somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

রাস্তায় বাইক চলাচলের কিছু অসামঞ্জস্যতা

২৮ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ৮:২৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

মোটর সাইকেল বাংলাদেশে একটি জনপ্রিয় ও বহূল ব্যবহৃত বাহন। ঢাকার জ্যাম এর রাস্তায় এটি একটি অনবদ্য যান যা কিনা খুব অল্প সময়ে ও স্বল্প খরচে আপনাকে নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছে দিবে।যেখানে বাস , গাড়ি অথবা সিএনজি দিয়ে যেতে লাগবে তিন ঘন্টা সেখানে বাইক আপনাকে পৌঁছে দিবে এক ঘন্টায় । এজন্য পাঠাও এর মতো সার্ভিস গুলো এদেশে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। এছাড়া তরুণদের কাছে এর স্টাইল এবং রোমান্টিক ভেলু অপরিসীম। আমি নিজেও বেক্তিগত ভাবে বাইক চালাতে পছন্দ করি , ইনফ্যাক্ট আমি একজন ভালো বাইক চালকও বটে।
আজকে আমি ঢাকার রাস্তায় বাইকের চলাচলের কিছু অসামঞ্জস্যতা নিয়ে লিখতে চাই যা আমার ব্যাক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে দেখা। এটা মানে এই নয় যে অন্নান্য যানবাহন খুব ভদ্র ভাবে চলছে , বিশেষত বাস গুলার অবস্থাতো ভয়াবহ।

১) লেন না মানা ও বিপজ্জনক ম্যানুভারিং:
রাস্তায় চলার সময় লেন না মানা এবং ফাঁক পেলেই কোনো গাড়ির সামনে দিয়ে হঠাৎ ঢুকে পড়ার প্রবণতা এখনকার বাইক চালকদের মধ্যে বেশ দেখা যায়। চালক এখানে ধরেই নেয় কোনো কিছু হলে পেছনের গাড়ি তো ব্রেক করবেই, আর যদি একান্তই না করে গাড়ির ড্রাইভাররে এমন মাইর দিমু....... । ভাই কোনো কারণে তো গাড়িটি ব্রেক নাও করতে পারে এবং এতে আপনার ঠেঙ ভাঙার সমূহ সম্ভাবনা থাকবে এবং অবশই গাড়ির ড্রাইভারকে মেরে আপনার ভাঙা পা জোড়া লাগাতে পারবেন না। মনে রাখবেন আপনার ঠেঙ এর দেখভাল আপনাকেই করতে হবে , অন্য গাড়িআলা সেই দায়িত্ব নেবে না। বরং ভাগ্য খারাপ হলে গাড়ির ড্রাইভার যদি কোনো নব্য রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব বা মাস্তান হন তখন ভাঙ্গা ঠেঙের সাথে মাইর ফ্রি পেয়ে যাবেন।

২) সিগন্যাল না মেনে চলা
প্রায় সময় দেখা যায় যখন কোনো রাস্তায় সিগন্যাল পরে তখন অনেক বাইকার ভাই বা পাঠাও ভাই ঠেলেঠুলে সামনের দিকে চলে আসেন এবং যখনি অন্যদিক থেকে আসা দুইটা গাড়ি মাঝখানে রেসানেবল ফাঁক দেখেন বা দুই সিগন্যাল অন্তর্বর্তী সময়ের ফাঁক দেখেন তখন হঠাৎ হুন্ডা টান মেরে চলে যান। ভাই সাবধান ঢাকার বেশিরভাগ গাড়িঅলাই সিগন্যাল এর হলুদ লাইটকে স্পিড আপ সিগন্যাল মনে করেন।

৩) ফুটপাথএর উপর দিয়ে চলা
সাধারণ মানুষেরা খুব চাপের মধ্যে আছে। ফকিন্নি , হকার আর শিল্পপতিদের গাড়ির চাপে ফুটপাত এমনেই চিকন হইয়া গেছে , এইখানেও যদি আপ্নে বাইক উঠায়দেন তাইলে এরা কোই যাবে ?

