জাপানী বিজ্ঞানী Yoshinori Ohsumi ২০১৬ সালে নোবেল পেলো অটোফেজির উপরে কাজ করে। অটোফেজি টা আসলে কি? এক কথায় বলতে গেলে নিজেকে নিজে খেয়ে ফেলা। অর্থাৎ আমাদের শরীরের সুস্থ সবল কোষ যখন অসুস্থ কোষগুলোকে খেয়ে ফেলে তখন তাকে অটোফেজি বলে।
এখন প্রশ্ন আসতে পারে অটোফেজিটা কখন হয়, মানুষ যখন তার শরীরকে চাপে রাখে তখন অটোফেজি হয়। চাপে রাখার প্রধান এবং কার্যকরী পদ্ধতি হচ্ছে রোজা রাখা বা উপবাস করা। এছাড়া এক্সারসাইজের মাধ্যমেও কিছুটা অটোফেজি হয়।
এখন দেখা যাক অটোফেজি কেনো দরকার? আমাদের শরীরের নষ্ট হয়ে যাওয়া বা অসুস্থ কোষগুলোকে পরিষ্কার করাটা জরুরি। অটোফেজি ছাড়া শরীরের নষ্ট হয়ে যাওয়া কোষ পরিষ্কারের আর কোন পদ্ধতি নেই।
অটোফেজির উপকারিতা বলে শেষ করা যাবে না। অটোফেজি মানুষের বার্ধ্যকের বিরুদ্ধে কাজ করে, ক্যানসার হওয়া থেকে বিরত রাখে, হৃদরোগ এবং ডায়াবেটিসের বিরুদ্ধে কাজ করে, পারকিনসন ডিজিজ প্রতিরোধ করে, আর্থাইটিস রোগের উপশম করে।
আমি এক জাপানি ভদ্রমহিলার সাথে একবার রোজার মাসে ময়মনসিংহ যাচ্ছিলাম, পথে ইফতারের সময় হলে গাড়ি রাস্তার এক পাশে রেখে ইফতারি কিনতে যাওয়ার সময় জাপানি ভদ্রমহিলা বললো সে ও রোজা, তার জন্যও যেনো ইফতারি আনি। তিনি বললেন তিনি রোজা রাখেন উনার শরীরের উপকারের বিষয়টা মাথায় রেখে। অনেকেই ধর্মীয় ব্যাপারের বাইরে শরীরের উপকারের কথা চিন্তা করে রোজা রাখেন। আবার অনেক ধর্মে রোজা ভিন্ন নামে প্রচলিত আছে।
রোজা রাখাটা যারা পছন্দ করে না, তারা অটোফেজির বিষয়টাকে গুরুত্ব দিয়ে রোজা রাখতে পারেন, এতে শরীর ভালো থাকবে এ ব্যাপারে নিশ্চয়তা দেয়া যায়।