মানুষের যুক্তি-বুদ্ধি, বিচার-বিশ্লেষণ, জ্ঞান-এর চর্চা যদি রুদ্ধ করা হয়- তবে মনে রেখো- সেই মানুষগুলো ধীরে ধীরে বিকলাঙ্গ মানুষ-এ পরিণত হবে।
বিকলাঙ্গ মানুষ জাতির জন্য মহা অভিশাপ হয়ে দেখা দেবে।
প্রাকৃতিক দুর্যোগ- কোনো এক বা দু' চার জনকে বেছে বেছে আসে না।
আজ যে বা যারা অন্যের কণ্ঠ রোধ করবে। কাল অন্য কেউ তার কণ্ঠ রোধ করবে না- তার নিশ্চয়তা কে দেবে?
তুমি যে ঘৃণ্য চর্চা আজ করছো। কাল অন্য কেউ তা করবে।
তার ফলে পরশু তোমারই বুকের ধন, তোমার গড়ে তোলা বালাখানা সেই ঘৃণ্য জিঘাংসার শিকার হবে। এটা তো প্রকৃতির নিয়ম। কেনো এই নিয়ম ভুলে যাও, বাছা?
শুনোনি, "তোমারে বধিবে যে গোকুল বাড়িছেসে"।
কোনো ঘটনা- বাস্তবে কিভাবে সংঘটিত হয়েছে, কিভাবে তা মোকাবেলা হয়েছে, কি ছিলো তার অন্তরালে, সফলতা কিভাবে এসেছে- মানুষ তা জানতে চায়। এই জানতে চাওয়া মানুষের সহজাত প্রবৃত্তি। খুবই ন্যায় সঙ্গত।
এটা কোনোভাবেই অপরাধ নয়।
মনে রেখো, পশু আর মানুষের মিল আছে বেশীরভাগ ক্ষেত্রে।
পশুর দেহ, দেহে রক্ত প্রবাহ, রক্তের লাল রঙ, অঙ্গ, প্রত্যঙ্গ, পেট, ক্ষুধা, কষ্ট, সেক্স, সন্তান প্রসব বা জন্ম, এমনকি চিন্তা-চেতনা- অনেক ক্ষেত্রেই পশুর সঙ্গে মানুষের মিল রয়েছে।
তারপরও পার্থক্য তো আছেই। কি সেই পার্থক্য?
মানুষের যে সব গুনাবলি দ্বারা পশু থেকে, মানুষকে আলাদা করেছে- সেই গুণাবলিগুলো ভুলে গেলে চলবে না। সেই গুণাবলি দ্বারা মানুষকে মানুষ হতে হবে। নইলে যে, মানুষ আর পশুতে কোনো পার্থক্য থাকবে না।
আর, আমরা কেউই কোনোভাবেই জঙ্গি-টঙ্গি'র নামে মানুষ খুন, এমন কি পরমত অসহিষ্ণু হয়ে গুম-খুন সমর্থন করতে পারি না। তা কারো জন্যই মঙ্গলজনক নয়।
এই অসমর্থনের ফলে আমার লাশও যদি কোথাও পড়ে থাকে। তো থাকুক।
কিন্তু, ন্যায়ের পক্ষে কথা বলতে হবে। তা না হলে যে, পৃথিবী মানুষের বসবাস-এর অযোগ্য হয়ে পড়বে।
অন্তত, নিজের বিবেককে কি বলবো?
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ২:২৫