somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

যে ৫ টি বিদেশি গোয়েন্দাসংস্থা বাংলাদেশের মাটিতে সর্বাধিক সক্রিয়..আজকের পর্ব আই .এস. আই

২৭ শে জানুয়ারি, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৪২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বাংলাদেশে এ যে ৫ টি বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থা সর্বাধিক সক্রিয় আছে বলে বিবেচনা করা হয় তার মধ্যে পাকিস্তানের ইন্টার সার্ভিসেস ইন্টেলিজেন্স সংক্ষেপে আই এস আই কে তর্ক সাপেক্ষে সবচেয়ে সক্রিয় গোয়েন্দা সংস্থা ধর আহয়ে থাকে। এই সংস্থা বাংলাদেশের অনেক ইতিহাস বিখ্যাত কুখ্যাত ব্যক্তি ও ঘটনঅঘটনের সাথে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে যুক্ত। (সতর্কীকরনঃ এখানে আমি এমন কিছু তথ্য দিয়েছি যা হয়তো মতাদর্শগত বা অন্যকোন কারনে কারো কারো ভালো নাও লাগতে পারে সেক্ষেত্রে এড়িয়া যাওয়াই ভালো উপায়)

পুর্ব কথাঃ
“সরকারের ভিতরে সরকার” পাকিস্তানের মাটিতে এই নামে বহুল পরিচিত ও সবচেয়ে ক্ষমতাধর সংস্থাটির নাম আই এস আই। ১৯৪৮ সালে স্বাধীনতা পরবর্তি পাকিস্তানে নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহের উদ্দেশ্যে তৈরী হয়েছিলো দুইটি গোয়েন্দা সংস্থা আইবি ও এমআই। কিন্তু ১৯৪৭ সালে পাক ভারত সংঘর্ষের পর সামরিক বাহিনীর প্রাপ্ত গোয়েন্দা তথ্যগুলির মধ্যে সমন্নয় সাধনে ঘাটতি থাকায় এ জন্য একটি নতুন সংস্থা গঠন জরুরি হয়ে পড়লে। ১৯৪৮ এর মাঝামাঝি ঐ সময়ে পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে কর্মরত অস্ট্রেলিয় বংশভুত ব্রিটিশ আর্মি অফিসার ও পাকিস্তান সেনা বাহিনীর ডেপুটি চিফ অব স্ট্যাফ মেজর জেনারেল রবার্ট চাওথামের পরামর্শে ও তত্বাবধানে আই এস আই তৈরী হয়। প্রাথামিক ভাবে এর কাজ তিন বাহিনীর প্রাপ্ত তথ্য যাচাই বাছাই করে সমন্নয় সাধন করা হলেও ১৯৫০ সাল থেকে একে আদালা করে শুধুমাত্র পাকিস্তান রাস্ট্রের নিরাপত্তা,স্বার্থ রক্ষা ও অখন্ডতা বজাইয় রাখার দায়িত্ব দেয়া হয়।প্রথম সংস্থা প্রধান কর্নেল সৈয়দ শহিদ হামিদ।

মুল মন্ত্রঃ বিশ্বাস একতা শৃংখলা।
লোগোঃ

সদর দফতরঃ ইসলামাবাদ সাহরা ই সোহরোয়ার্দি ।খুব অনারম্বর বাহ্যিক নিরাপত্তা বজায় রেখে একটি প্রাইভেট ক্লিনিকের সামনে দিয়ে প্রবেশ করতে হয়।


বর্তমান প্রধানঃ লেঃজেঃ আহামেদ সুজা পাশা।


সদস্য সংখ্যাঃ সম্ভাব্য ২৫,০০০ ও অসংখ্য ইনফর্মার।

লক্ষ ও উদ্দেশ্যঃ
পাকিস্তান রাস্ট্রিয় স্বার্থ ও অখন্ডতা রক্ষা করা।
যে সকল ব্যক্তি,গোস্টি,প্রতিস্টান,বৈদেশিক গোয়েন্দাসংস্থা রাস্ট্রের স্বার্থের বিরুদ্ধে কাজ করে তাদের উপর নজরদারি করা ও প্র্যোজনে কাউন্টার ইন্টেলিজেন্স পরিচালনা করা।
আঞ্চলিক ক্ষমতার ভারসাম্য রক্ষা করতে সক্রিয় কার্যক্রম পরিচালনা।
বিদেশে গোয়েন্দা কার্যক্রম পরিচালনা করা।
ইসলাম ধর্ম সমুন্নত রাখা ও নিজেদের কার্য সিদ্ধির উদ্দেশ্যে ব্যাবহার করা।
ভারতের বিরুদ্ধে সম্ভাব্য যুদ্ধে কৌশলগত ভাবে নিজেদের অগ্রবর্তী রাখার উদ্দেশ্যে পার্শবর্তি সব দেশকে প্রভাবিত করা।
সরকার ও সেনা বাহিনীকে বাইরে ও ভিতর থেকে নিয়ন্ত্রন করা।
সরকারের বৈদেশিক নীতি নির্ধারন করা।
পাকিস্তানের সমাজে অবিশ্বাস ও অনৈক্য জিইয়ে রেখে নিজেদের সকল কর্মকান্ডর বৈধতা দেয়া।

