ঘটনার শুরুঃ
সাম্প্রতিক সময়ে আমার অফিস ব্র্যাক ভার্সিটির কাছে সিফট হয়েছে। কাজের কারনে ব্র্যাক ভার্সিটির সামনে দিয়ে যাওয়া আসা করা লাগে। অনেক যুগল এর দেখা পাওয়া যায়। কেউ গল্প করে, কেউ বা চা পান করে কিংবা সিগারেট। কাজের চাপে ইদানিং অফিস থেকে বের হতে রাত হয়। সজল স্যারকে নিয়ে সেদিন গেলাম চা খেতে, ব্র্যাক ভার্সিটির পিছনে। দেখা মিলল এক অভিনেত্রীর। সাথে ৭-৮ টা ছেলে। সবাই তাকে ঘিরে আছে। হাসা হাসি চলছে। একজন আরেক জনের উপর ঢলে পড়ছে। মে বি দে আর ফিলিং অসাম।

তার পাশে একটি মেয়ে আর একটি ছেলে বসে আছে। প্রেমিক প্রেমিকাই হবে। প্রেমিক ছেলেটা মাঝে মাঝে মেয়েটার হাত ধরছে। মাঝে মাঝে প্রেমিকের হাত অন্য দিকেও যাচ্ছে। তার কাছে দুনিয়াটা মস্ত বড়, খাও দাও মজা করো টাইপের বোধ করি।

সামনে সোলনা দোকানের পাশে একটুখানি গুমোট অন্ধকার। সেখানে দাঁড়িয়ে আছে একলা আরেক টি মেয়ে। পাউডার মাখা মুখ, গাঢ় লিপিস্টিক দেওয়া, তেল দিয়ে চপচপ করে আঁচড়ানো চুল। খদ্দরের জন্য অপেক্ষমাণ। আজ রাতের জন্য কাউকে পেলেই, আগামীকাল তার খাবারের চিন্তা টা দূর হবে।

আজাইরা বিশ্লেষণঃ নায়িকা(অভিনেত্রী), প্রেমিকা ও পতিতার মধ্যে আসলে পার্থক্যটা কোথায়?

নায়িকা(অভিনেত্রী) হবার ক্ষেত্রে এক জন নায়িকা মাঝে মাঝে তার দেহকে বখরা দিতে হয়। এই কাজ সাধারণত তেনারা করেন দুইটি কারনে। ১. প্রতিষ্ঠিত হতে ২. টাকার জন্য।

পতিতার বেলায় সাধারণত অন্য কোন কাজে সুবিধা করতে না পরে ক্ষুধা নিবারনের জন্য নিজ দেহ কিছু সময়ের জন্য অর্থের বিনিময়ে ভোগ করতে দেয়।

গুগল করে অভিনেত্রী এবং পতিতার মধ্যে পার্থক্য যা পেলাম।
- They are same but actress shows extra talent. They shows extra talent how to sex.
- Actress and prostitute are same but actress are higher class.
- Actress and prostitute are same both exposes their sexual organs. But prostitute do it privately and actress are publicly.

প্রেমিকার বেলায় অবস্থা সবচেয়ে শোচনীয়। সে না পায় কোন টাকা, না পারে দেহ হাতড়ানোর সুযোগ করে দেবার বিনিময় স্বরূপ কোন প্রতিষ্ঠিত স্থান। সাধারণত প্রেমিকার মনে থাকে তার প্রেমিক একদিন তাকে বিয়ে করে স্ত্রীর মর্যাদা দেবে। তা যত দূর জানি খুব কম মানুষের বেলায়ই স্বপ্ন পূরন হয়। আমাদের দেশে ছেলেরা হল হাসের মত। হাসের শরীরে যেমন পানি পড়লেও তা কখন জমে থাকে না। আমাদের দেশে ছেলেরা অকাম করলেও তাদের শরীরে সেই দুর্গন্ধ লেগে থাকে না। কিন্তু তত দিনে মেয়েটাই সবচেয়ে বেশী ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আজকাল অবশ্য প্রেমিকার মনে স্ত্রী ফিস্ত্রী হবার ইচ্ছা থাকে না। বেশীর ভাগই ফ্রেন্ডস ফর দা বেনিফিট।
আমার কাছে এই তিন জনের মধ্যে ১,২,৩ করতে দিলে আমি
১ নম্বরে রাখবো পতিতা আপুকে
২ নম্বরে অভিনেত্রী।
৩ নম্বরে প্রেমিকাকে।
১ আর ২ নং, দুজনেই টাকার বিনিময়ে সেবা প্রদান করে। পার্থক্য হল একজনের ফি একটু বেশী আরেকজনের একটু কম। ৩ নম্বর তো মাঝে মাঝে কিছুই পায় না। তাই ৩ নম্বরের উচিত হবে, ১/২ এ যাওয়া। তাতে যদি অন্তত কিছু মেলে।

বহুত কড়া কথা কইছি। হাসি দিয়ে লেখা টা শেষ হোক। ধার করা কৌতুক।
১৯৭০: ভালোবাসো আমাকে ,কিন্তু প্লিজ স্পর্শ করোনা
১৯৮০: স্পর্শ করো আমাকে,কিন্তু প্লিজ চুমু দিওনা
১৯৯০: চুমু দাও আমাকে ,কিন্তু প্লিজ অন্য কিছু করোনা
২০০০: যা খুশী করো ,কিন্তু প্লিজ কাউকে বলতে যেওনা
বর্তমানে : অবশ্যই সব কিছু করতে তুমি পারবে ,অন্যথায় আমি সবাইকে বলে দেবো তুমি কিছুই পারো না।