৪) সেফটি ছাড়া চলা , বিশেষকরে পরিবার এর সদস্যদের :
আমি একটা জিনিস খেয়াল করছি , খুব ভালো মানুষও বাইকে উঠার পর কেমন জানি মনস্টার হইয়া যায় (সবাই না )। তখন তাদের মনে থাকে না পিছে তাদের স্ত্রী - সন্তানরা তার উপর ভরসা করে বসে আছে হেলমেট ছাড়া। সেই অবস্থায় বাইক নিয়া তেলেসমাতি করা কি ঠিক ? অরে ভাই এক্সিডেন্ট হইলে আপনার চেয়ে তাদের ক্ষতি আরো বেশি হবে, অথচ তারা কোনো দোষ করে নাই। আমি অনেক প্রেমিক ভাইকে দেখছি পিছনে বান্ধবী বসাইয়া হাইওয়েতে বাইক ডান -বাম করতে করতে যান এবং ইহাকে পুরুষত্বের লক্ষন হিসাবে গণ্য করেন। ভাইরে এমনে যদি পুরুষ হওয়া যায় তাইলে ধরতে হবে বাইক ছাড়া যতক্ষণ থাকেন ততক্ষন আপনি অন্য কিছু।

আজকাল ত্রিশ-চল্লিশ হাজার টাকা হইলেই বাইক কিনা যায়। কিন্তু একজন সত্যিকারের বাইকার হইতে লাগে পেসন। লাগে কিছু নিয়ম মেনে চলা। জীবনের প্রশ্ন যেখানে জড়িত সেখানে একটু নিয়ম মেনেতো আমরা চলতেই পারি , কি বলেন ভাই !!!!
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ৮:২৫
৬টি মন্তব্য ৬টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কুরসি নাশিন

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৯ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:১৫


সুলতানি বা মোগল আমলে এদেশে মানুষকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছিল৷ আশরাফ ও আতরাফ৷ একমাত্র আশরাফরাই সুলতান বা মোগলদের সাথে উঠতে বসতে পারতেন৷ এই আশরাফ নির্ধারণ করা হতো উপাধি... ...বাকিটুকু পড়ুন

বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন আর আদর্শ কতটুকু বাস্তবায়ন হচ্ছে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৯ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:৩৭

তার বিশেষ কিছু উক্তিঃ

১)বঙ্গবন্ধু বলেছেন, সোনার মানুষ যদি পয়দা করতে পারি আমি দেখে না যেতে পারি, আমার এ দেশ সোনার বাংলা হবেই একদিন ইনশাল্লাহ।
২) স্বাধীনতা বৃথা হয়ে যাবে যদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

কৃষ্ণচূড়া আড্ডার কথা

লিখেছেন নীলসাধু, ১৯ শে মে, ২০২৪ দুপুর ১:০২



গতকাল পূর্ব নির্ধারিত কৃষ্ণচূড়ায় আড্ডায় মিলিত হয়েছিলাম আমরা।
বছরের একটি দিন আমরা গ্রীষ্মের এই ফুলটির প্রতি ভালোবাসা জানিয়ে প্রকৃতির সাথে থাকি। শিশুদের নিয়ে গাছগাছালি দেখা, ফুল লতা পাতা চেনাসহ-... ...বাকিটুকু পড়ুন

সকাতরে ঐ কাঁদিছে সকলে

লিখেছেন হাসান মাহবুব, ১৯ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৩:২৯

সকাতরে ওই কাঁদিছে সকলে, শোনো শোনো পিতা।

কহো কানে কানে, শুনাও প্রাণে প্রাণে মঙ্গলবারতা।।

ক্ষুদ্র আশা নিয়ে রয়েছে বাঁচিয়ে, সদাই ভাবনা।

যা-কিছু পায় হারায়ে যায়,... ...বাকিটুকু পড়ুন

বসন্ত বিলাসিতা! ফুল বিলাসিতা! ঘ্রাণ বিলাসিতা!

লিখেছেন নাজনীন১, ১৯ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৪:০৯


যদিও আমাদের দেশে বসন্ত এর বর্ণ হলুদ! হলুদ গাঁদা দেখেই পহেলা ফাল্গুন পালন করা হয়।

কিন্তু প্রকৃতিতে বসন্ত আসে আরো পরে! রাধাচূড়া, কৃষ্ণচূড়া এদের হাত ধরে রক্তিম বসন্ত এই বাংলার!

ঠান্ডার দেশগুলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

×