ইসলামাবাদে আই এস আই রেসিডেন্স


সাধারন দায়িত্বঃ
নিজেদের অফিসারের,মিডিয়া কার্যকলাপ পর্যবেক্ষন করা।
পাকিস্তানের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও গোস্টির উদ্দেশ্য ও গতিবিধি নজর রাখা।
দেশে ও দেশের বাইরে কুটনীতিকদের ওপর নরদারী করা।
বিভিন্ন কমিউনিকেশন ইন্টারসেপ্ট ও মিটরিং করা।
প্রাপ্ত তথয উপাত্ত পর্যালোচনা করা।

সঙ্গঠনঃ ৩ জন ডেপুটি ডাইরেক্টর জেনারেল এর অধীনে ৩ টি কোর বিষয়ের জন্য ৭টি বিভাগ কাজ করে।

ডিডিজি ইন্টার্নাল,ডিডিজি এক্সটার্নাল ও ডিডিজি জেনারেল।
এরমধ্যে ইন্টার্নাল উইং এর ডিডিজি -পলেটিক্যাল ইস্যু ও কাউন্টার ইন্টেলিজেন্স,
এক্সটার্নাল উইং এর ডিডিজি -বৈদেশিক ইস্যু ও বিশ্লেষন।
ফরেন রিলেশন উইং এর ডিডিজি - পাকিস্তানের বাইরে বৈদেশিক যোগাযোগ রক্ষা ও দেখাশোনা করে।

ইন্টার সার্ভিসেস ইন্টেলিজেন্স এর সব কাজ মুলত ৭ টি ডাইরেক্টরেটে দ্বারা পরিচালিত হয়।

১.জয়েন্ট ইন্টেলিজেন্স এক্স (JIX)
এর কাজ মুলত সেক্রেট্রিয়েট হিসাবে দায়িত্ব পালন করা।এই ডাইরেক্টরেট আই এস আই এর অন্যান্য উইং ,আঞ্চলিক সংগঠন ও মাঠ পর্যায়ে অবস্থিত ফিল্ড অফিসগুলির সাথে সমন্নয় সাধন করে এবং এদের প্রাশনিক সাপোর্ট প্রদান করে।এছাড়া প্রাপ্ত তথ্য পর্যালোচনার ভিত্তিতে সম্ভাব্য হুমকি বিশ্লেষন করে করনীয় নির্ধারন করে।

২.জয়েন্ট ইন্টেলিজেন্স ব্যুরো (JIB)
এরা পাকিস্তানের অভ্যন্তরে সবচেয়ে বড় আর ক্ষমতাধর ঈশ্বর।এরা আই এস আই এর অন্যতম অপারেশনাল বাহু । এরাই আই এস আই পলিটিক্যাল উইং নামে সু/কুপরিচিত।তাদের অন্যতম কাজ পাকিস্তানের অভ্যন্তরে রাজনৈতিক গতিবিধি পর্যবেক্ষন করা এবং সেই সাথে পার্শবর্তি দেশেসমুহের রাজনৈতিক ঘটনা নজরদারিতে রাখা এবং প্রয়োজনবোধে সেই সব দেশের রাজনীতিতে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে হস্তক্ষেপ করা। এদের ৩ টি সাব সেকশন একটি ভারত সংক্রান্ত,একটি এন্টি টেরোরিজম এন্ড ভিআইপি প্রটেকশন,একটি অন্যান্য অপারেশন।

৩.জয়েন্ট কাউন্টার ইন্টেলিজেন্স ব্যুরো (JCIB)
বৈদেশিক গোয়েন্দা ততপরতা পরিচালনাকরা এদের দায়িত্ব। মধ্য এশিয়া,দক্ষিন এশিয়া, আফগানিস্তান,মধ্যপ্রাচ্য,ইসরায়েল ও রাশিয়ায় তথ্য সংগ্রহ করা।এছাড়া বিদেশে অবস্থানকারী পাকিস্তানী কুটনীতিক ও অন্যদেশের কুটনীতিকদের নজরদারী করাও এই বিভাগের কাজ।কিছুদিন আগে ওয়াশিংটনে পাকিস্তানী রাস্ট্রদুতের মেমোগেট কেলেংকারী এরা স্পট করে।

৪.জয়েন্ট ইন্টেলিজেন্স নর্থ (JIN)
।জুম্মু কাশ্মীরে আই এস আই এর যাবতীয় কর্মকান্ড পরিচালনা করা এই বিভাগের দায়িত্বে।এরা কাশ্মীরিদের মোটিভেশন প্রদান,ট্রেনিং ক্যাম্প পরিচালনা, প্ল্যান তৈরিতে সহায়তা,গোলাবারুদ সরব্রাহ ছাড়াও কাশ্মীর উপত্যাকায় ভারতি সেনা বাহিনীর সকল মুভমেন্ট এর উপর নজর রাখে।

৫.জয়েন্ট ইন্টেলিজেন্স মিসেলিনিয়াস (JIM)
বিশ্বের বিভিন্ন অংশে ক্ল্যান্ডেস্টাইন কভার্ট অপারেশন চালানো ও যুদ্ধকালীন গোয়েন্দাবৃত্তি পরিচালনা এই বিভাগের কাজ। এই বিভাগ মুলত পারমানবিক প্রযুক্তি,মেসাইল প্রযুক্তি,সমৃদ্ধ প্লুটোনিয়াম সংগ্রহ করার কাজে নিয়োজিত।৮০ ও ৯০ এর দশক জুড়ে রাশিয়া চেক প্রজাতন্ত্র,পোল্যান্ড,উত্তর কোরিয়া সহ বিভিন দেশে ব্যাপক ক্ল্যান্ডেস্টাইন অপারেশন পরিচালনা করে পাকিস্তানি গুপ্তচরেরা অত্যন্ত গুরুত্বপুর্ন তথ্য সংগ্রহ করে আনে।তারা এমন কি উত্তর কোরিয়া থেকে পারমানবিক প্রযুক্তির বদলে জাহাজ ভর্তি উত্তর কোরিয়ান ক্ষেপনাস্ত্র সংগ্রহ করে আনে।

