন্ধে বসন্ত পাখি ডেকে উঠুক।
বিকেলের কমলা রঙের রোদ তুলে নাও আঁচল জুড়ে।
সন্ধেবেলা শুকতারার সাথে কথা বলো,
অকৃত্রিম আলোয় মেশাও দেহ,
উষ্ণতা ছড়াও কোমল শরীরে,
বহুদিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

ক- এর নুডুলস

লিখেছেন করুণাধারা, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:৫২



অনেকেই জানেন, তবু ক এর গল্পটা দিয়ে শুরু করলাম, কারণ আমার আজকের পোস্ট পুরোটাই ক বিষয়ক।


একজন পরীক্ষক এসএসসি পরীক্ষার অংক খাতা দেখতে গিয়ে একটা মোটাসোটা খাতা পেলেন । খুলে দেখলেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

কারবারটা যেমন তেমন : ব্যাপারটা হইলো কি ???

লিখেছেন স্বপ্নের শঙ্খচিল, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০২

কারবারটা যেমন তেমন : ব্যাপারটা হইলো কি ???



আপনারা যারা আখাউড়ার কাছাকাছি বসবাস করে থাকেন
তবে এই কথাটা শুনেও থাকতে পারেন ।
আজকে তেমন একটি বাস্তব ঘটনা বলব !
আমরা সবাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্প্রিং মোল্লার কোরআন পাঠ : সূরা নং - ২ : আল-বাকারা : আয়াত নং - ১

লিখেছেন মরুভূমির জলদস্যু, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:১৬

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আল্লাহর নামের সাথে যিনি একমাত্র দাতা একমাত্র দয়ালু

২-১ : আলিফ-লাম-মীম


আল-বাকারা (গাভী) সূরাটি কোরআনের দ্বিতীয় এবং বৃহত্তম সূরা। সূরাটি শুরু হয়েছে আলিফ, লাম, মীম হরফ তিনটি দিয়ে।
... ...বাকিটুকু পড়ুন

বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন আর আদর্শ কতটুকু বাস্তবায়ন হচ্ছে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৯ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:৩৭

তার বিশেষ কিছু উক্তিঃ

১)বঙ্গবন্ধু বলেছেন, সোনার মানুষ যদি পয়দা করতে পারি আমি দেখে না যেতে পারি, আমার এ দেশ সোনার বাংলা হবেই একদিন ইনশাল্লাহ।
২) স্বাধীনতা বৃথা হয়ে যাবে যদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×