এই দেশের বেতন কাঠামো ব্যায়ের সাথে সামঞ্জস্য নাই। যতদিন না আয় ব্যায়ের সামঞ্জস্য করা হবে ততদিন চুরি চামারি বন্ধ হবেনা। দেশ প্রেম শুধু মাত্র যুদ্ধের ময়দানেই দেখানো সহজ। প্রতিদিন জীবন যুদ্ধে হাজার বার মরার চেয়ে যুদ্ধের ময়দানে এক গুলি তে মরা আরও সহজ।
এই জীবন যুদ্ধের সময় দেশ প্রেম খুব মনে থাকে না মানুষের। একটা মানুষের গড়ে বেতন যদি ৫০০ টাকা হয় তবে তার অফিস যাতায়ত সহ নায় নাস্তা মোবাইল বিল, নেট বিল গড়ে প্রতিদিন ১৫০ টাকা খরচ হয় তবে চুরি চামারি বন্ধ হবে কিভাবে?
এই সমাজে বাবা মা স্ত্রী সন্তান নিয়ে বেঁচে থাকতে হলে এখনই মিনিমাম ৫০০০০ টাকা লাগে, কিন্তু আমাদের সরকারি বেতন স্কেল দেখলেই হাসি পায়। তার ওপরে দেশের সর্ববৃহৎ শিল্প ওয়াল্টন ও নাকি ইদের আগে কর্মীদের বেতন দেয় নাই। অথচ বছরে তাদের হাজার হাজার কোটি টাকা শুধু নীট লাভ। কোটি কোটি মানুষের বেতন ই শুধু মাসে ১০০০০ থেকে ১৪০০০ হাজারের মধ্যে। এই লোক গুলোর মাথায় শুধু কাঠাল ভেঙ্গে ফুলে ফেপে উঠছে ওয়াল্টনের মতন কোম্পানী গুলো। আমি মান অনুযায়ী গত দিন ধরে তাদের সবগুলো প্রোডাক্ট এর মূল্য রিভিউ করলাম , তাতে চমকে গেলাম। তাদের পন্যের দাম মোটেই সস্তা না। ট্যাক্স ফ্রী খুচরা যন্ত্রাংশ দেশে ইম্পোর্ট করে তা আবার এসেম্বেল করে কাস্টমারের কাছে ঠিক ই আমদানী করা পণ্যের মতই দাম রাখা হচ্ছে। তবে মাঝখানে শুল্ক মুক্ত যন্ত্রাংশ আমদানীর লাভ টা কার পকেটে গেলো?
ওরা ফুলে ফেপে ওঠে তৃণমূল কর্মী দের কে বঞ্চিত করে। এই তৃণমূল কর্মী দের বেতন দেবেন ৯ থেকে ১৩ হাজার। এরা যখন কোনো ভাবে সরকারী চাকরী পাবে তখন কিভাবে সৎ জীবন যাপন করবে? একটা শ্রেণী বঞ্চিত হতে থাকবে আরেক টা শ্রেণী গড়বে শুধু? ভারতের টাটা গ্রুপের গল্প শুনতাম ছোটো বেলায়। ওদের কর্মী রা চাকরী বাকরী করে বাড়ি করতে পারতো। আর আমাদের দেশে চাকরী বাকরী করে হঠাত বিপদ আপদে ঘর বাড়ি বেচতে হয়। এই বেতন বৈসম্য সব স্তরে যতদিন না বন্ধ করতে পারবেন ততদিন সম্ভব হবেনা দূর্ণীতি বন্ধ করার।
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই মে, ২০২২ রাত ৮:৪২