৬.জয়েন্ট সিগন্যাল ইন্টেলিজেন্স ব্যুরো (JSIB)
পাকিস্তানের সকল ওয়ার্লেস স্টেশনের ডেপুটি ডিরেক্টর এদের লোক। এরা ওয়ার্লেস ম্যাসেজ ইন্টার্সেপ্ট মনিটরিং,ফোনে আড়িপাতা,ছবি তোলা, চেইন সিগন্যাল ইন্টেলিজেন্স কালেকশন স্টেষন পরিচালনা, মাঠ কর্মীদের কমিউনিকেশন সাপোর্ট দেয়ার দায়িত্ব পালন করে। এছাড়া পার্শবর্তি দেশগুলির সকল কমিউনিকেশন চ্যানেল মিনিটরিং ও ইন্টার্সেপ্ট করে তথ্য সংগ্রহ করে। এরা ভারত পাকিস্তান সীমান্তে বরাবর ও কাশ্মীরে একগুচ্ছা কমিউনিকেশন ট্রাকিং স্টেশন পরিচালনা করে।
ইসলামাবাদ,করাচী,পেশোয়ার, লাহোর, কোয়েটায় এদের অফিস রয়েছে।
৭.জয়েন্ট ইন্টেলিজেন্স টেকনিক্যাল ডিভিশন (JIT)
যরদুর জানা যায় এরা বিস্ফোরক ও কেমিকেল ওয়ার্ফেয়ার নিয়ে কাজ করে।

এই ৭ টি ছাড়াও জয়েন্ট ডিভিশন অফ টেলনিক্যাল ইন্টেলিজেন্স নামে একটি শাখা আই এস আই পরিচালনা করে যারা মুলত বিভিন্ন ট্রেনিং এর সাথে জড়িত।

ট্রেনিং ও রিক্রুটমেন্টঃ আই এস আই এর কর্মীরা সাধারনত সেনা বাহিনীর এস এস জি,নৌ বাহিনীর ও বিমান বাহিনী থেকে আসে।।তবে নিচু স্তরের কর্মীদের অনেক সমইয় প্যারা মিলিটারি ও পুলিশ বাহিনী থেকেও নেয়া হয়। সিভিলিয়ানদের মধ্যে থেকে নেয়ার ক্ষেত্রে ফেডারেল রিপাব্লিক সারভিস কমিশন এর অধীনে বিজ্ঞাপন দেয়া হয় এবং এরা মিনিস্ট্রি অফ ডিফেন্সের কর্মচারী হিসাবে বিবেচিত হয়। পরীক্ষা শেষে বাছাইকৃত দের তালিকা আই এস আই;র কাছে চেক করার জন্য দেয়া হয় ও ব্যাকগ্রাউন্ড চেকিং শেষে মৌখিক ইন্টর্ভিউর মধ্য দিয়ে প্রক্রিয়া শেষ হয়।

ট্রেনিংঃ

রিক্রুট হিসাবে নির্বাচিত হওয়ার পড় নির্বাচিত ব্যাক্তিকে প্রয়োজন ভেদে সল্পমেয়াদি ও দীর্ঘ মেয়াদি ট্রেনিং প্রদান করা হয়। সল্প মেয়াদে ১৫ দিনের ট্রেনিং এ প্রধানত রিক্রুটের মনবল বৃদ্ধির ব্যাবস্থা করা হয় পাশাপাশি,দায়িত্ব ও কর্তব্যবোধ,ইসলামিক অনুপ্রেরনা,সাধারন কিছু বিষয় যেমন ক্ল্যাসিফায়েড ইনফর্মেশন কি,ছোটখাটো প্রযুক্তির ব্যাবহার,নজরদারির সাধারন কৌশল, বহির্দুনিয়া আর গোয়েন্দা জগতের পার্থক্য ব্যাখ্যা,প্রতিপক্ষের গোয়েন্দা চেনার উপায়,গোয়েন্দা জগতে শ্ত্রু বা বন্ধু নেই সবাই প্রতিদন্দ্বি,সাধারন ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস ব্যাবহার যেমন রেডিও ট্রান্সমিটার ব্যাবহার ইত্যাদি শেখানো হয়।

এরপর আই এস আই ট্রেনিং স্কুলে তাদের ১ বছরের ট্রেনিং এ এডমিন্সট্রেটিভ, বিদেশে ক্ল্যান্ডেস্টাইন অপারেশন ট্রেনিং,পালানোর ও গ্রেফতার এড়ানোর কৌশল,ছদ্দবেশ নেয়ার কৌশল,কাভার তৈরী করার উপায়,খালি হাতে আত্মরক্ষা,যোগাযোগ তৈরি,নেটোয়ার্ক তৈরি সহ প্রয়োজনিয় বিষয় শিক্ষা দেয়া হয়।

