আমার এক পরিচিত মানুষ আছে। এক সময়ে সে মদ পানে অভ্যস্ত হয়ে যায়। এই অভ্যাস ছাড়ার জন্য সে অনেক চেষ্টাও করে। কিন্তু পারছিল না। মজার বিষয় হল এর থেকে ফিরে আসার কথা বললেই সে ক্ষেপে যেত।
.
আমি আবার সব বিষয়ে আল্লাহর উপর ব্যপক আস্থাশীল। এই ধরনের সমস্যা থেকে বেঁচে থাকার উপায় এবং এই সমস্যায় পড়লে, তা থেকে উত্তরণের জন্য কী করতে হবে তা উনি আগেই বলে রেখেছেন। খুজতে থাকি সমাধান। পেয়েও যাই। হিসনে হাসিনে বইয়ে।
.
প্রজেক্ট হাতে নিলাম। বন্ধুকে বললাম, তোকে একটা কাজ করতে হবে। একটা দোয়া দিনে সাতবার পড়তে হবে। ছোট দোয়া। কী কারনে পড়তে বলছি, কারন জিজ্ঞাসা করতে পারবি না। বন্ধু আমার রাজি হল। ৩০ দিন পর্যন্ত পড়ালাম। ৩১ দিনের মাথায় আর পড়তে চায় না। পড়বে না তো পড়বেই না। কারন জানতে চায়। কারন না বললে আর সে এই দোয়া আর পড়বে না। শেষ মেষ বলেই দিলাম। কয়েক সেকেন্ড চুপ থেকে বলে। দোস্ত আমার কাছে এখন এর থেকে গা গুলিয়ে ওঠা কোন জিনিস পৃথিবীতে নাই। জিজ্ঞাসা করি। কবে থেকে এই অনুভুতিটা শুরু হল? বলে ১০ দিন আগে থেকে। রেগে গিয়ে বলি **** তুই আমাকে আগে বলবি না। শেষ দশ দিন এক্সট্রা কষ্ট করতে হল।
সেদিন হুট করে তার কল এল অনেকদিন পর। কথায় কথায় জিজ্ঞাসা করি, লাল পানির কথা। শুনে প্রচন্ড রেগে যায়। বলে জানিস না এটা আমার কাছে সবচেয়ে বেশী ঘৃণার জিনিস। এই জিনিসের নাম আমার সামনে আর বললে তোর সাথে সব সম্পর্ক শেষ। এই বলে খট করে ফোন কেটে দেয়। এই ছেলে এত ভাল হল কী করে?
.
আজ আমার সেই বন্ধুর জন্মদিন। জন্মদিনে তাকে জানাই মন থেকে "শুভ জন্মদিন"।
(জানি জনাব আপনি এই লেখা পড়বেন এবং না পড়ার ভান করে আমার সামনে এসে বলবেন ধন্যবাদ। ধন্যবাদ লাগবে না বন্ধু। তুমি ভাল থাক।)
.
বি.দ্রঃ এই ধরনের সমস্যায় আক্রান্ত ব্যাক্তি "প্রতিদিন ৭ বার ইয়া বাররু" পড়বে। ব্যাস এতটুকুতেই হবে। এই সেই শক্তিশালী দোয়াটা। যা আপনাকে বাঁচাবে হাজার হাজার ক্ষতি থেকে। বেঁচে থাকতে শিখাবে পবিত্র ভাবে, মৃত্যুর পর বাঁচাবে চির স্থায়ী আগুন থেকে। ডোন্ট বি আ লুজার, বী আ ডুয়ার।