মানুষের শ্রদ্ধা পেতে খুব বেশি কিছু করতে হয় না। ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ব্যাপারগুলোতেই সামান্য মানুষিকতার পরিবর্তন আনলেই পাওয়া যায় সম্মান, ভালোবাসা।
বাসে উঠে ভীড়ের মাঝে নিজে কষ্ট করে দাঁড়িয়েও আরেকজনকে একটু জায়গা করে দিতে খুব বেশি হয়তো কষ্ট করতে হয় না কিন্তু ওই লোকটি হয়তো হাফ ছেড়ে বাঁচে। বাসের গেটে বাদুরের মতো ঝোলা অবস্থায়ও আরেক অপরিচিত যাত্রীকে টেনে তুলে একসাথে গন্তব্যে যাওয়ার অনুভূতি আসলেই অন্যরকম।
মুচির কাছে গিয়ে তার সামনে পা সহ জুতা পালিশ না করে একটু কষ্ট করে জুতাটা খুলে তার হাতে দিলে মান সম্মানের হয়তো খুব একটা হানি হয়ে যায় না। বরং ওই নিখুত হাতে সেলাই করা মানুষটা আপনাকে সম্মানই করবে ভেতর থেকে।
রিক্সাওয়াদের তুই করে ডাকার মাঝে কোন গাম্ভীর্যতা কিংবা আভিজাত্য প্রকাশ পায় না। যেটা প্রকাশ পায় সেটা হচ্ছে আপনার ব্যক্তিত্ব। নোংরা ব্যক্তিত্ব।
রিক্সায় উঠে নিজে একা একটা সিগারেট না ধরিয়ে তার হাতেও একটি ধরিয়ে দিন। একসাথে খেতে খেতে পথ পাড়ি দিন। জমিয়ে ফেলুন গল্প। দেখবেন একজন রিক্সাওয়ালাও কতো আন্তরিক হতে পারে আপনার প্রতি।
এইসব ছোট ছোট কাজ করতে হয়তো কোন টাকা পয়সা খরচ হয় না। কিন্তু মনের ভেতর থেকে এক প্রকার শান্তি আসে। এক প্রকার তৃপ্তি পাওয়া যায়। আর সবচেয়ে বড় যে ব্যাপারটা পাওয়া যায় সেটা হচ্ছে মানুষের ভালোবাসা এবং শ্রদ্ধা।
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই জুন, ২০১৭ রাত ১২:০৩