বিদেশের মাটিতে টার্গেট নির্বাচন ও কার্যক্রম পরিচালনা পদ্ধতিঃ
ধর্মীয় উন্মাদনা ব্যবহার।
মতাদর্শগত দুর্বলতা ব্যবহার।
স্থানীয় সংঠিত অপরাধী চক্রকে নিজের নেটওয়ার্কে একিভুতকরন ।যেমন মুম্বাইয়ে ডি কোম্পানী।
সাধারনত বেসিক কিছু বিষয়ের যেমন সরকার দ্বারা নির্যাতিত ব্যাক্তি বা গোস্টিকে ব্যবহার।
নারী সঙ্গ ও অর্থ লোভী ব্যক্তি।
ধর্মীয় দান দাক্ষিন্য করে এমন সঙ্গঠন ব্যবহার।
আক্রমনাত্তক গোয়েন্দাবৃত্তি যেমন পালটা হামলা,বোমা বিস্ফোরন,মানসিক যুদ্ধ,সামাজিক অস্থিরতা তৈরী,অন্তর্ঘাত পরিচালনা করা।

আই এস আই কে কখনো রীতিমত ব্যবসায়িক ব্রান্ড নেমের পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে
পাকিস্তানী মডেল ভিনা মালিকের নগ্ন ছবিতে আই এস আই ট্যাটু ব্যাবহার



এপর্যন্ত পরিচালিত গুরুত্বপুর্ন অপারেশনঃ

১৯৬০ এর দশকে সি আই এ ও কানাডা সরকারের সাথে সম্মিলিত ভাবে স্বাধীন খালিস্তান আন্দোলনের জন্য গ্রাউন্ডওয়ার্ক করা এবং পরিকল্পনা প্রনয়ন।
৭০এর দশকের শেষে পাকিস্তানে লিবিয়ান সামরিক এ্যাটাশে কর্নেল হুসেই ইমাম মোবারক জেলে বন্দী ভুট্টোর অনুগত দুইজন নির্বাসিত পাকিস্তানী সাথে জিয়াউল হকের বিরুদ্ধে একটি অভ্যুত্থান পরিকল্পনা করার সময় আই এস আই এদের সপট করতে সক্ষম হয় এবং দুই পাকিস্তানীকে গ্রেফতার করে।
১৯৭৯ সালের ২৬শে জুন পাকিস্তানের ফরাসী রাস্ট্রদুত ও ফার্স্ট সেক্রেটারী গোপনে কাহুটা পারমানবিক প্রকল্পের ছবি তোলার চেস্টা করলে আই এস আই’র হাতে ধরা পরে এবং পরে জানা যায় যে পাকিস্তানের পারমাবিক প্রকল্পের অগ্রগতির তথ্য সংগ্রহের জন্য ঐ দুইজন সি আই এ’র রিক্রুটেড ছিলো।

আশির দশকে ইসলামাবাদে সোভিয়েত ইউনিয়নের এ্যাম্বেসীতে আই এস আই একজন ইনফর্মার ঢুকাতে সক্ষম হয় এবং তার কাছে জানতে পারে দুতাবাসের থার্ড সেক্রেটারী কারাকোরাম হাওইওয়ের উপর বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহের জন্য জনৈক ঈজাজকে ব্যাবহার করছে।পরে সেই লোক কে স্পট করে তার মাধ্যে সোভিয়েত দুতাবাসকে আই এস আই দীর্ঘ দিন ভুতা তথ্য সরবরাহ করে।
আশির দশক জুড়ে আই এস আই সাফল্যের আথে আফগানিস্তানে সোভিয়েতদের বিরুদ্ধে আফগান মুজাহেদিনদের অস্ত্র সরবরাহ ট্রেনিং প্রদান করে। এসময় তারা কয়েক হাজার স্ট্রিঙ্গার সারফেস টু এয়ার মিসাইল কেজিবি রেড আর্মির চোখ এড়িয়ে আফগানিস্তানে সাপ্লাই করে।

কিন্তু বেশিরভাগ অস্ত্র ছিলো সোভিয়েত ইউনিয় এ তৈরী যা আই এস আই মোসাদের কাছে থেকে সংগ্রহ আফগানদের দেয় যাতে আমেরিকার বিরুদ্ধে সরাসরি অস্ত্র সরবরাহের অভিযোগ রাশিয়ানরা না করতে পারে। এই পুরো ঘটনার উপর টম হ্যাংক্স অভিনিত “চার্লি উইলসন্স ওয়ার” নামের একটা হলিউড মুভি আছে।

আশির দশকে ইসলামাবাদে ইন্ডীয়ান দুতাবাদের স্কুলের এক শিক্ষিকার বেশে “র” এর অফিসার পাকিস্তানী পারমানবিক প্রকল্পে কাজ করা এক ইঞ্জিয়ারের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করতো।দুইজনকেই আই এস আই স্পট করতে সক্ষম হয়।
ইলাম দীন নামে একজন “র” গুপ্তচর কে আই এস আই ধরতে সক্ষম হয় ।তার সাহায্যে পুরো একটা “র” স্পাই রিং আই এস আই এর হাতে ধরা পড়ে এবং পরে ভারত কে পাকিস্তানের সমরস্ত্র সম্পর্কে ভুয়া তথ্য সরব্রাহে তাদেরকে বাধ্য করা হয়।

