' সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের পর তাদের একমাত্র সন্তান মেঘের ভরণ-পোষণের দায়িত্ব স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নেয়ার ঘোষণা দিলেও তিনি তার কোনো খোঁজ-খবরই নেননি '।
সাগর-রুনি জাতির কে হন !!
আর 'মেঘ' ? সে তো অন্ধকারে ঢাকা। অন্ধকারকে কেউ আগলে রাখে নাকি- তা দূর হোক।
জানেন তো, আঁধার থাকলেও বিপদ। আলো ছড়ালেও রক্ষে নাই।
কারণ, আঁধারে কে, কখন, কোথায় ঘুরে বেড়ায়। আর বিষাক্ত নখের আঁচড়ে মাংস খুলে নিবে কে জানে।
আবার, আলো আসলেই তো প্রতারকদের বিচ্ছিরী, বিকৃত চেহারা ভেসে উঠবে। জাতি ওদের আসল রূপটা চিনে নেবে।
আমরা জানি, আঁধার থাকবে না- পেরিয়ে যাবে। আঁধার যতো গভির হবে আলো ততো কাছে আসবে। আলো আসবেই।
মেঘ কেটে সূর্য উদয় হবে। সূর্যের তীক্ষ্ণ আলোক রস্মিতে ওদের গায়ের ত্বক ঝলসে যাবে। ওরা "বাঁচাও, বাঁচাও"- বলে চিৎকার করবে।
কিন্তু, কেউ ওদের বাঁচাতে পারবে না।
অতঃপর, ওরা ভুমিতে হামাগুড়ি দেবে।
আর, ওপর থেকে একবার মেঘেরা গর্জে উঠবে এবং বজ্র-বর্ষণ করবে। আরেকবার তির্যক আলোক রস্মিতে ওদের জ্বালিয়ে পুড়িয়ে অঙ্গার করবে।
এভাবেই প্রকৃতি ওদেরকে ধ্বংসের কবলে নিক্ষেপ করবে।
উল্লেখ্য, ২০১২ সালের ১১ই ফেব্রুয়ারি ভোররাতে ঢাকার পূর্ব রাজাবাজারে ভাড়া বাসায় খুন হন মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সরওয়ার এবং এটিএন বাংলার সিনিয়র রিপোর্টার মেহেরুন রুনি৷ হত্যার রহস্যের কিনারা করতে না পারায় হাইকোর্টের নির্দেশেই ২০১২ সালের ১৮ই ফেব্রুয়ারি মামলাটি পুলিশ থেকে ব়্যাবে স্থানান্তর করা হয়৷
ব়্যাব তদন্তের দায়িত্ব নেয়ার পর সন্দেহভাজন ১৬ জনের ডিএনএ নমুনা পরীক্ষার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে পাঠায়৷ এছাড়া আলামত হিসেবে জব্দকৃত ছুরি ও পোশাকের নমুনাও পাঠানো হয়৷ কিন্তু তাতেও হত্যাকারীদের শনাক্ত করা যায়নি৷
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই জুলাই, ২০১৬ ভোর ৪:৪৫