আন্দামান নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে ইন্দীরা গান্ধী সোভিয়েতদের গোপন পারমানবিক সাবমেরিন ঘাঁটি তৈরীর চুক্তি করার চেস্টা করলে আই এস আই তা ধরে ফেলে এবং সি আই এর কাছে ফাঁস করে দেয়।
১৯৭৯ সালে ইরানে মার্কিন দুতাবাসে জিম্মী উদ্ধারে অভিযানের জন্য সি আই এ’র লোকজন মার্কিন দুতাবাসে চাকরি রত এক পাকিস্তানী কুকের কাছে থেকে তথ্য সংগ্রহ করে।

১৯৮২ সালে আই এস আই মোসাদ ও সি আই এর যৌথ দল প্যালেস্টাইন ও লেবাননের জন্য পাঠানো সোভিয়েত অস্ত্রের চালান ভুমধ্য সাগরে স্পট করে এবং ধরে ফেলে।পরে সেই অস্ত্র আফগানিস্তানে পাচার করে দেয়।

১৯৯৩ এ মুম্বাই স্টক এক্সচেঞ্জ ব্লাস্টের সাথে জড়িত থাকা ও দাউদ ইব্রাহিমের ডি কোম্পানীকে সাংপাঙ্গ সহ করাচীর সেফ হাউজে দীর্ঘ দিন নিরাপদের রাখা।

আফগান যুদ্ধে সোভিয়েতদের পরাজয়ের পর শুন্যতা ব্যাবহার করে আফগানিস্তানে নিয়ন্ত্রন প্রতিস্টা এবং ১৯৯৪ এ আফগান গৃগ যুদ্ধে পাকিস্তানের মুখপাত্র হিসাবে তালেবান দের তৈরী।
১৯৯৩ সালে বসনিয়ার যুদ্ধে মুসলিম বাহিনীর জন্য প্রচুর অস্ত্র সরবরাহ।

তালেবানদের প্রথমসারির ১৫ জন নেতার মধ্যে ৭ জনই আই এস আই কর্মী।

এছাড়া ভারতের মাটিতে বহু জঙ্গী হামলা পরিচালনা ও ভারতীয় জঙ্গীদের নিরাপদ অভয়ারন্য হিসাবে পাকিস্তানে আশ্রয় প্রদান।
২০১১ তে পাকিস্তানে এক সাংবাদিক কে হত্যা।

ব্যার্থতাঃ
১৯৬৫ সালের পাক ভারত যুদ্ধে কাশ্মীরে অপারেশন জিব্রাল্টারে সাফল্য ধরে রাখার জন্য স্থানীয় জনগনের সমর্থন যোগার করতে সম্পুর্ন ব্যার্থ হয়।

১৯৭০ এ পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর প্রত্যাশা অনুযায়ি পাকিস্তানের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ এর বিরুদ্ধে অন্যান্য রাজনৈতিক দলকে মোটামুটি অবস্থানে নিয়ে যেতে ব্যার্থ হয়।

১৯৮১ সালে লিবিয়ানরা মিশর আর শাদ এর সাথে যুদ্ধের জন্য অবসরে যাওয়া পাকিস্তানী সৈনিকদের একটা বিশ্ল দললে মার্সেনারি হিসাবে ভাড়া করে যুদ্ধে পাঠিয়ে দেয় যা আই এস আই অনেক পরে জানতে পারে ততদিনে বিরাট সংখ্যক পাকিস্তানী সামরিক অফিসাররা চাক্রি ছেড়ে বেশি টাকার লোভে লিবিয়াতে ভাড়াটে সৈনিক হিসাবে পাড়ি জমিয়েছে।

১৯৮৪ সিয়াচেন হিমবাহ দখলের জন্য ব্রিটিশ কোম্পানীর কাছে থেকে স্নো ওয়ার্ফেয়র গিয়ার কেনার খবর গোপন রাখতে ব্যার্থ হয় আই এস আই। যার ফলে ভারতীয় সেনা বাহিনী ও “র” অপারেশন মেঘদুত সাফল্যের সাথে পরিচালনা করে সিয়াচেন হিমবাহে পাকিস্তানের আগেই অ্যাডভান্টেজ পজিশনে চলে যেতে সক্ষম হয়।

মোল্লা ওমরকে বুঝিয়ে ওসামা বিন লাদেন কে আমেরিকার হাতে তুলে দিতে ব্যার্থ হয়।
বেনজির ভুট্টো হত্যাকান্ড রোখতে ব্যার্থ।

করাচীতে মার্কিন কুটনীতিক কে অনুসরন করতে গিয়ে তার গুলিতে এক মেজর সহ দুই আই এস আই কর্মী মৃত্যু।

অন্যতম সেরা এজেন্টঃ

৯০ এর দশক জুড়ে আই এস আই পশ্চিম ও পুর্ব ইউরোপ ও দক্ষিন পুর্বএসশিয়ায় মিসাইল টেলনোলজি ও উন্নত পারমানবিক প্রযুক্তির সন্ধানে ব্যাপক অনুসন্ধান ও পাচারের নেটওয়ার্ক তৈরি করে। এসব ক্ষেত্রে সাফল্যের পাশাপাশি আই এস আই’র গুপ্তচরেরা অনেক অপরাধমুলক কর্মকান্ডে জড়িয়ে পরে।মেজর জেনারেল সুলতান হাবিব নামের এক আই এস আই কর্মী মস্কোতে পাকিস্তান দুতাবাসে ডিফেন্স এ্যাটাশে হিসাবে কাজ করার সময় সেন্ট্রাল এশিয়ান রিপাব্লিক এর দেশসমুহ,পোল্যান্ড,চেকোশ্লোভাকিয়াতে ১৯৯১ থেকে ১৯৯৩ পর্যন্ত পারমানবিক প্রযুক্তি ও বিশুদ্ধ প্লুটোনিয়াম চুরি ও সংগ্রহের জন্য একাধিক ভাবে ধারাবাহিক ক্ল্যান্ডেস্টাইন অপারেশন পরিচালনা করে।মস্কো অপারেশন শেষে এরপর তিনি উত্তর কোরিয়ায় রাস্ট্রদুত হিসাবে যোগ দিয়ে সেখানে পাকিস্তান ও উত্তর কোরিয়ার যৌথ পারমানবিক ও মিসাইল অপারেশনের তত্বাবধান করেন। সেসময় উত্তর করিয়া থেকে জাহাজে বোঝাই করে দূর পাল্লার ক্ষেপনাস্ত্র পাকিস্তানে চোরাচালানে নেতৃত্ব দেন।

ডিফেকশন এবং ডায়মন্ড আস্ত্র ও ড্রাগ ব্যাবসাঃ

সে সময় পাকিস্তানের এক্সপারটদের ক্ষেপনাস্ত্র ট্রেনিং এর জন্য উত্তর কোরিয়ায় পাঠানো হয় আর উত্তর কোরিয় টেকনিশিয়ানরা পারমানবিক অস্ত্র তৈরীর জন্য পাকিস্তানে ট্রেনিং নিতে আসে। এই অপারেশন এর ধারাবাহিকরা ধরে রাখতে উত্তর কোরীয়ায় পাকিস্তন দুতাবাসের থার্ড সেক্রেটারি হিসাবে ক্যাপ্টনে (অব) শাফাকাত চীমাকে দায়িত্ব দেয়া হয়। সেই সুযোগে ক্যাপ্টেন চিমা পরমানু অস্ত্র ও মিসাইল তৈরীর প্রযুক্তি অর্থের বিনিময়ে ইরানি ও ইরাকি ইন্টেলিজেন্স এজেন্সীর কাছে সরবরাহ করে। শুধু তাই নয় রাশিয়া ও সি এস আর দেশগুলি থেকে প্রচুর ইরেনিয়াম ও খুচ্রা যন্ত্রাংশ পাকিস্তানী এজেন্টরা সংগ্রহ করে ইরানি কাছে মিলিয়ন মিলিয়ন ডলারের বিনিময়ে বিক্রি করে দেয়। পরে ক্যাপ্টেন চিমার অধীনের গ্রুপ্টাকে দেশে ফেরার নির্দেশ দিলে ক্যাপ্টেন চিমা পালিয়ে চিনের জিনজিয়াং এ চলে আসে।পরে পাকিস্তানের অনুরোধে চীনারা তাকে গ্রেফতার করে ইসলামাবাদ পাঠিয়ে দেয়।এর পরে তার আর তার বিক্রি করা টাকার কোন খোঁজ পাওয়া যায় নি।তদন্তে বের হয়ে আসে ক্যাপ্টেন চিমা পিপিপি’র সর্বোচ্চ পর্যায়ের সুপারিশে উত্তর কোরীয়ায় পোস্টিং পেয়েছিলেন।

জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনীতে কাজ করার সময় সেখানে থাকে আই এস আই এজেন্টরা আইভরি কোস্ট,সিয়েরোলিয়ন ও কঙ্গোতে অবৈধ হীরা ও অস্ত্র ব্যবসায় জড়িয়ে পরে।

বাংলাদেশে আই এস আইঃ

“ভারত পুর্ব পাকিস্তান নিয়ে যাচ্ছে নিয়ে যাক,৫ বছরের মধ্যে আমরা সোনার বাংলা আমাদের কাছে ফিরিয়ে আনব,সোনার বাংলা শুধু আমাদের আর কারো নয়”
- জুলফিকার আলী ভুট্টো।

বাংলাদেশে আই এস আই একটি বেশ বহুল চর্চিত নাম।কাভার্ট ও নন কাভার্ট গুপ্তচর হিসাবে বাংলাদেশে ৪৫০ কভার্ট আই এস আই অপারেটর নিয়োজিত আছে। বেতনভুক্ত ইনফর্মার,সংখ্যালঘু বিহারী ও আদর্শগত ভাবে অত্যন্ত সহানুভুতিশীলদের ধরলে এই সংখ্যা ১ লক্ষর অধিক হবে।কিছু ইসলামিক দাতব্য প্রতিস্টান ও অর্থনৈতিক সংস্থা সাধারনত এদের উর্বর চারনক্ষেত্র।এছাড়া বেশকিছু ন্যাশানাল ও মাল্টি ন্যাশানাল কোম্পানীতে বড় পদে আই এস আই কর্মকর্তারা কাভার্ট অপারেটর হিসাবে আছে।বলা হয়ে থাকে ধানমন্ডি সিটি কলেজের কাছে একটি বহুতল টাওয়ারে অনেক আই এস আই’র

বাংলাদেশের ইতিহাসের সাথে আই এস আই এর অনেক সাফল্য ব্যার্থতা জড়িয়ে আছে
দুস্টলোকেরা বলে বাংলাদেশের একজন সাবেক রাস্ট্রপতি ১৯৭১ সালে আই এস আই’র ডীপ কাভার অপারেটর ছিলেন।যদিও তার সার্ভিস রেকর্ড বলে তিনি মাত্র ৫ বছর আই এস আই তে ছিলেন এবং ১৯৬৩ তে সংস্থা থেকে চলে যান। আর একজন রাস্ট্রপতি ডবল এজেন্ট হিসাবে দীর্ঘদিন থাকার পর আই এস আই তাকে সাময়িক ভাবে ত্যাগ করে।

বলা হয়ে থাকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হত্যাকান্ড সি আই এ ও আই এস আই এর যৌথ প্রকল্প। নিজ ডিপ কাভার অ্যাসাইনমেন্ট নিয়ে যুদ্ধ শেষ হওয়ার আড়াই মাস আগে ফারুক ও একমাস আগে খন্দকার রশিদ মুক্তিবাহিনীতে যোগ দেয়। যেখানে ৭১ এ বাঙ্গালী অফিসারদের হয় গৃহবন্দী নয়তো জেলে রাখা হতো সেখানে রশিদ ঐ সময় পাকিস্তানের পোস্টিং থেকে ছুটি নিয়ে স্ত্রী সহ প্রথমে দেশে প্রবেশ করে পরে আগরতলা যায় এবং পরে জিয়াউর রহমানের জেড ফোর্সের সাথে ডিসেম্বরে বাংলাদেশের প্রবেশ করে। ফারুক আগস্ট মাস পর্যন্ত দুবাইয়ে ট্রেনিং এ থাকলেও শেষ সময়ে এসে মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেন।

১৯৭৬ এ বাংলাদেশ এর নাম ইসলামিক রিপাব্লিক অব ইস্ট পাকিস্তান রাখার পরিকল্পনা করলেও মাওলানা ভাসানীর দৃঢ়তায় শেষ পর্যন্ত তা হয়নি।

জেনারেল হোসেন মোহাম্মদ এরশাদ কে পুরানো সম্পর্কের জের ধরে “র” এর কব্জা থেকে নিজেদের কব্জায় নিয়ে আসা।
বাংলাদেশ কে ব্যবহার করে উত্তরপুর্ব ভারতের স্বাধীনতাকামী গেরিলা গ্রুপগুলিকে অস্ত্র সরব্রাহ।
পশ্চিম সীমান্ত নজরদারিতে থাকায় বাংলাদেশের সীমান্ত ব্যবহার করে ভারতে নিজেস্ব নেটওয়ার্ক এর সাথে যোগাযোগ রক্ষা ও ভারতের জন্য সন্ত্রাসের প্যাকেজ রফতানী করা।

২১ শে আগস্ট গ্রেনেড হামলায় সম্পৃক্ততা

১৯৯৬ এ নেদারল্যান্ড প্লপ্ট,১৯৯৭ এ নেপালি আত্মঘাতী বোমারু আই এস আই কর্মী শ্রীবাস্তব এর সাহায্যে ,১৯৯৯ ১০ মিলিয়ন ডলারে এল টিটি ই আত্মঘাতী ভাড়া করা সহ আই এস আই অনেক বার বাংলাদেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কে হত্যার একাধিক চেস্টা করে।

বাংলাদেশের সকল রাজনৈতিক দলের মধ্যে আই এস আই’র কর্মীরা সক্রিয় রয়েছে। এর মধ্যে আওয়ামী লীগের দরবেশ উপাধি পাওয়া এক নেতা বাংলাদেশে শেখ হাসিনার সাথে আই এস আই’র প্রধান কন্ট্যাক্ট।দুস্ট লোক বলে বি এন পি জামাতের শেষ সময়ে এসে আই এস আই যখন নিশ্চিত হয় শেখা হাসিনা আগামিতে বাংলাদেশের ক্ষমতায় আসছেন তখন তারা দরবেশ এর মারফত আওয়ামী লীগ কে ৩০০ কোটি টাকা নির্বাচনি তহবিল প্রদান করে।যা “র” খুব ভালো ভাবে নেয় নি। ফলাফল তত্বাবধায়ক আমলে আওয়ামী লীগে RATS এর উত্থান ও শেখ হাসিনাকে কোন্ঠাসা করার চেস্টা।

বাংলাদেশ এ সাবেক প্রধানমন্ত্রীর এক ভাই আই এস আই’র অন্যতম প্রধান কন্ট্যাক্ট।
আর জামাতের কথা বলে নাহয় সময় নস্ট নাই করি ক্বেন... কারন সিনিয়ার নেতাদের মধ্যে কম বেশি সবাই পাকিস্তানের প্রতি শুধু সহানুভুতিশীলই না... তাদের সাথে যেকোন পর্যায়ে সহযোগিতা করতে ও সহযোগিতা নিতে প্রস্তুত থাকে।

আরো সংযুক্তিঃ
১৯৯২ সালে শহীদ জননী জাহানারা ইমামের নেতৃত্বে যুদ্ধাপরাধী গোলাম আযমের বিচারের দাবিতে গড়ে ওঠা আন্দোলনে হরতাল কর্মসূচি সফল করার লক্ষ্যে জাসদের মিছিল চলাকালে শিবিরের সশস্ত্র হামলায় সাহেব বাজার জিরো পয়েন্টে জাসদ নেতা মুকিম মারাত্মক আহত হন এবং মারা যান। ঐ হামলায় প্লট আই এস আই'র করা ছিলো।

চট্টগ্রামে এইট মার্ডার ।চট্টগ্রামের বদ্দরহাটে শিবির ক্যাডাররা মাইক্রোবাসের মধ্যে থাকা ৮ ছাত্রলীগ নেতাকর্মীকে প্রকাশ্য দিবালোকে ব্রাশফায়ার করে নৃশংসভাবে হত্যা করে।নাসির গ্রুপের নাসির সহ প্রত্যেকে আই এস আই ট্রেনিং ক্যাপমের সদস্য ছিলো।

৫ মে, ২০০৭ চাঁপাইনবাবগঞ্জের একটি আর্মি ক্যাম্পের বিভিন্ন স্থাপনা ভিডিও করার সময় আর্মি সদস্যরা শিবিরের ২ নেতাকে ভিডিও ফুটেজসহ আটক করে।

চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ আবাসিক এলাকা থেকে শিবির ক্যাডার মাহমুদুল চৌধুরীকে পুলিশ সদস্যরা একে-৪৭ এর ৩৩টি বুলেটসহ গ্রেপ্তার করে। যার মধ্যে ১৭টি বুলেট দেশীয় কোনো কারখানায় তৈরি হয়েছে বলে সেনাবাহিনীর বিশেষজ্ঞ দল মত প্রকাশ করে।

১৯৯৯ রাবি ছাত্র শিবির সাংগঠনিক সম্পাদক আলমগীর পাকিস্তানে তৈরী রিভলবার, গুলি ও গান পাউডার সহ পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়।তার কোয়েটায় টেনিং নেয়ার অভিজ্ঞতা আছে বলে জানা গেছে।

বাংলাদেশে ইসলামিক ডেমোক্রেটিক পার্টি নামে একটি দল আছে যাদের ১২,০০০ কর্মী সোভিয়েত বিরোধী যুদ্ধ ও পরবর্তিতে আফগান গৃহযুদ্ধে লড়াঈ করে ।এদের ট্রেনিং রিক্রুটমেন্ট আসা যাওয়ার সব খরচ আই এস আই বহন করে।

১৯৯২ সাল থেকে রোহিঙ্গা রিফিউজিদের মধ্য থেকে বাছাই করে তাদের ট্রেনিং দিয়ে কাজে লাগায় আই এস আই।

চট্টগ্রামে ১০ ট্রাক অস্ত্র যে জেটিতে ভিড়ল এই জেটিটা শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতায় ছিল। শিল্পমন্ত্রীর অনুমতি ছাড়া বা জানা ছাড়া অস্ত্র চট্টগ্রামের জেটিতে ভিড়তে পারেনা। আর তখন শিল্পমন্ত্রী ছিলেন জামায়াতে ইসলামের মতিউর রহমান নিজামী।

১২৫ টা গুপ্ত জঙ্গী সংঠন আই এস আই'র হাতে তৈরী যাদের অনেকের বাংলাদেশে শাখা আছে।

মধ্যযুগের একজন বিখ্যাত আরব মনীষির নামে তৈরি করা একটি দাতব্য সংগঠন ও চিকিৎসা কেন্দ্রের নামে আসা ফান্ড এর বড় একটা অংশ স্থানীয় কর্মী আর ইনফর্মারদের বেতন ভাতায় খরচ হয়।

অধ্যাপক হুমায়ুন আজাদকে টার্গেট করে আক্রমনের নির্দেশ দেন বাংলাদেশের বড় ইসলামিক আলেমের ছদ্দবেশে একজন আই এস আই'র কর্মী।

যে ৫ টি বিদেশি গোয়েন্দাসংস্থা বাংলাদেশের মাটিতে সর্বাধিক সক্রিয়..আজকের পর্ব রিসার্চ অ্যান্ড এনালাইসিস উইং এর আদ্যপান্ত
Click This Link
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১০:৩০
৬৫টি মন্তব্য ৬৫টি উত্তর পূর্বের ৫০টি মন্তব্য দেখুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছি , অবৈধ দখলদার॥ আজকের প্রতিটি অন‍্যায়ের বিচার হবে একদিন।

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১০



ধিক ‼️বর্তমান অবৈধভাবে দখলদার বর্তমান নরাধমদের। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশে । বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষমা চাইতে হলো ! রাজাকার তাজুলের অবৈধ আদালতে। এর চাইতে অবমাননা আর কিছুই হোতে পারেনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন

আম্লিগকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধে আর কোন বাধা নেই

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:২২


মঈন উদ্দিন ফখর উদ্দিনের ওয়ান-ইলেভেনে সরকারের ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ভারতের সহায়তায় পাতানো নির্বাচনে হাসিনা ক্ষমতায় বসে। এরপরই পরিকল্পিত উপায়ে মাত্র দুই মাসের মধ্যে দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের পর্যায়ক্রমে বিডিআরে পদায়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৪৫


বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন

J K and Our liberation war১৯৭১

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯



জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন

এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ

লিখেছেন এ আর ১৫, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:৪০



এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ


২০০৪ সালের ২১ শে অগাষ্ঠে গ্রেনেড হামলার কারন হিসাবে বলা হয়েছিল , হাসিনা নাকি ভ্যানেটি ব্যাগে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×